আমিনুল ইসলাম দানেশ মিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আমিনুল ইসলাম দানেশ মিয়া
ফরিদপুর-১৫ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯১৯-১০-২০)২০ অক্টোবর ১৯১৯
শরীয়তপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২৩ জানুয়ারি ২০০৬(2006-01-23) (বয়স ৮৬)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীফজিলাতুন্নেছা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীসরকারি হরগঙ্গা কলেজ

আমিনুল ইসলাম দানেশ মিয়া (২০ অক্টোবর ১৯১৯–২৩ জানুয়ারী ২০০৬) বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও তৎকালীন ফরিদপুর-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আমিনুল ইসলাম দানেশ মিয়া ২০ অক্টোবর ১৯১৯ সালে শরীয়তপুরের জাজিরার কবিরাজকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা মুন্সি বিনাউল্লাহ। স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন মতিঝিল সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও মাদারীপুর মহিলা সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী। তাদের পালক কন্যা রাফিয়া আক্তার ডলি।[৩]

তিনি জাজিরা স্টাফেন্টন মুসলিম মিডল ইংলিশ স্কুল থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করে লোনসিং হাই স্কুল হতে ১৯৪০ সালে মেট্রিক পাস করেন। মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজে লেখাপড়া করে কোলকাতা হতে মোক্তারশীপ ডিগ্রী অর্জন করেন করেন।[৩]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আমিনুল ইসলাম দানেশ মিয়া জানুয়ারী ১৯৪৮ সালে মাদারীপুরের মোক্তার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে মাদারীপুর মহকুমা মুসলিম লীগের সহকারী সম্পাদক হিসেবে সরাসরি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এর আগে তিনি মুসলিম ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৫২ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করে তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছয় দফা আন্দোলনে মাদারীপুরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।[৩]

১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তিনি ভূমিকা রাখেন।[৪][৫] ১৯৭১ থেকে ১৯ ৭৩ সাল পর্যন্ত গণপরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ও ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রনয়নে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ফরিদপুর-১৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১] ১৯৭৫ সালে অবিভক্ত মাদারীপুর মহকুমার বাকশালের সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি ঢাকাস্থ শরীয়তপুর জেলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি ছিলেন।[৩]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

আমিনুল ইসলাম দানেশ মিয়া ২৩ জানুয়ারী ২০০৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "জাজিরা উপজেলার ঐতিহ্য"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২০ 
  3. "আমিনুল ইসলাম দানেশ মিয়া"শরীয়তপুর পোর্টাল। ২৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২০ 
  4. ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট (১০ ডিসেম্বর ২০১৮)। "শরীয়তপুর হানাদারমুক্ত হয় ১০ ডিসেম্বর"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২০ 
  5. শরীয়তপুর, জেলা প্রতিনিধি (১০ ডিসেম্বর ২০১৯)। "পুরুষদের হত্যার পর গণকবর, ধর্ষণের পর নারীদের লাশ নদীতে"জাগো নিউজ। ২৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২০