আমাল তামিমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আমাল তামিমি (জন্ম জেরুজালেম, ৭ জানুয়ারি ১৯৬০) একজন নারীবাদী, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় বিদেশী বংশোদ্ভূত ব্যক্তি (পল ফন্টেইন নিকোলভের পরে) এবং প্রথম বিদেশী বংশোদ্ভূত মহিলা যিনি আইসল্যান্ডের পার্লামেন্টে বসেছিলেন (২০১১ সালে লুডভিক গেইরসনের বিকল্প এবং ২০১২ সালে ক্যাট্রিন জুলিয়াসডোটিরের জন্য)।[১]

জর্ডানে[সম্পাদনা]

আমাল ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন, পূর্ব জেরুজালেমের ওয়াদি-এল-জোজে বেড়ে উঠেন। তার পিতা ছিলেন সালিম আবু খালেদ আল তামিমি (ঘ. ১৯৬৯), একজন ব্যবসায়ী ও আবেগপ্রবণ কর্মী এবং তার মা সালিমের দ্বিতীয় স্ত্রী নাজিমা আবু রাজাব আল তামিমি (ঘ. ১৯৮১);[২] তার ভাইবোনরা হলেন ইয়নেস (জন্ম. ১৯৫০), রোদা (জন্ম. ১৯৪৮), সাফাহ (জন্ম. ১৯৪৯), আমনেহ এবং সালমান (জন্ম. ১৯৫৫)। ইউনেস ১৯৬৬ সালে আমনেহ কয়েক বছর পরে এবং সালমান ১৯৭১ সালে আইসল্যান্ডে, চলে যান॥ [৩]

আমাল ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন; সেই সময় ইউনেস আইসল্যান্ডে ছিলেন, তার মানে ছিল যে তিনি ইজরায়েলে থাকার অধিকার হারিয়েছেন।[৪] তিনি ইজরায়েলে তার বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। ১৩ বছর বয়সে ইজরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের দায়ে তাকে দুই সপ্তাহের জন্য বিচারাধীন অবস্থায় কারাগারে রাখা হয়[৫] এবং ছয় মাসের স্থগিতাদেশ পাওয়া যায়।[৫] তিনি ১৬ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো বিয়ে করেন।[৬] ১৯৯৫ সালে তার স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার আগে তার গর্ভজাত সন্তানেরা হলেন, ফ্যালাস্টিন (জন্ম. ১৯৭৮), ফিদা (জন্ম. ১৯৮০), ওয়ালা (জন্ম. ১৯৮৫), মাজদ (জন্ম. ১৯৮৬)ও [৭] (জন্ম. ১৯৯০)। ১৯৯৫ সালে তার স্বামীকে ত্যাগ করার সময় এই বিবাহকে অপমানজনক বিবাহ হিসেবে বর্ণনা করার পর সন্তানদের নিয়ে আইসল্যান্ডে তার ভাই সালমানের (সুলেইমান) কাছে পালিয়ে যান।[৮] পরে আমাল বলেছিলেন যে তিনি অনুভব করেছিলেন যে শরিয়া আইনের অধীনে একজন মহিলা হিসাবে তাঁর কোনও অধিকার নেই।[৯]

১৯৮৭ সালে তিনি ওয়াইডব্লিউসিএ-র মাধ্যমে ব্যবসায়িক অধ্যয়নে ডিপ্লোমা অর্জন করেন এবং একটি এনজিওতে কাজ করেন।[১০]

আইসল্যান্ডে[সম্পাদনা]

আমাল ১৯৮৩-৮৪ সালে প্রথম আইসল্যান্ডে বসবাস করেন এবং তার স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে নয়সিরিয়াসের হয়ে কাজ করেন [১১]

তার ভাই সালমান (সুলেইমান) এর সহায়তায়, অমল তার পাঁচ সন্তানকে[১২] নিয়ে ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে আইসল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি একজন পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করতেন; তারপর একটি বেকারিতে এবং মাছ প্রক্রিয়াকরণে, এবং আইসল্যান্ডীয় শিখেছিলেন।[১৩] শীঘ্রই দ্বিতীয় সঙ্গী হেইদারের সাথে তাঁর দেখা হয়, ১৯৯৭ সালে তাঁদের সন্তান হয় বিসান ইঙ্গা; আমাল এবং হেইদার ২০০০ সালে আলাদা হয়ে যান। একজন অ-আরব ব্যক্তির সাথে আমালের অংশীদারত্ব তার পরিবারে একটি বড় ফাটল সৃষ্টি করে, যার মধ্যে তার ভাই সালমান (সুলেইমান) এর সাথেও ছিল, যিনি তাকে অস্বীকার করেছিলেন।[১৪]

২০০১ সালে, ৪১ বছর বয়সে, আমাল আইসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, ২০০৪ সালে সামাজিক বিজ্ঞানে বিএ নেন, যার শিরোনাম ছিল 'ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসবাদ: ধর্ম বা ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদ?'[১৫] ২০০২ সালে তিনি আইসল্যান্ডের নাগরিকত্ব লাভ করেন (যার জন্য তাকে প্যালেস্টাইন নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়)[১৬] এবং ২০০৩ সালের ২৪ অক্টোবর W.O.M.E.N (উইমেন অফ মাল্টিকালচারাল এথনিসিটি নেটওয়ার্ক) প্রতিষ্ঠা করেন।[১৭] ২০০৪ সাল থেকে তিনি আলজোদাহুসের একজন পরামর্শদাতা ছিলেন।[১৮] ২০০৮ সালে, তিনি আইসল্যান্ডের অভিবাসন কাউন্সিলের সভাপতি প্রথম অভিবাসী হন, জাফনরেত্তিশুস (সমতা কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠা করেন এবং হাফনারফজর্দুর টাউন কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রথম অভিবাসী হন, অন্যদিকে তার মেয়ে ফালাস্টিন আবু লিবদেহ রেকজাভিক সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রথম অভিবাসী ছিলেন।[১৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Guðni Thorlaicus Jóhannesson, The History of Iceland (Santa Barbara: Greenwood, 2013), https://books.google.com/books?id=Elh1oH6ESSIC& (p. 138); http://icelandreview.com/news/2011/11/04/first-foreign-born-woman-joins-icelands-parliament ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে; http://www.mbl.is/frettir/innlent/2012/09/17/amal_tamimi_tekur_saeti_a_althingi/.
  2. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 9, 24-25, 43.
  3. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 15, 17, 19-20, 25.
  4. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 12-14.
  5. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 26-28.
  6. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), p. 30.
  7. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 43-44, 49.
  8. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 57-60.
  9. Cynthia Stimming (১৫ আগস্ট ২০১৪)। "Arabísk kona á Íslandi (e. Arabic woman in Iceland)" (আইসল্যান্ডীয় ভাষায়)। Morgunblaðið। 
  10. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), p. 48.
  11. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 44-47.
  12. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 61-62.
  13. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 63-69.
  14. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 70-76.
  15. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 82, 86.
  16. http://jafn.is/index.php?option=com_content&task=view&id=91&Itemid=75 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৫-০২-১৩ তারিখে.
  17. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), p. 87; http://en.womeniniceland.is/?c=webpage&id=55&lid=20&option=links.
  18. Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), p. 96.
  19. http://icelandreview.com/news/2008/03/19/mother-and-daughter-palestine-elected-local-governments; Kristjana Guðbrandsdóttir, Von: Saga Amal Tamimi ([Reykjavík]: Bókaútgáfan Hólar, 2013), pp. 102-3.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]