আমারাহ
Amarah | |
---|---|
Amarah's location inside Iraq | |
স্থানাঙ্ক: ৩২°০′ উত্তর ৪৭°০′ পূর্ব / ৩২.০০০° উত্তর ৪৭.০০০° পূর্ব | |
Country | Iraq |
Governorate | Maysan |
জনসংখ্যা (2005) | |
• মোট | ৪,২০,০০০ |
আমারাহ (আরবি: العمارة) দক্ষিণ-পূর্ব ইরাকের একটি শহর এবং মায়সান প্রদেশের রাজধানী। শহরটি টাইগ্রিস নদীর দুই তীরে ইরান-ইরাক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত। শহরটি টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ১৬ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের ত্রিভুজাকৃতির জলা এলাকার উত্তর শীর্ষ নির্দেশ করছে।[১] আমরাহ শহরের অর্থনীতি খামারজাত দ্রব্য যেমন চাল, খেজুর এবং ভেড়ার উপর নির্ভরশীল। ১৯৮০-র দশকে এখানে সরকার নতুন কিছু ঘাট নির্মাণ করে। এখানে জাপানি-নির্মিত একটি হাসপাতালও আছে। আমারাহ সড়কপথে অন্যান্য প্রধান ইরাকি নগরের সাথে যুক্ত।
১৮৬০-এর দশকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের একটি সামরিক সীমান্ত ঘাঁটি হিসেবে আমারাহ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমারাহ থেকে উসমানীয়রা স্থানীয় বানু লাম এবং আল বু মুহাম্মাদ নামের দুই গোত্রের দীর্ঘকালীন বিবাদ মীমাংসার চেষ্টা করে। শহরটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের আল-আমারাহ প্রদেশের রাজধানীতে পরিণত হয়। প্রশস্ত ও আধুনিক রাস্তা দিয়ে তৈরি শহরটি একটি বড় বাজার শহরে পরিণত হয় এবং টাইগ্রিসের উপরে চলাচলকারী স্টিমারগুলির জ্বালানি পুনরায় ভরার কেন্দ্রের কাজ করে। ১৯১৫ সালে ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনারা উসমানীয়দের কাছ থেকে আমারাহ শহর দখলে নিয়ে নেয়।[২]
১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন শক্তি এই শহরের উপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে এবং টাইগ্রিসের উপর দিয়ে শহরকে বাগদাদ ও বসরার সাথে সংযোগকারী বহু সেতু ধ্বংস হয়ে যায়। আমারাহ শহর একটি শিয়া অধ্যুষিত শহর এবং এখানকার শিয়ারা ১৯৯১ সালের মার্চে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। তবে ইরাকি সরকার শক্ত হাতে এগুলি দমন করেন। দমনের ফলে শহরের হাজার হাজার অধিবাসী কাছের জলাভূমিগুলিতে এবং ইরানে পালিয়ে যায়। ১৯৯২ সালে সরকার ভেঙে পড়া সেতুগুলি পুনর্নির্মাণ সমাপ্ত করে।
বর্তমানে এখানে ৪ লক্ষেরও বেশি লোক বাস করেন। এলাকাটি বুননশিল্প এবং রূপার তৈজসপত্রের জন্য পরিচিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Al 'Amarah"। Encarta Online Encyclopedia। Microsoft। ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-২০।
- ↑ "al-'Amarah"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-২০।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]---