আব্দুল জহির (রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শরিফি আব্দুল জহির
আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৯ জুন ১৯৭১ – ১২ ডিসেম্বর ১৯৭২
সার্বভৌম শাসকমোহাম্মদ জহির শাহ
পূর্বসূরীমোহাম্মদ নূর মোহাম্মদ ইতেমাদি
উত্তরসূরীমোহাম্মদ মূসা শফিক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৩ মে ১৯১০
লেহমান, আফগানিস্তান
মৃত্যু২১ অক্টোবর ১৯৮২(1982-10-21) (বয়স ৭২)
কাবুল, আফগানিস্তান
রাজনৈতিক দলস্বতন্ত্র
দাম্পত্য সঙ্গীক্যূরাইশা
সন্তানআহমেদ জহির, জহিরা জহির, আসিফ জহির, বিলকিস জহির

আব্দুল জহির (৩ মে ১৯১০ — ২১ অক্টোবর ১৯৮২) ৭০ এর দশকে আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি আফগানিস্তানের লেহমান প্রদেশে পশতুন সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করেন। আব্দুল জহির কাবুলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব মেডিসিন এবং জনস্ হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্যের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। জহির একজন ডাক্তার হিসেবে আফগানিস্তানে ফিরে আসেন, কিন্তু এখানে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার রাজনৈতিক জিবনে তিনি আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আইনসভার প্রেসিডেন্ট এবং ইতালিপাকিস্তানে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েক মাস পর আফগানিস্তানের রাজা মোহাম্মদ জহির শাহ্'কে ক্ষমতাচ্যূত করা হয়। ফলে আব্দুল জহিরকে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করতে হয়।

জহিরের সহধর্মিণী ক্যূরাইশা এবং তাদের চার সন্তান ছিল। তার ছেলে আহমেদ জহির বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন, যিনি ১৯৭৯ গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা যান। তার কন্যা জহিরা জহির যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হেয়ারড্রসার হিসেবে কর্মরত আছেন।[১][২][৩] তার জ্যেষ্ঠ্য সন্তান আসিফ জহিরও (১৯৩২-২০০০) রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি আফগানিস্তানের পল্লী উন্নয়ন ও পূনর্বাসন মন্ত্রী ও কুয়েতইতালিতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর তিনি পাকিস্তানের পেশোয়ারে বসবাস শুরু করেন, যেখানে তিনি আফগান ন্যাশনাল মুভমেন্ট (এএনএম) নামের রাজনৈতিক জোট গঠনের মাধ্যমে আফগানিস্তানে শান্তির পক্ষে প্রচারণা চালান। আব্দুল জহিরের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান, বিলকিস জহির বর্তমানে জার্মানিতে বসবাস করছেন এবং সেখানে তিনি একটি বিউটি পার্লার পরিচালনা করছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Amy Waldman (২০ মার্চ ২০০৩)। "Kabul Journal; The Afghan Elvis 'Lives' 24 Years After His Death"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০৩ 
  2. John R. Thomson (২০ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Above & Beyond: Profiles of Afghan commitment"National Review। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০৩ 
  3. "The Life of the President's Barber"CNN। ২ ডিসেম্বর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]