আবু আল হাসান মাদ্রাসা

স্থানাঙ্ক: ৩৪°০২′২৩.৫″ উত্তর ৬°৪৯′৩৮.১″ পশ্চিম / ৩৪.০৩৯৮৬১° উত্তর ৬.৮২৭২৫০° পশ্চিম / 34.039861; -6.827250
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবু আল হাসান মাদ্রাসা
মাদ্রাসা চত্বর
মানচিত্র
বিকল্প নামস্যালের মেরিনিড মাদ্রাসা
সাধারণ তথ্য
ধরনমাদ্রাসা
স্থাপত্য রীতিমেরিনিড, মরোক্কান, মুর, ইসলামি
অবস্থানস্যালে,মরক্কো
স্থানাঙ্ক৩৪°০২′২৩.৫″ উত্তর ৬°৪৯′৩৮.১″ পশ্চিম / ৩৪.০৩৯৮৬১° উত্তর ৬.৮২৭২৫০° পশ্চিম / 34.039861; -6.827250
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৩৪১

আবু আল-হাসানের মাদ্রাসা, যাকে মেরিনিড মাদ্রাসা বা Marinid Madrasa (of Salé)ও বলা হয়, একটি মধ্যযুগীয় মাদ্রাসা। এটি মরক্কোর পুরানো শহর স্যালে তে অবস্থিত। এটি ১৩৪১ সালে মেরিনিড সুলতান আবু আল-হাসান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং মাদ্রাসাটি তার সমৃদ্ধ অলঙ্করণের জন্য বিখ্যাত।[১][২][৩] এটি স্যালের গ্র্যান্ড মসজিদের পাশেই অবস্থিত এবং শহরের ধর্মীয় ও বুদ্ধিভিত্তিক জীবনের উত্তরোত্তর বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে মসজিদটিকে নির্মাণ করা হয়েছিল।[৪]

স্থাপত্যশৈলী[সম্পাদনা]

মাদ্রাসার প্রবেশপথে অলংকৃত পাথুরে ঘোড়ার খুড়ের বাঁকানো দরজা পরিলক্ষিত হয়।এই প্রবেশদ্বারটি একটি ছোট ভেস্টিবুলের দিকে নির্দেশ করে, যা থেকে পাশের সিঁড়িটি দিয়ে উপরের তলায় যাওয়া যায়। ভেস্টিবুলের ওপারে,পাশের পথ দিয়ে প্রবেশ করলে প্রায় ৮ বাই ৫ মিটার এর একটি কেন্দ্রীয় ময়দান পাওয়া যায় ।[২] জেলিজ টাইলওয়ার্ক দিয়ে উঠোনটি প্রশস্ত করা হয়েছে, এতে একটি ছোট কেন্দ্রীয় ঝর্ণা রয়েছে এবং এটিকে বৃত্তাকার গাঁথনি কলামগুলির একটি গ্যালারী দ্বারা আবদ্ধ করা হয়েছে যা কাঠের খোদাই দ্বারা সজ্জিত। গ্যালারীর কলাম এবং উঠোনের বাইরের প্রাচীরের মধ্যে ফাঁকা স্থানগুলি জ্যামিতিক নক্ষত্রের নকশায় খোদাই করা আঁকা কাঠের সিলিং দ্বারা আবৃত, যার একটি অংশকে তার আনুমানিক মূল রঙে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।[৩] কাছাকাছি গ্র্যান্ড মসজিদের মতো পুরো বিল্ডিংটি সেই সময়ের কিবলা র(প্রার্থনার দিকনির্দেশনা) দিকে সারিবদ্ধ করা হয়েছে। তদানুসারে, প্রাঙ্গণের শেষ প্রান্তে একটি বিশাল আয়তক্ষেত্রাকার প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে যা মিহরাব নামে পরিচিত, যার চারপাশে আরও জটিল কারুকাজ এবং খোদাই করা জানালা রয়েছে। ঘরটি মিহরাবের দুপাশে খিলান দ্বারা তিনটি ফাঁকে বিভক্ত করা হয়েছে এবং আরও কাঠের সিলিং দ্বারা আবৃত। উপরের তলাটি ছাত্রদের জন্য এবং থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের অন্যান্য মাদ্রাসার মত শিক্ষার্থীদের জন্য সামনের খোলা ময়দানে তাকানোর এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কক্ষে কোনো জানালা নেই।

সম্ভবত অন্যান্য মেরিনিড মাদ্রাসার চেয়ে, এই মাদ্রাসার সাথে নাসরি শিল্প ও স্থাপত্যের (যেমন প্রাসাদ আলহাম্বরা) মিল পাওয়া যায়, যা দুই অঞ্চলের মধ্যে শৈল্পিক শব্দভান্ডার ভাগ করেছে।[১] অলঙ্করণটি জেলিজ টাইলওয়ার্কসমেত মেঝে এবং ঢেকে দেয়া নীচের দেয়ালগুলি নিয়ে গঠিত, উপরে কাঠের ছাউনি রয়েছে।[২] কাঠ এবং স্টুকো উভয়ই ক্যালিগ্রাফিক সজ্জায় এবং জ্যামিতিক, আরবস্কু এবং পুষ্পশোভিত/উদ্ভিজ্জ নিদর্শনগুলির একটি পরিবর্তনীয় পুস্তক সহ খোদাই করা হয়েছে।[৩] শিলালিপি সহ খোদাই করা ভবনের ভিত্তি একটি আয়তক্ষেত্রাকার মার্বেল প্যানেল যা মূলত উঠোনের উত্তর-পশ্চিম দেয়ালে স্থাপন করা হয়েছিল (মিহরাব এবং প্রার্থনার ঘরের বিপরীতে)।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kubisch, Natascha (2011). "Maghreb - Architecture" in Hattstein, Markus and Delius, Peter (eds.) Islam: Art and Architecture. h.f.ullmann.
  2. Marçais, Georges (১৯৫৪)। L'architecture musulmane d'Occident। Arts et métiers graphiques। পৃষ্ঠা 289–290। 
  3. Parker, Richard (১৯৮১)। A practical guide to Islamic Monuments in Morocco। The Baraka Press। 
  4. Mouline, Saïd (২০০৮)। "Rabat. Salé – Holy Cities of the Two Banks"। The City in the Islamic World। Brill। পৃষ্ঠা 643–662। আইএসবিএন 9789004171688