আবুল হুসসাম
আবুল হুসসাম | |
---|---|
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিটসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | সোনো আর্সেনিক ফিল্টার আবিষ্কার ও বিতরণ। |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয় জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয় কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি |
অধ্যাপক আবুল হুসসাম একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী, তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করে কম খরচে ভূ-গর্ভস্থ আর্সেনিকযুক্ত পানি পরিশোধনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
শৈশব
আবুল হুসসাম ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন
আবুল হুসসাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রসায়ন বিভাগ থেকে ১৯৭৫ সালে বিএসসি এবং ১৯৭৬ সালে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার উদ্দ্যেশে গমন করেন। ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনালিটিক্যাল রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। এই সময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
কর্মজীবন
অধ্যাপক হুসসাম তার কর্মজীবনের এক বৃহৎ অংশ কাটিয়েছেন সেন্টারভাইলস্থ ভার্জিনিয়াতে, গবেষণা কর্মের মাধ্যমে। সেখানে তিনি বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতীয় ভূখণ্ডের ভূগর্ভস্থ পানিতে থাকে আর্সেনিক ও এর প্রতিকার নিয়ে গবেষণা করেন। হুসসাম আর্সেনিক নিয়ে তার গবেষণা কর্ম শুরু করেন ১৯৯৩ সাল থেকে।[১] নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে তিনি পানিতে থাকা আর্সেনিকের মাত্রা প্রায় নির্ভুল ভাবে নির্ণয় করাতে সক্ষম যন্ত্র আবিষ্কার করেন। চূড়ান্ত সাফল্য এলো একটি সরল ও সহজ রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা সম্পন্ন পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র বা ছাঁকনির মাধ্যমে। এই পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রটি মূলত একটি ফিল্টার বা ছাঁকনি বিশেষ যা পানিতে থাকা আর্সেনিক ও আরও কিছু ক্ষতিকর খনিজ পদার্থকে পরিস্রাবণ করার মাধ্যমে পানিকে পানযোগ্য করে তোলে। এই বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রে বালি, কাঠ কয়লা, ক্ষুদ্র ইটের খোয়া ও কাস্ট আয়রন (ঢালাই লোহা) ব্যবহার করা হয়। ফিল্টার বা ছাঁকনিটি আর্সেনিক দোষিত পানির প্রায় সমস্ত আর্সেনিক অবমুক্ত করার ক্ষমতা রাখে।
প্রকাশনা ও উপস্থাপনা
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও প্রখ্যাত জার্নালে অধ্যাপক হুসসামের প্রায় শতাধিক প্রকাশনা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও অনুষ্ঠানে তার উপস্থাপনা রয়েছে।
পুরস্কার ও সম্মাননা
- সম্মানসূচক ডক্টর অব সায়েন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০৯
- ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, গ্রেইঞ্জার চ্যালেঞ্জ পুরস্কার, স্বর্ণপদক, ২০০৭।
- বাংলাদেশ আমেরিকান সোসাইটি অফ হিউম্যানিটি পুরস্কার, ২০০৭।
- টাইম ম্যাগাজিন, গ্লোবাল হিরোস অফ দি এনভায়রনমেন্ট পুরস্কার, ২০০৭।
- ডিস্টিংগুইশড এলুমনি পুরস্কার। রসায়নবিদ্যা বিভাগ। পিটসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০৮।
- আউটস্ট্যান্ডিং আমেরিকান বাই চয়েস পুরস্কার, ইউএস সিটিজেনশিপ এ্যান্ড ইমিগ্রেশন্স সার্ভিস, ২০০৮।
- ডিস্টিংগুইশড স্পিকার সিরিজ পুরস্কার, কালামাযু ম্যাথ এ্যান্ড সায়েন্স সেন্টার, কালামাযু, মিশিগান, ২০০৮।
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক ফাউন্ডেশান পুরস্কার ইন দি ফিল্ড অফ সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ, ২০১০।
বহিঃসূত্র
- Hussam's official site
- Invention description at GMU website
- National Academies Press Release, accessed 5 Feb 2007.
তথ্যসূত্র
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১১ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।