আবদুল কাদির আল-হুসাইনি
আবদুল কাদির আল-হুসাইনি عبد القادر الحسيني | |
---|---|
জন্ম নাম | আবদুল কাদির আল-হুসাইনি |
জন্ম | ১৯০৭ জেরুজালেম, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ৮ এপ্রিল ১৯৪৮ আল-কাসতাল, মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন |
আনুগত্য | ফিলিস্তিনি আরব অনিয়মিত বাহিনী |
সেবা/ | জাইশ আল-জিহাদ আল-মুকাদ্দাস |
কার্যকাল | ১৯৩৬–১৯৪৮ |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | ফিলিস্তিনে আরব বিদ্রোহ, ১৯৩৬-৩৯ ফিলিস্তিনে গৃহযুদ্ধ, ১৯৪৭-৪৮ |
আবদুল কাদির আল-হুসাইনি (আরবি: عبد القادر الحسيني) (১৯০৭ – ৮ এপ্রিল ১৯৪৮) ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি আরব জাতীয়তাবাদী ও যোদ্ধা। ১৯৩৩ সালে তিনি গোপন সামরিক সংগঠন মুনাসামাত আল-জিহাদ আল-মুকাদ্দাস গঠন করেন।[১][২] তিনি ও হাসান সালামা ১৯৩৬-৩৯ এর আরব বিদ্রোহ ও ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময় জাইশ আল-জিহাদ আল-মুকাদ্দাস নামক বাহিনী পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।
পরিবার ও প্রথম জাতীয়তাবাদী কর্মজীবন
[সম্পাদনা]হুসাইনি জেরুজালেমের প্রভাবশালী আল-হুসাইনি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুসা আল-হুসাইনি ও চাচার নাম মুহাম্মদ আমিন আল-হুসাইনি। তিনি কায়রোর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক হন এবং মুসলিমদের একটি কংগ্রেস গঠন করেন।
প্রথমে তিনি ব্রিটিশ মেন্ডেটের বসতি বিভাগে কাজে যোগ দেন। কিন্তু পরে ১৯৩৬-৩৯ সালের ফিলিস্তিনে বিদ্রোহের সময় তিনি হেবরনে চলে আসেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। প্যালেস্টাইন আরব পার্টির সদস্য হিসেবে এর সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ও দলের পত্রিকা আল-লিওয়া এর প্রধান সম্পাদক হন।[৩] সে সাথে আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া সহ অন্যান্য পত্রিকাতেও তিনি যুক্ত ছিলেন।
আবদুল কাদির ১৯৩৪ সালে বিয়ে করে। তিনি আরব স্টাডিস সোসাইটি এর প্রতিষ্ঠাতা, ফাতাহ এর সদস্য ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জেরুজালেম বিষয়ক মন্ত্রী ফয়সাল আল-হুসাইনির পিতা।
আল-কাসতালের যুদ্ধ
[সম্পাদনা]১৯৩৮ সালে হুসাইনিকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৩৯ সালে তিনি ইরাক চলে যান এবং রশিদ আলি আল-কাইলানির অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৪৬ সালে তিনি মিশর চলে যান। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি জাইশ আল-জিহাদ আল-মুকাদ্দাস পরিচালনার জন্য গোপনে ফিলিস্তিন আসেন। ১৯৪৮ সালের ৮ এপ্রিল কাসতাল পাহাড় পরিদর্শনের সময় তাকে হত্যা করা হয়।[৪] তার বাহিনী পরে হাগানার কাছ থেকে কাসতাল দখল করে নেয়। ইতিপূর্বে হাগানা এটি দখল করেছিল।[৫][৬] হাগানার পালমাচ সেনারা ৮-৯ এপ্রিল রাতে গ্রামটি পুনরায় দখল করে নেয়।[৭] অধিকাংশ বাড়ি উড়িয়ে দেয়া হয় এবং পাহাড়টি একটি কমান্ড পোস্ট হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়।[৮][৯] হুসাইনির মৃত্যুর ফলে তার সেনাদের মনোবলে ভাঙন ধরেছিল।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Swedenburg, 1999, p. 150
- ↑ Sayigh, 2000, p. 35
- ↑ Levenberg, 1993, p. 6.
- ↑ Morris, 2008, p.123.
- ↑ Morris, 2003, p. 234.
- ↑ Dana Adams Schmidt, 'Arabs Win Kastel But Chief is Slain', New York Times, 9 April 1948, p. 8 (A brief biography and account of the battle).
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৪।
- ↑ Benveniśtî, 2002, p.111.
- ↑ Morris, 2003, p. 235.
- ↑ Time Magazine, War for Jerusalem Road
- Benveniśtî, Mêrôn (2002). Sacred Landscape: The Buried History of the Holy Land Since 1948. University of California Press. আইএসবিএন ০-৫২০-২৩৪২২-৭
- Levenberg, Haim (1993). Military Preparations of the Arab Community in Palestine: 1945-1948. London: Routledge. আইএসবিএন ০-৭১৪৬-৩৪৩৯-৫
- Morris, Benny (2003). The Birth of the Palestinian Refugee Problem Revisited. Cambridge University Press. আইএসবিএন ০-৫২১-০০৯৬৭-৭
- Morris, Benny (2008). 1948. Yale University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩০০-১৫১১২-১
- Robinson, Glenn E. (1997) Building a Palestinian State: The Incomplete Revolution. Indiana University Press. আইএসবিএন ০-২৫৩-২১০৮২-৮
- Sayigh, Yezid (2000). Armed Struggle and the Search for State: The Palestinian National Movement, 1949-1993. Oxford: Oxford University Press. আইএসবিএন ০-১৯-৮২৯৬৪৩-৬
- Swedenburg, Ted (1999). The role of the Palestinian peasantry in the Great Revolt (1936-9). In Ilan Pappé (Ed.). The Israel/Palestine Question (pp. 129–168). London: Routledge. আইএসবিএন ০-৪১৫-১৬৯৪৭-X
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Handwritten letter by Abd al-Qadir al-Husayni
- PASSIA
- Abd al-Qadir al-Husayni's Koran http://www.ynetnews.com/articles/0,7340,L-3406966,00.html
- Biography by Hasan Afif El-Hasan
- "War for Jerusalem Road."। Time Magazine। এপ্রিল ১৯, ১৯৪৮। সেপ্টেম্বর ৩০, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩১, ২০০৯।