আফগানিস্তানে খনিজ সম্পদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
একটি আফগান ল্যাপিস লাজুলি ব্লক।

আফগানিস্তানের সব খনিজ সম্পদ পেট্রোলিয়াম ও খনি মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৫ ই আগস্ট তালেবান কর্তৃক আফগান দখলের পর তারা এসব নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং সেসব উত্তোলনে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মন্ত্রকটির সদর দপ্তর কাবুলে হলেও দেশের অন্যান্য অংশে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে এবং আফগানিস্তানে ১,৪০০ টিরও বেশি খনিজ ক্ষেত্র রয়েছে। [১] [২] [৩] ব্যারাইট, ক্রোমাইট, কয়লা, তামা, সোনা, লৌহ, সীসা, আকরিক, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, মূল্যবান ও আধা-মূল্যবান পাথর, লবণ, সালফার, লিথিয়ামসহ অন্যান্য অনেক দামী খনিজ সম্পদ দেশটিতে ছড়িয়ে আছে। [১] [৪] [৫] রত্নপাথরের মধ্যে রয়েছে উচ্চমানের পান্না, ল্যাপিস লাজুলি, লাল গার্নেট ও রুবি । পেন্টাগন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের যৌথ সমীক্ষা অনুসারে আফগানিস্তানে আনুমানিক প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের [৬] অপ্রয়োগকৃত খনিজ রয়েছে।

আফগানিস্তানে মোট ছয়টি ল্যাপিস খনি রয়েছে, এর সবচেয়ে বড়টি বাদাখশান প্রদেশে অবস্থিত। লোগার প্রদেশে অবস্থিত আয়নাক তামার আমানতসহ দেশে প্রায় ১২টি তামার খনি রয়েছে। [৭] শক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে আফগানিস্তানের তাৎপর্য মধ্য এশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়া ও আরব সাগরে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিদ্যুৎ রপ্তানির ট্রানজিট রুট হিসেবে ভৌগোলিক অবস্থান থেকে উদ্ভূত। এ সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছে ট্রান্স -আফগানিস্তান গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ, যা সম্ভাব্য পর্যায়ে রয়েছে। আফগানিস্তানে তেল উৎপাদন শুরু হয় ২০১২ সালের শেষ দিকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Market Prospects" (পিডিএফ)। Afghanistan Investment Support Agency। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  2. "Minerals in Afghanistan" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  3. Latifi, Ali M. (২০১৩)। "Afghan mines among world's most dangerous"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  4. Kuo, Chin S.। "The Mineral Industry Of Afghanistan" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬ 
  5. Trakimavicius, Lukas (২২ মার্চ ২০২১)। "Is China really eyeing Afghanistan's mineral resources?"। Energy Post। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  6. "Afghanistan's resources could make it the richest mining region on earth however due to the war lasting over 30 years their mining has failed"The Independent। ১৪ জুন ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭ 
  7. "Afghanistan Home to 24 Precious Mineral Varieties"। ২০১১-০৭-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-১৪