বিষয়বস্তুতে চলুন

আন নুসরা ফ্রন্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আন নুসরা ফ্রন্ট
جبهة النصرة لأهل الشام
নেতাAbu Mohammad al-Julani (top emir)[]
Abu Abdullah al-Shami (senior member)
Ahmad Salama Mabruk  (senior member)
Abu Hajer al-Homsi  (top military commander)[]
Abu Omar al-Turkistani  (top military commander)[]

আল-নুসরা ফ্রন্ট বা জাবহাতুন নুসরা বা, যাবহাতু ফাতাহ আল-শাম হল সিরীয় গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা একটি সুন্নি জিহাদি সংগঠন।[] এর লক্ষ্য হল, বর্তমান সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাসার আল আসাদের পতন ঘটিয়ে সেখানে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। অতীতে দলটি বেশ কয়েকবার তার নাম পরিবর্তন করেছে। ২০১৩ সালে এটা আল কায়েদার সিরীয় শাখার পরিণত হয় এবং ২০১৭ সালে গোষ্ঠিটি আল কায়েদা বা অন্য কারো শাখা সংগঠন হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে।[]

২০১২ সালে এটি গঠিত হয় এবং সে বছরের নভেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্ট আননুসরাকে বিদ্রোহী বাহিনীগুলির মধ্যে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ও সফল হিসাবে বর্ণনা করে।[] ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এটিকে একটি বিদেশী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে মনোনীত করে। [] এর ফলে ২০১৩ সালের এপ্রিলে এটি আল কায়েদার আনুষ্ঠানিক সিরীয় শাখায় পরিণত হয়। []

২০১৫ সালের মার্চে গ্রুপটি অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর সাথে যোগ দিয়ে জায়শুল ফাতাহ গঠন করে। [] ২০১৬ সালের জুলাই মাসে এটি জাবহাতুন নুসরা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাবহাতু ফাতাহ আল-শাম নাম ধারণ করে।[১০] ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি দলটি আহরার আল শাম ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সাথে সহিংস সংঘর্ষের পরে অন্য চারটি দলের সাথে একীভূত হয়ে হায়াতু তাহরির আল শাম গঠন করে একটি নতুন গোষ্ঠী রূপে আত্মপ্রকাশ করে। [১১] তখন গ্রুপটি আল কায়েদা বা অন্য কারো অংশ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং একটি বিবৃতিতে বলে যে, গ্রুপটি একটি স্বাধীন সত্তা এবং এটি পূর্ববর্তী সংগঠন বা উপদলের সম্প্রসারণ নয়। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Time Exclusive: Meet the Islamist Militants Fighting Alongside Syria's Rebels"Time। ২৬ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২১ 
  2. "Air strike kills top commander of former Nusra group in Syria"। Reuters। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২২ 
  3. Caleb Weiss (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Uighur jihadist fought in Afghanistan, killed in Syria"Long War Journal। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  4. R., Green (২৫ নভেম্বর ২০১৩)। "Al-Qaeda Upgrades Its Presence in Syria"। Middle East Media Research Institute। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৫ 
  5. Joscelyn, Thomas (১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Hay'at Tahrir al Sham leader calls for 'unity' in Syrian insurgency"Long War Journal। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  6. Ignatius, David (৩০ নভেম্বর ২০১২)। "Al-Qaeda affiliate playing larger role in Syria rebellion"The Washington Post। ৯ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৫ 
  7. "Terrorist Designations of the al-Nusrah Front as an Alias for al-Qa'ida in Iraq"। U.S. Department of State। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৮ 
  8. "Zawahiri disbands main Qaeda faction in Syria"। Agence France-Presse। ৮ নভেম্বর ২০১৩। ৯ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. Hubbard, Ben (১ অক্টোবর ২০১৫)। "A Look at the Army of Conquest, a Prominent Rebel Alliance in Syria"The New York Times। ৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮ 
  10. "Syrian Nusra Front announces split from al-Qaeda"BBC News। ২৮ জুলাই ২০১৬। ৩০ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৬ 
  11. Joscelyn, Thomas (২৮ জানুয়ারি ২০১৭)। "Al Qaeda and allies announce 'new entity' in Syria"Long War Journal। ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮