আনাকা অলঙ্কামনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আনাকা অলঙ্কামনি (জন্ম ১০ই জুলাই ১৯৯৪) হলেন একজন ভারতীয় স্কোয়াশ খেলোয়াড়।[১] তিনি ২০১০ সালে খেলোয়াড় জীবনের সর্বোচ্চ বিশ্ব মর্যাদাক্রম ৫৯ অর্জন করেছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে অর্জুন পুরস্কার দ্বারা সম্মানিত হয়েছিলেন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

তিনি শ্রী শিবাসুব্রমনিয়া নাদার কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রী এবং সেক্রেড হার্ট ম্যাট্রিকুলেশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল চেন্নাইয়ের প্রাক্তন ছাত্রী ছিলেন।

আনাকা ২০১৩ সালের শরৎকালে ফিলাডেলফিয়ার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে, তিনি মহিলা স্কোয়াশ দলে খেলেন এবং কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইকোনমিক্স অধ্যয়ন করেন। যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর অধ্যয়নের ফলে তিনি টুর্নামেন্টে কম অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিশ্ব স্কোয়াশ মর্যাদাক্রমে তাঁর র‌্যাঙ্ক পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে এটিকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মাত্র ১৩ বছর বয়সে এশীয় অনূর্ধ্ব- ১৫ সার্কিটে আনাকা প্রথম বড় জয় পেয়েছিলেন।[৩] ২০০৯ সালে তিনি ১৫ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে ডব্লিউআইএসপিএ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে খেতাব অর্জন করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। মালয়েশিয়ার নিকোল ডেভিড এর আগে ১৬ বছর বয়সে শিরোপা জিতেছিলেন।[৪] জোশনা চিনপ্পার পর আনাকা দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি ডব্লিউআইএসপিএ খেতাব জিতেছেন।[৫] তিনি ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য একই শিরোপা জিতেছিলেন।[৬]

তিনি মাদ্রাজ নর্থওয়েস্ট রোটারি ক্লাব কর্তৃক ইয়াং অ্যাচিভার পুরস্কারে ভূষিত হন।[৭]

২০০৮ সালে, তিনি কোরিয়াতে এশিয়ান জুনিয়র স্কোয়াশ স্বতন্ত্র চ্যাম্পিয়নের মুকুট লাভ করেন।

আনাকা গুয়াংজুতে ২০১০ এশিয়ান গেমসে একটি ব্রোঞ্জ পদক (দলগত) এবং ইনছনে ২০১৪ এশিয়ান গেমসে, একটি রৌপ্য পদক (দলগত) জিতেছিলেন।

স্কোয়াশে তাঁর কৃতিত্বের জন্য আনাকা ২০১৪ সালে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন, কারণ সরকারও মনে করেছিল যে মহিলা স্কোয়াশ খেলোয়াড়দের উন্নতি বর্ধন করা গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, এই পুরস্কারটি বিতর্কের মধ্যে পড়েছিল যখন দেশের বরিষ্ঠ স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা মনে করেছিলেন যে তিনি পেশাদার সার্কিটে তখনও পুরস্কারের যোগ্য যথেষ্ট কাজ করতে পারেননি। বিতর্কের বিশেষ কারণ হিসেবে তাঁরা আনাকার মর্যাদাক্রম ২০০৯ সালে জীবনের সর্বোচ্চ ৫৯ থেকে ২০১৪ সালে ১৫১-এ নেমে আসাকে মনে করেছিলেন।[২]

আনাকা বর্তমানে পেশাদার সার্কিট থেকে সরে এসেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Squash Info | Anaka Alankamony | Squash
  2. "Anaka`s recommendation for Arjuna Award raises serious questions"Zee News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৮-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৩ 
  3. Suryanarayan, S. R. (৪ জুলাই ২০১২)। "Triumphs and trophies"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "Harinder Pal, Anaka wins PSA, WISPA titles - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৩ 
  5. "Anaka Alankamony Latest News, Biography, Photos & Stats | Anaka Alankamony's Family, House Photos & News | Anaka Alankamony's Squash Records, Achievements | Sportskeeda.com"www.sportskeeda.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৩ 
  6. "Anaka Alankamony clinches her second WISPA title - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৩ 
  7. Rising squash star Anaka Alankamony | SportsKeeda

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]