আনন্দ শিপইর্য়াড এন্ড স্লিপওয়েজ
আনন্দ শিপইয়ার্ড এন্ড স্লিপওয়েজ হচ্ছে বাংলাদেশের একটি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। এটিই বাংলাদেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান যেটি সমুদ্রগামী জাহাজ নিমার্ণ করে বিদেশী ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে। এটি আনন্দ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।
বেসরকারি খাতে এটিই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জাহাজ নিমার্ণকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৩-এ আনন্দ বিল্ডার্স নামে বুড়িগঙ্গা নদীর পাশে এই জাহাজ নিমার্ণকারী প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীকালে ব্যবসায় বাড়তে থাকলে ১৯৮৫-এ এটির বর্তমান অবস্থান মেঘনা নদীর পাশে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯৯-এ প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন ও ধারনক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় এবং নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আনন্দ শিপইয়ার্ড এন্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেড।
শিপইর্য়াডটির উৎপাদন স্থানের আয়তন ৮০,০০০বর্গ মিটার। এতে ৭০০ এর অধিক জনশক্তি নিয়োজিত রয়েছে, এটি প্রতি বছর জাহাজ থেকে ৮০০০ টন স্টিল উৎপাদন করে।[১] নভেম্বর ২০০৮ পর্যন্ত এটি ইউরোপীয় ও আফ্রিকান ক্রেতাদের কাছ থেকে ৩৪টি জাহাজ নির্মাণের জন্য $৩৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমম্যল্যের অর্থের অর্ডার গ্রহণ করেছে।[২]
আনন্দ শিপইয়ার্ড ডেনমার্ক, জার্মানি, নরওয়ে, মোজাম্বিক প্রভৃতি দেশে জাহাজ রপ্তানী করে থাকে।
হস্তান্তরিত জাহাজ
[সম্পাদনা]এটি কোন সম্পূর্ণ তালিকা নয়। তথ্যের পরিবর্তণও ঘটতে পারে।
- ডেনিস কোম্পানির কাছে দি স্টিলা ম্যারিস (২০০৮ সালে)
- মোজাম্বিক সরকারের কাছে ৬টি ফেরী এবং জাহাজ।[৩]
- জার্মান কোম্পানি এইচএস সিফার্টস জিএমবিএইচ অ্যান্ড কোং কেজিএমএস এর কাছে এমভি আনসু (২০১৯ সালে)[৪]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ananda Group – Quality is our moto" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৪।
- ↑ Report, Star Business (২০০৮-১১-১৪)। "Ferries handed to Mozambique"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৪।
- ↑ Report, Star Business (২০০৮-১১-১৪)। "Ferries handed to Mozambique"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৪।
- ↑ "দেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্র জাহাজ রফতানি হলো জার্মানিতে"। ইত্তেফাক। ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৯, ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- [১] আনন্দ গ্রুপের ওয়েবসাইট
- [২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুন ২০১১ তারিখে দি খালিজ টাইমসে নিবন্ধ