আজারবাইজান-আর্জেন্টিনা সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আজারবাইজান-আর্জেন্টিনা সম্পর্ক
মানচিত্র Argentina এবং Azerbaijan অবস্থান নির্দেশ করছে

আর্জেন্টিনা

আজারবাইজান

আজারবাইজান-আর্জেন্টিনা সম্পর্ক আজারবাইজান এবং আর্জেন্টিনা এর মধ্যকার বর্তমান এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে আর্জেন্টিনার একটি দূতাবাস রয়েছে।[১]। এর পাশাপাশি আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেস-এ আজারবাইজানের একটি দূতাবাস রয়েছে।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বুয়েনোস আইরেস-এ আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনার এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এলমার মাম্মাদিয়ারোভ এর বৈঠক

আজারবাইজান পূর্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে, যে সকল স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়, তার একটি হল আজারবাইজান।

১৯৯১ সালের ১৮ অক্টোবর, আজারবাইজানের পার্লামেন্ট একটি সাংবিধানিক প্রস্তাব অনুমোদন এবং গ্রহণ করে। যেই প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে আজারবাইজানের স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের ২৫ ডিসেম্বর এই স্বাধীনতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং রাশিয়াআজারবাইজানসহ মোট ১৫ টি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।

এরপর ১৯৯২ সালের ৯ মার্চ আর্জেন্টিনা, আজারবাইজানের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়। ওই একই বছরের ৮ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[৩]

২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে, আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এলমার মাম্মাদিয়ারোভ আর্জেন্টিনায় একটি রাষ্ট্রীয় সফরে যান।[৩]

২০১০ সালের অক্টোবর মাসে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসে আজারবাইজান তাদের দূতাবাস স্থাপন করে। যেটি ছিল, কোন দক্ষিণ আমেরিকার দেশে আজারবাইজানের প্রথম।[৪] ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, আজারবাইজানের স্বাধীনতার ২০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে, আর্জেন্টিনার পার্লামেন্টের সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল আজারবাইজান সফরে যান।[৩] ২০১২ সালে, আর্জেন্টিনা, আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে তাদের স্থায়ী দূতাবাস স্থাপন করে।[৫] ২০১২ সালের মার্চ মাসে, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেইক্টর তিমারম্যান, আজারবাইজানে একটি রাষ্ট্রীয় সফরে যান এবং সেই সফরে তিনি আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ এর সাথে বৈঠক করেন।[৩] সেই বছরের জুলাই মাসে, আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এলমার মাম্মাদিয়ারোভ, দ্বিতীয়বারের মত রাষ্ট্রীয় সফরে আর্জেন্টিনা যান।

২০১৪ সালে, বুয়েনোস আইরেস এর স্থানীয় প্রশাসন, শহরের একটি স্কয়ারের নাম "রিপাবলিক অব আজারবাইজান" রাখার খসড়া পরিকল্পনা বাতিল করে। এই বিতর্কিত পরিকল্পনাটি আর্জেন্টিনায় অবস্থিত আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করে।[৬]

বাণিজ্য এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে, আজারবাইজান এবং আর্জেন্টিনা এর মধ্যকার মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১০.৬ মিলিয়ন (১.০৬ কোটি) মার্কিন ডলারের[৭] আজারবাইজানে, আর্জেন্টিনার প্রধান রপ্তানি পণ্য হল, মদ্যপণ্য এবং ঔষধ।[৮] অপরদিকে আর্জেন্টিনায়, আজারবাইজানের প্রধান রপ্তানি পণ্য হল তেল।[৯] ২০১৪ সালে, উভয় দেশই কারিগরি সমন্বয় বৃদ্ধি এবং মহাকাশ খাতে পারস্পরিক সমন্বয় বৃদ্ধির ব্যাপারে একমত হয়।[৭][১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Embassy of Argentina in Azerbaijan"। ২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. Embassy of Azerbaijan in Argentina
  3. "Relaciones bilaterales: Argentina-Azerbaiyán (in Spanish)"। ২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭ 
  4. "Azerbaiyán inaugura en la Argentina su primera embajada en Sudamérica (স্প্যানিশ ভাষায়)"। ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. "Nuevo Embajador argentino en Azerbaiyán (in Spanish)"। ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭ 
  6. Buenos Aires City Legislature Discards Project to Name a "Republic of Azerbaijan" Square
  7. Azerbaijan, Argentina boost ties
  8. "Argentina begins to push through wine and pharmaceutical products in Azerbaijan"। ৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭ 
  9. "Argentina Hosts Azerbaijan Fostering New Trade Relations"। ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৭ 
  10. Azerbaijan, Argentina planning to expand co-op in space industry