আইন বলবৎকরণ
আইন বলবৎকরণ বা আইনের প্রয়োগ বলতে সরকারের কিছু সদস্যের এমন এক ধরনের কার্যকলাপকে বোঝায় একটি সংগঠিত পদ্ধতিতে কাজ করে যেসব ব্যক্তি সমাজ শাসনকারী নিয়মমাবলী ও সমাজনির্ধারিত আদর্শ মানগুলি লঙ্ঘন করে তাদেরকে খুঁজে বের করা, বাধা দেওয়া, নিরুৎসাহিত করা, পুনর্বাসিত করা ও শাস্তি প্রদান করার মাধ্যমে আইন বলবৎকরণ করেন।[১] পরিভাষাটিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (পুলিশ), আদালত এবং কারাগারের (বা সংশোধানাগার) কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত। এই তিনটি সংস্থা একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, কিংবা নথিপত্র ভাগাভাগি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেযৌথভাবে কাজ করতে পারে।
আইন বলবৎকরণের ধারণাটি প্রাচীনকাল থেকেই পরিলক্ষিত হয়। বহু মানব সমাজে আইন বলবৎকরণ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশের বিভিন্ন রূপ বিদ্যমান ছিল। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আইনি সংকলনগুলিতে আইন প্রণয়নকারী রাষ্ট্রগুলি কর্তৃক ন্যস্ত কর্তৃত্ব বা পুলিশি ক্ষমতার অধিকারী সমস্ত ব্যক্তিকে বোঝাতে শান্তি রক্ষাকারী কর্মকর্তা বা আইন বলবৎকারী কর্মকর্তা পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে যদি কোনও শপথকারী বা ব্যাজধারী ব্যক্তি অন্য যে কোনও ব্যক্তিকে ফৌজদারি আইন লঙ্ঘনের জন্য গ্রেপ্তার করতে পারেন, তাহলে তাকে আইন বলবৎকারক হিসেবে গণ্য করা হয়।
আইন বলবৎকরণ অপরাধের প্রতিরোধ এবং শাস্তি প্রদানের মতো ব্যাপারগুলির সাথেই সবচেয়ে বেশি জড়িত থাকে। তবে অপরাধমূলক নয় কিন্তু নিয়ম বা সমাজনির্ধারিত আদর্শ মান ভঙ্গ করে, এমন বহু বিভিন্ন কাজকে নিরুৎসাহিত করার জন্য বহু সংস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে শাস্তি মওকুফ করে অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর পরিণাম প্রয়োগ করা হয়, যেমন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবেক্ষণাধীন রাখা হয়।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- আইন বলবৎকরণের রূপরেখা – আইন বলবৎকরণ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির কাঠামোবদ্ধ তালিকা
- দেশ অনুযায়ী আইন বলবৎকরণ
- পাহারাবাদ
- ফৌজদারি আইন
- গাড়ি রাখা বলবৎকরণ কর্মকর্তা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ New Law Journal - Volume 123, Part 1 - Page 358, 1974
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
