অ্যাডিলেড অ্যাভেরি ক্লাফলিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাডিলেড অ্যাভেরি ক্লাফলিন
জন্ম
নারসিসা অ্যাডিলেড অ্যাভেরি

(১৮৪৬-০৭-২৮)২৮ জুলাই ১৮৪৬
বস্টন, ম্যাসাচুসেটস
মৃত্যুমে ৩১, ১৯৩১(1931-05-31) (বয়স ৮৪)
কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস
জাতীয়তামার্কিন
মাতৃশিক্ষায়তনমিডভিল থিওলজিক্যাল স্কুল
পেশাএকতাবাদী ধর্মযাজক, ভোটাধিকার আন্দোলনকারী
দাম্পত্য সঙ্গীফ্রেডরিক অ্যালান ক্লাফলিন (বি. ১৮৭০১৯০৮) মৃত্যু

অ্যাডিলেড অ্যাভেরি ক্লাফলিন (২৮শে জুলাই ১৮৪৬ - ৩১শে মে, ১৯৩১) ছিলেন আমেরিকান মহিলা ভোটাধিকার আন্দোলনকারী এবং একজন নিযুক্ত ধর্মযাজক।

তিনি ১৮৯৭ সালে পেনসিলভানিয়ার মিডভিলে একজন নিযুক্ত একতাবাদী ধর্মযাজক হয়েছিলেন। তিনি কানেটিকাট, কানাডা এবং পশ্চিমে প্রচার করেছিলেন। তিনি উদার ধর্ম, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান অধ্যয়ন, সাহিত্য অধ্যয়ন এবং ভাষার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি ১৮৮৪ - ৮৭ কুইন্সি, ম্যাসাচুসেটস স্কুল বোর্ডে কাজ করেছিলেন। তিনি নারী ভোটাধিকারে এবং নারী শিক্ষায় আগ্রহী ছিলেন। ক্লাফলিন ম্যাসাচুসেটস মহিলা ভোটাধিকার সমিতির নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি বোস্টন সমান ভোটাধিকার সমিতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি লুসি স্টোন, মেরি লিভারমোর এবং জুলিয়া ওয়ার্ড হাওয়ের সাথে প্রায়ই ভোটাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দিতেন। তিনি ১৮৮৬ সালে রোড আইল্যান্ডে প্রচারণা চালান। ক্লাফলিন মাঝে মাঝে বোস্টন দৈনিকে সম্পাদকীয় এবং নিবন্ধ লিখতেন। এছাড়া তিনি ওম্যানস জার্নালের অবদানকারী ছিলেন। তিনি নিউ ইংল্যান্ড মহিলা ক্লাবের একজন পরিচালক ছিলেন এবং বোস্টনের ক্যাস্টিলিয়ান ক্লাবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]

প্রারম্ভিক বছর এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

নারসিসা অ্যাডিলেড অ্যাভেরি (জন্ম নাম) ১৮৪৬ সালের ২৮শে জুলাই, ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন অ্যাল্ডেন অ্যাভেরি এবং লুসিন্ডা মিলার (ব্রাউন) অ্যাভারির কন্যা, উভয়ই মেইনের স্থানীয় বাসিন্দা এবং উভয়ই ইংরেজ বংশের, যদিও মিলারের বংশের দিকে সামান্য স্কচ-আইরিশ রক্ত ছিল। চার সন্তানের মধ্যে ক্লাফলিন ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর বাবা, যদিও একজন সক্রিয় ব্যবসায়ী ছিলেন, তবুও তাঁর মধ্যে কাব্যিক এবং ধর্মীয় অনুভূতি ছিল। তিনি মেথডিস্ট চার্চের একজন বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন এবং, তাঁর বাগ্মীতার কারণে, প্রায়শই তাকে ধর্মযাজক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মা, ব্যবহারিক জ্ঞান সম্পন্ন এবং সাধারণ বোধ যুক্ত মনের ছিলেন। তাঁর মধ্যে প্রকৃতি এবং বৈজ্ঞানিক সত্যের অনেক উপলব্ধি ছিল। তাঁর চিন্তা ভাবনা সরসতাপূর্ণ এবং অভিব্যক্তি সংক্ষিপ্ত ছিল। তাই পিতামাতা উভয়ের কাছ থেকে ক্লাফলিন স্পষ্টভাবে এবং তীক্ষ্ণ ব্যঞ্জনাপূর্ণ শক্তির সাথে কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন। [২]

তিনি ১৮৬২ সালে বোস্টন গার্লস হাই স্কুল থেকে স্নাতক হয়েছিলেন; ১৮৬৪ - ৬৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সাথে ব্যক্তিগত স্তরে অধ্যয়ন করেছেন; এবং ১৮৯৬ সালে মিডভিল থিওলজিক্যাল স্কুল থেকে স্নাতক হন।[১] যদিও শৈশবে তাঁরা বাবা-মায়ের সাথে মেথডিস্ট চার্চে যোগ দেন, কিন্তু ক্লাফলিন এবং তাঁর বোন উভয়েই প্রাথমিকভাবে একতাবাদীতে বিশ্বাস গ্রহণ করতেন। তাঁরা পাদরি জেমস ফ্রিম্যান ক্লার্কের চার্চে যোগদান করেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

নিজের শিক্ষা শেষ করার এক বা দুই বছর পরে, তিনি উইনথ্রপ স্কুলে শিক্ষক হন।[২]

তিনি ১৮৭০ সালের ২৩শে নভেম্বর বোস্টনের ফ্রেডরিক অ্যালান ক্লাফলিনকে (মৃত্যু ১৪ই মার্চ, ১৯০৮) বিয়ে করেছিলেন। তাঁরা ম্যাসাচুসেটসের কুইন্সিতে বহু বছর ধরে বসবাস করেছিলেন। তাঁদের একটি ছেলে এবং তিনটি মেয়ে ছিল। ১৮৮৩ সালে, ক্লাফলিন নারী ভোটাধিকারের একজন প্রবক্তা হিসাবে জনসমক্ষে কথা বলতে শুরু করেন। ১৮৮৪ সালে, তিনি কুইন্সি স্কুল কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং সেই পদে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন সেই শহরের প্রথম মহিলা যিনি একজন পদাধিকারী ছিলেন। তিনি পারিবারিক জীবন নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকায় জনজীবনে সক্রিয় অংশ নিতে পারেন নি, তবুও তিনি সময় করে বোস্টনের কাগজপত্রের জন্য লিখেছিলেন। তিনি বক্তৃতাও দিতেন, এবং মাঝে মাঝে নিউ ইংল্যান্ডের বাইরে ছোট বক্তৃতা সফরে যেতেন। যদিও তিনি একজন মহিলা ভোটাধিকার আন্দোলনকারী হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন, তিনি অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়েও লিখেছেন এবং কথা বলেছেন।[২]

তিনি ১৯৩১ সালের ৩১শে মে তারিখে ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজে মারা যান[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরোপন[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]