অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ বলতে বুঝায় এমন ধরনের ঋণকে যা কোনো বিধিবদ্ধ ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে অন্যান্য ক্ষেত্র, যেমন: বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, ভূস্বামী, দোকানি, কৃষক, পেশাজীবী সম্প্রদায়, কাবুলি, ফেরিওয়ালা, মহাজন প্রভৃতি হাতে গৃহীত হয়।[১] অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ শহর এবং গ্রাম উভয় এলাকাতেই প্রচলন থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের অপ্রতুলতা ও নানাবিধ শর্তের দরুন গ্রামাঞ্চলেই বেশি দেখা যায়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সুপ্রাচীন কাল থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঋণ দেওয়া-নেওয়া ও ঋণের জন্যে উপরি তথা সুদ পরিশোধের প্রথা প্রচলিত ছিল। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, বৈদিক যুগে অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ লেনদেনের অস্তিত্ব ছিল; এবং, মনু মানুষকে পরামর্শ দিতেন, তারা যেন সৎ, আইনশাস্ত্রে বিজ্ঞ এবং শ্রদ্ধাভাজন ও বিত্তশালী আত্মীয়-স্বজন পরিবেষ্টিত ব্যক্তিদের নিকট নিজেদের টাকা-পয়সা জমা রাখে। আবার, প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্যে ধারে টাকাপয়সা ও মালামাল লেনদেনের চর্চার উল্লেখ রয়েছে।[১]

উৎস[সম্পাদনা]

অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের উৎসগুলোর মধ্যে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, ভূস্বামী, দোকানি, কৃষক, পেশাজীবী সম্প্রদায়, কাবুলি, ফেরিওয়ালা, মহাজন প্রমুখ; অর্থ্যাৎ, যারা সুসংগবদ্ধ ও নিবন্ধিত নয় এমন তারাই অন্তর্ভুক্ত।[১]

ব্যবস্থাপনা[সম্পাদনা]

যদিও অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের উৎসগুলো অবিধিবদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রিত নয়, তবে বাংলাদেশে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পাওয়া যায়; যেমন: যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আবুল কালাম আজাদ (জানুয়ারি ২০০৩)। "অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. "অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৮ আগস্ট ২০১৯। ১৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]