অক্ষর (সিলেবল)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

একটি অক্ষর হল ধ্বনিসমষ্টির ক্রম গঠনের একটি একক। সাধারণত এটি একটি অক্ষরমূল (প্রায়শই একটি স্বরবর্ণ)-এর সাথে ঐচ্ছিক আদি এবং অন্ত শব্দাংশ (সাধারণত, ব্যঞ্জনবর্ণ) সহ গঠিত হয়। অক্ষরকে প্রায়শই শব্দের ধ্বনিতাত্ত্বিক মৌলিক একক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[১] তারা একটি ভাষার ছন্দ, এর ছন্দঃপ্রকরণ, এবং এর জোরের ধরণকে প্রভাবিত করতে পারে। শব্দকে সাধারণত কয়েকটি অক্ষরে বিভক্ত করা যেতে পারে: যেমন—‘বন্ধন’ শব্দটিতে বন্ + ধন—এ দুটি অক্ষর আছে। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ অক্ষরকে সংজ্ঞায়িত করেছেন, ‘কোনো শব্দে যখন যে ধ্বনিসমষ্টি একসময়ে একত্রে উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বলে।’[২]

প্রথম বর্ণের কয়েকশ বছর আগে ধ্বনিদলভিত্তিক লিপির লেখা শুরু হয়েছিল। প্রাচীনতম লিপিবদ্ধ অক্ষরগুলি ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে সুমেরীয় শহর উর-এ লেখা ট্যাবলেটগুলিতে রয়েছে। চিত্রপ্রতীক থেকে ধ্বনিদলভিত্তিক লিপির লেখার এই পরিবর্তনকে "লেখার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি" বলা হয়েছে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. de Jong, Kenneth (২০০৩)। "Temporal constraints and characterising syllable structuring"। Phonetic Interpretation: Papers in Laboratory Phonology VI। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 253–268। আইএসবিএন 978-0-521-82402-6ডিওআই:10.1017/CBO9780511486425.015  Page 254.
  2. https://www.kalerkantho.com/print-edition/education/2020/06/16/923431
  3. Walker, Christopher B. F. (১৯৯০)। "Cuneiform"। Reading the Past: Ancient Writing from Cuneiform to the Alphabetবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। University of California Press; British Museum। আইএসবিএন 0-520-07431-9  as cited in Blainey, Geoffrey (২০০২)। A Short History of the World। Chicago, IL: Dee। পৃষ্ঠা 60আইএসবিএন 1-56663-507-1