ইয়ামান্টা পর্বত
ইয়ামান্টা পর্বত | |
---|---|
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ১,৬৪০ মিটার (৫,৩৮০ ফুট) |
সুপ্রত্যক্ষতা | ১,৩৩০ মি (৪,৩৬০ ফু) |
তালিকাভুক্তি | |
স্থানাঙ্ক | ৫৪°১৫′১৮″ উত্তর ৫৮°০৬′০৭″ পূর্ব / ৫৪.২৫৫° উত্তর ৫৮.১০২° পূর্ব |
ভূগোল | |
অবস্থান | বাসকোরটোসতান, রাশিয়া |
মূল পরিসীমা | ইউরাল পর্বতমালা |
ইয়ামান্টা পর্বত | |
---|---|
Armed Forces of the Russian Federation অংশ | |
Mezhgorye, Republic of Bashkortostan, রাশিয়া | |
স্থানাঙ্ক | ৫৪°১৫′১৮″ উত্তর ৫৮°০৬′০৭″ পূর্ব / ৫৪.২৫৫° উত্তর ৫৮.১০২° পূর্ব |
ধরন | ভূগর্বস্থ মিরিটারি প্রকল্প |
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের তথ্য | |
নিয়ন্ত্রক | রাশিয়ার মিলিটারি পুলিশ |
অবস্থা | অজানা |
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের ইতিহাস | |
নির্মিত | ২০০৩ সাল থেকে শুরু |
ব্যবহারকাল | অজানা |
রক্ষীসেনা তথ্য | |
রক্ষীসেনা | মজেগোরিই |
দখলদার | অজানা |
ইয়ামান্টা পর্বত (রুশ: гора Ямантау) রাশিয়ার বাসকোরটোসতানের ইউরাল পর্বতমালার একটি অংশ। ইয়ামান্টা নামটি এসেছে স্থানীয় বাস্কি ভাষা (Яман тау) থেকে যার বাংলা অর্থ শয়তান। এ পর্বতের উচ্চতা ১৬৪০ মিটার (৫,৩৮১ ফুট) এবং ইউরাল পর্বতমালার দক্ষিণ অংশের সবচেয়ে উচুঁ চূড়া। এটি রাশিয়ার সুরক্ষিত জায়গা গুলোর একটি। এটি কসভিন্সকি পর্বত এর পাশেই অবস্থিত। আমেরিকার ধারণা মতে এখানে রাশিয়ার কোন পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ চলছে।[১] এছাড়া এটি রাশিয়ার মিলিটারি শহর মজেগোরিইর খুব কাছে অবস্থিত। ২০০৩ এর অগে এই পর্বতের শহরটি পুরুপুরি চলো করা হয়নি।[১]
১৯৯০ সালের শেষ দিকে বরিস ইয়েলৎসিনের শাসনামলে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায় তখনকার সময়ই আমেরিকা সেটেলাইট ইমেজের সাহায্যে ইয়ামান্টার কিছু ছবি তুলেছিল।[১] ছবিগুলো পর্যবেক্ষণ করে তারা ধারণা করে এই পর্বতমালার ভেতর রাশিয়া কোন গোপন কাজের জন্য খনন কাজ চালাচ্ছে। বলেরেস্ক-১৫ এবং বলেরেস্ক-১৬ নামের দুটি দুর্গ এই প্রজেক্ট এর উপরের অংশে এবং সম্ভবত ১৯৯৫ সালে আলকিনো-২ নামে আরো একটি দুর্গ মিলিটারি শহর মজেগোরিইর আশেপাশে কোথাও তৈরি করা হয়। এ অঞ্চলে ৩০ হাজারের মতো কর্মচারী কাজ করছে বলে ধারণা করা হয়। আমেরিকান সরকারর বারবার এই প্রকল্প সম্পর্কে রাশিয়াকে প্রশ্ন করলেও রাশিয়া সরকার ইয়ামান্টা পর্বত সম্পর্কে এক এক সময় ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দিয়েছে।[২] রাশিয়ার ভাষ্য অণুযায়ি এটা তাদের খনিজ পদার্থ আহরণের স্থান, রাশিয়ার সঞ্চিত ধন রাখার ভাণ্ডার, খাদ্যভাণ্ডার এবং পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে যাতে রাশিয়ার নেতারা এখানে অশ্রয় নিতে পারে।[৩] ইয়ামান্টা সম্পর্কে ১৯৯৬ সালের এক প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ বিবৃতিতে বলে, বিদেশী সংবাদমাধ্যম গুলোতে ইয়ামান্টা সম্পর্কে যা রেখা হচ্ছে তার কোন অস্তিত্ত নেই। যাইকোক, এটি রাশিয়ার আভ্যন্তরিন নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হয়েছে।[৩] এই প্রকল্পে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে একটি বড় রেল লাইন আছে তবে সেটি শুধু প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য।[৩] বহিরাগতের প্রবেশ এখানে সম্পূর্ণ নিষেধ।
ইয়ামান্টা রাশিয়ার সর্বশেষ পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র চেলিয়াবিন্সক-৭০ এর খুব কাছে অবস্থিত বলে অনেকের ধারণা এটি রাশিয়ার একটি পারমাণবিক অস্ত্রের গুদাম। ১৯৯৬ সালের রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবর অণুযায়ি এটা হল একটি অটোমেটিক কমান্ড স্ট্রাকচার যেখান থেকে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে নিজে নিজেই মিসাইল চালু হবে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Blair, Bruce G (মে ২৫, ২০০৩)। "We Keep Building Nukes For All the Wrong Reasons"। The Washington Post। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৩।
- ↑ "Yamantau, Beloretsk-15, Beloretsk-16, Alkino-2", Weapons of Mass Destruction, Global Security .
- ↑ ক খ গ Gordon, Michael R. (এপ্রিল ১৬, ১৯৯৬)। "Despite Cold War's End, Russia Keeps Building a Secret Complex"। The New York Times।