বিষয়বস্তুতে চলুন

বিস্ফোরক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১.২ পাউন্ড এম১১২ ডিমোলিশন চার্জ, ভেতরে রয়েছে সি-৪ বিস্ফোরক। নিম্নমানের অস্ত্র ও গোলাবারূদ ধ্বংস করে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিস্ফোরক বা বিস্ফোরক পদার্থ হচ্ছে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম, এমন এক ধরনের পদার্থ। এর মধ্যে উচ্চমাত্রার শক্তি সঞ্চিত থাকে, যা বিস্ফোরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। হঠাৎ করে খুবই অল্প সময়ের মাঝে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ শক্তি প্রকাশ পায়। যা আলো, তাপ, শব্দ, এবং চাপ শক্তি আকারে প্রকাশ পায়।

[সম্পাদনা]

বিস্ফোরক পদার্থে সঞ্চিত শক্তি হতে পারে:

রাসায়নিক শক্তি, যেমন: নাইট্রোগ্লিসারিন

চাপ শক্তি অর্থাৎ, উচ্চ চাপে রাখা গ্যাস, যেমন: গ্যাস সিলিন্ডার বা অ্যারোসলের ক্যান

পারমাণবিক শক্তি অর্থাৎ, নিউক্লীয় বিস্ফোরণ, যেমন: ইউরেনিয়াম-২৩৫প্লুটোনিয়াম-২৩৯-এর ফিশনযোগ্য আইসোটপ

বিস্ফোরণের গতিবেগ দ্বারা বিস্ফোরক দ্রব্যের শ্রেণিবিভাগ করা যেতে পারে। যেকল বিস্ফোরক শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে বিস্ফোরিত হতে সক্ষম যেসগুলোতে উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক বলা হয়। এছাড়া বিস্ফোরক দ্রব্যের স্পর্ষকাতরতা দ্বারাও বিস্ফোরকে শ্রেণিবিভাগ করা হয়। এখানে নির্ণয় করা হয় কতো কম চাপে বা তাপে একটি পদার্থ বিস্ফোরিত হয়। যেসকল বিস্ফোরক অল্প তাপ বা চাপে বিস্ফোরিত হয় তারা প্রাথমিক বিস্ফোরক বা প্রাইমারি এক্সপ্লোসিভ নামে পরিচিত। অপরদিকে তূলনামূলক ভাবে বেশি তাপ বা চাপে বিস্ফোরিত বিস্ফোরকগুলো সেকেন্ডারি এক্সপ্লোসিভ বা মাধ্যমিক বিস্ফোরক নামে পরিচিত।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  • Army Research Office. Elements of Armament Engineering (Part One). Washington, D.C.: U.S. Army Materiel Command, 1964.
  • Commander, Naval Ordnance Systems Command. Safety and Performance Tests for Qualification of Explosives. NAVORD OD 44811. Washington, D.C.: GPO, 1972.
  • Commander, Naval Ordnance Systems Command. Weapons Systems Fundamentals. NAVORD OP 3000, vol. 2, 1st rev. Washington, D.C.: GPO, 1971.
  • Departments of the Army and Air Force. Military Explosives. Washington, D.C.: 1967.
  • USDOT Hazardous Materials Transportation Placards
  • Swiss Agency for the Environment, Forests, and Landscap. "Occurrence and relevance of organic pollutants in compost, digestate and organic residues", Research for Agriculture and Nature. 8 November 2004. p 52, 91, 182.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]