বিষয়বস্তুতে চলুন

জেল কোড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেল কোড
  • কারাগার আইন ১৮৯৪ এবং এ আইনের ৫৯ ও ৬০(ক) ধারার অধীনে প্রণীত বিধিসমূহ, কারাবন্দি আইন ১৯০০ এবং কারাবন্দি শনাক্তকরণ আইন ১৯২০-এর বিধান সমন্বয়ে জেল কোড গঠিত।

জেল কোড কারাগার ও অধস্তন কারাগারের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রণীত আইনবিধান। কারাগার আইন ১৮৯৪ এবং এ আইনের ৫৯ ও ৬০(ক) ধারার অধীনে প্রণীত বিধিসমূহ, কারাবন্দি আইন ১৯০০ এবং কারাবন্দি শনাক্তকরণ আইন ১৯২০-এর বিধান সমন্বয়ে জেল কোড গঠিত।

কারাগার আইন, ১৮৯৪

[সম্পাদনা]

এ আইন এর মতবাদ,সরকার এর আদেশে যদি কাউকে বিশাস অথবা সাধারণ কারণে আটক করা হয় এবং যাই স্থান বা কয়েদিখানায় তাকে আটক করে রাখা হয় তাকে কারাগার বলা হয়। প্রতিটি কারাগার কারা মহাপরিদর্শকের সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে একজন সুপারিন্টেন্ডেন্ট, একজন মেডিক্যাল অফিসার, একজন মেডিক্যাল সহকারি, একজন কারারক্ষক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত হয়। এই আইন আর বিধান অনুযায় কৈদিদার কারাগারে ভর্তি, অপসারণ ও খালাস দেয়া, শৃঙ্খলাজনিত ব্যবস্থাগ্রহণ ও শাস্তিপ্রদান, নিয়োগদান, চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাদ্য, পরিধেয় ও শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। এখানে পুরুষ কয়েদি ও মহিলা কয়েদিদের আলাদাভাবে রাখার এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক কয়েদিদের প্রাপ্ত বয়স্ক কয়েদিদের থেকে আলাদা রাখার বিধান রয়েছ। তাছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ও বিচারাধীন কয়েদিদের পৃথকভাবে রাখার বিধান রয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের একত্রে অথবা পৃথকভাবে রাখার বিধান আছে। এ ধরনের কয়েদিকে সেলে নির্জন কারাবাস এবং মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদিকে পৃথকভাবে সেলে নির্জন কারাবাসে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। বিচারাধীন কয়েদি এবং সাধারণ আসামীদের সঙ্গে আইনি পরামর্শদাতাসহ দর্শকদের দেখা করার অনুমতি প্রদানের ব্যবস্থা আছে। কোনো বিপজ্জনক কয়েদি অথবা যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদিকে লোহার শিকল, ডান্ডাবেড়ি অথবা হাতকড়া লাগিয়ে রাখার বিধান রয়েছে।