বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিপিডিয়া:ভালো নিবন্ধ/১৮৭

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্রটিকে প্রায়শই ছায়াপথীয় কেন্দ্র থেকে আনিউলাস ৭-৯ কিলোপারসেক দূরে অবস্থিত মনে করা হয়
link=ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্রটিকে প্রায়শই ছায়াপথীয় কেন্দ্র থেকে আনিউলাস ৭-৯ কিলোপারসেক দূরে অবস্থিত মনে করা হয়

জ্যোতিঃজীববিজ্ঞান ও গ্রহীয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্র বলতে ছায়াপথের এমন অঞ্চলকে বোঝায় যেখানে জীবনের বিকাশের সম্ভাবনা সর্বাধিক। ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্রের ধারণাটি ধাতবিকতা (হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম অপেক্ষা ভারী মৌলের উপস্থিতি) এবং অতিনবতারা ইত্যাদি প্রধান বিপর্যয়গুলোর হার ও ঘনত্বসহ বিভিন্ন পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করে এবং সেই বিশ্লেষণকে ব্যবহার করে একটা ছায়াপথের কোন কোন অঞ্চলে পার্থিব গ্রহের গঠন ও প্রাথমিকভাবে সরল জীবনের বিকাশ সম্ভব এবং সেই জীবনের বিবর্তন ও অগ্রসরণে সেই অঞ্চল অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম কিনা তা পরিগণনা করে। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, আকাশগঙ্গার মতো ছোটো ছায়াপথগুলোর তুলনায় অতি বৃহৎ ছায়াপথগুলোয় বাসযোগ্য গ্রহের উৎপত্তি ও বিকাশের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা সম্ভবত বেশি। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ক্ষেত্রে মনে করা হয় যে, এটির ছায়াপথীয় বাসযোগ্য ক্ষেত্রটি হল একটি অ্যানিউলাস (স্থূল বলয়াকৃতি), যার বাহ্যিক ব্যাসার্ধ প্রায় ১০ কিলোপারসেক (৩৩,০০০ আলোকবর্ষ) এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাসার্ধ ছায়াপথীয় কেন্দ্রের নিকটবর্তী (উভয় ব্যাসার্ধের ক্ষেত্রেই পাকাপোক্ত সীমানার অভাব দেখা যায়)। (বাকি অংশ পড়ুন...)