মেসেঞ্জার (মহাকাশযান)
সংস্থা | নাসা |
---|---|
অভিযানের ধরন | পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া/কক্ষপথ |
ফ্লাইবাই করেছে | পৃথিবী, শুক্র গ্রহ, এবং বুধ গ্রহ |
স্যাটেলাইট | বুধ গ্রহ |
উৎক্ষেপণের তারিখ | ৩রা আগস্ট, ২০০৪ |
উৎক্ষেপণ যান | ডেল্টা ২ ৭৯২৫এইচ-৯.৫ |
COSPAR ID | ২০০৪-০৩০এ |
হোমপেজ | মেসেঞ্জার হোম |
ভর | ১,০৯৩ কেজি (২,৪১০ পা) |
ক্ষমতা | ৪৫০ ওয়াট (Mercury orbit nominal) |
বুধের উদ্দেশ্যে নাসা কর্তৃক প্রেরিত দ্বিতীয় অভিযান ছিল মেসেঞ্জার (ME S S EN GE R - MErcury Surface, Space ENvironment, GEochemistry, and Ranging) যা ২০০৪ সালের আগস্ট ৩ তারিখে প্রেরিত হয়॥একটি বোয়িং ডেল্টা ২ রকেটের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল মহাশূন্য স্টেশন থেকে এটি প্রেরণ করা হয়েছিল। এই সন্ধানী যানটি বেশ কয়েকবার বুধের সন্নিকটে যেতে সমর্থ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। একে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা সুনির্দিষ্ট প্রাসে চলার মাধ্যমে বুধের চারদিকে নিজস্ব একটি কক্ষপথ তৈরীতে সমর্থ হয়। ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে এটি পৃথিবীর কাছ দিয়ে উড়ে যায় এবং ২০০৭ সালের অক্টোবর ও জুন মাসে শুক্র গ্রহের কাছ দিয়ে উড়ে যায়। এই যানটি বুধের নিকট দিয়ে তিন তিনবার উড়ে যাবে বলে শিডিউল করা হয়েছে। এই উড়ে যাওয়ার সময়গুলো হবে জানুয়ারি ২০০৮, অক্টোবর ২০০৮ এবং সেপ্টেম্বর ২০০৯। এর পর তা ২০১১ সালের মার্চ মাসে বুধ গ্রহের চারপাশে কক্ষপথে প্রবেশ করবে।
মেসেঞ্জারকে পাঠানো হয়েছে মূলত বুধের ছয়টি মৌলিক বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য। এগুলো হচ্ছে: বুধের উচ্চ ঘনত্ব, এর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস, এর চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রকৃতি, এর কেন্দ্রের গঠন, এর মেরু অঞ্চলসমূহে আসলেই বরফ রয়েছে কিনা, এবং এর পাতলা বায়ুমণ্ডল কোথা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে সন্ধানী যানটিতে মেরিনার ১০-এর চেয়ে আরও শক্তিশালী ইমেজিং যন্ত্রপাতি সন্নিবেশিত করা হয়েছে যাতে বুধের আরও কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত অধিক রিজল্যুশনবিশিষ্ট ছবি তোলা যায়। এছাড়া এতে রয়েছে যুতসই বর্ণালীবীক্ষণ যন্ত্র যার সাহায্যে বুধের ভূত্বকে মৌলসমূহের প্রাচুর্য নির্ণয় করা সম্ভব, রয়েছে ম্যাগনেটোমিটার এবং আয়নিত কণিকাসমূহের গতিবেগ নির্ণয়ের যন্ত্রাবলী। সন্ধানী যানটি যখন বুধকে কেন্দ্র করে তার কক্ষপথ বরাবর আবর্তন করবে তখন এর গতিবেগের সূক্ষ্ণতম পরিবর্তন পরিমাপের জন্য এই গতিমাপক যন্ত্রগুলো দেয়া হয়েছে। এই পরিবর্তন পরিমাপের মাধ্যমে বুধের অভ্যন্তরীন গঠন সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।[১]
সাফল্য
[সম্পাদনা]২০০৮ সালের ১৪ই জানুয়ারি পূর্বাঞ্চলীয় মান সময় ২:০৪ ঘটিকায় এই নভোযান বুধ গ্রহের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়। তিনবার কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়ার মধ্যে এটিই ছিল নিকটতম। এ সময় মেসেঞ্জার বুধ গ্রহের মাত্র ২০০ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়ে যায়। নভোযানের সাথে এখনও নাসার যোগাযোগ অব্যাহত আছে এবং এই ন্যূনতম দূরত্বে উড়ে যাওয়ার ঘটনার মিনিটখানেক পরেই নাসার বিজ্ঞানীরা বুধ গ্রহ সম্বন্ধে প্রথম বৈজ্ঞানিক তথ্য পেতে শুরু করেন।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Johns Hopkins University's MESSENGER mission web pages"। সংগ্রহের তারিখ 27 April। অজানা প্যারামিটার
|accessyear=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ http://www.sciencedaily.com/releases/2008/01/080115091406.htm
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- MESSENGER Web Site - official site.
- MESSENGER Mission Page ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে - official information regarding the mission on the nasa.gov website.
- MESSENGER Mission Profile by NASA's Solar System Exploration
- Video from MESSENGER as it departs Earth.
- Mercury Flyby 1 Visualization Tool - see simulated views of the instrument observations planned during the flyby.
- NSSDC Master Catalog entry.