বিষয়বস্তুতে চলুন

শেখ মোহাম্মদ আসলাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মদ আসলাম
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম শেখ মোহাম্মদ আসলাম
জন্ম (1962-05-11) ১১ মে ১৯৬২ (বয়স ৬২)
জন্ম স্থান খুলনা, বাংলাদেশ
মাঠে অবস্থান আক্রমণভাগের খেলোয়াড়
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৭৭–১৯৭৯ ভিক্টোরিয়া (১৪)
১৯৮০–১৯৮২ বিজেএমসি (৩০)
১৯৮৩ ঢাকা মোহামেডান (১৪)
১৯৮৪–১৯৯৬ ঢাকা আবাহনী (১১৯)
জাতীয় দল
১৯৭৯–১৯৮১ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯
১৯৮৩–১৯৮৯ বাংলাদেশ ৬৮ (13[])
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

শেখ মোহাম্মদ আসলাম (জন্ম: ১১ মে ১৯৬২; মোহাম্মদ আসলাম নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়[] আসলাম তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ঢাকা আবাহনী এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।

১৯৭৭–৭৮ মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব ভিক্টোরিয়ার হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ৩ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন; ভিক্টোরিয়ার হয়ে তিনি ১৪টি গোল করেছিলেন। অতঃপর ১৯৮০–৮১ মৌসুমে তিনি বিজেএমসির যোগদান করেছিলেন। বিজেএমসিতে ৩ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ঢাকা মোহামেডানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, যেখানে তিনি ১৪টি গোল করেছিলেন। সর্বশেষ ১৯৮৪–৮৫ মৌসুমে, ঢাকা মোহামেডান হতে বাংলাদেশী ক্লাব ঢাকা আবাহনীতে যোগদান করেছিলেন; ঢাকা আবাহনীর হয়ে ১০ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।

১৯৭৯ সালে, আসলাম বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৩ বছর যাবত বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

শেখ মোহাম্মদ আসলাম ১৯৬২ সালের ১১ই মে তারিখে বাংলাদেশের খুলনায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তিনি তার ৭ ভাই-বোনের মধ্যে ষষ্ঠ। ছোটবেলায় ফুটবলের প্রতি তার আকর্ষণ ছিল ভীষণ। গাছের গাব চুরি করে ২১ টাকা দিয়ে প্রথম শিয়ালকোটের বল কিনেছিলেন। তার বড় মামা ফুটবলার ওয়াসিফুর রহমান এবং বাবার সমর্থনে তিনি ফুটবল খেলায় আগ্রহী হয়ে উঠেন, তবে তার মা এবং গৃহশিক্ষক এর বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় হতে পড়াশোনা করেছেন। তিনি অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় আসলাম আন্তঃস্কুল মল্লক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করে লংজাম্পে দ্বিতীয়, জ্যাভেলিনে ও শুটপুটে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি সুন্দরবন কলেজ হতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।[]

আন্তর্জাতিক ফুটবল

[সম্পাদনা]

আসলাম বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে, আসলাম আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন।

কলকাতা লিগের ক্যারিয়ার

[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালে তিনি কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গলের হয়েও খেলেছিলেন, কিন্তু ১৯৯১ সালে ডুরান্ড কাপে জর্জ টেলিগ্রাফ এসসি-র বিপক্ষে মাথায় আঘাতের কারণে ভালো খেলতে ব্যর্থ হন। যে ম্যাচে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন সে ম্যাচেই তিনি ক্লাবের হয়ে তার প্রথম গোলটি করেন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর তারিখে, আসলাম মোনা মারজানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের উভয়ের নোলক নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ফুটবলার আসলামের আসলাম হয়ে ওঠার গল্প" 
  2. "আমি নিরানব্বই ভাগ ব্যর্থ"দৈনিক প্রথম আলো। ১৩ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. রহমান, শেখ সাইফুর (১৯৯৮)। "নক্ষত্রের হাজার কথা"। অন্যদিন ,ঈদ সংখ্যা। মাজহারুল ইসলাম। (২৫): ৩২২। 
  4. মজুমদার, কৃশানু। "'ক্লাবের হয়ে রক্ত ঝরিয়েছি, ইস্টবেঙ্গল মনেই রাখেনি', আক্ষেপ সেই বাংলাদেশি গোলমেশিনের"www.anandabazar.com