আংকে মসজিদ
আংকে মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | তাম্বোরা, জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৬°০৮′৩৬″ দক্ষিণ ১০৬°৪৭′৪৫″ পূর্ব / ৬.১৪৩৩৭১° দক্ষিণ ১০৬.৭৯৫৭৯৭° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
আংকে মসজিদ (ইংরেজি: Angke Mosque), আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ জামি আংকে বা মসজিদ আল-আনওয়ার নামে পরিচিত, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার তাম্বোরে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি জাকার্তার প্রাচীনতম মসজিদগুলির একটি। সুষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ এবং আসল রূপ ধরে রাখার কারণে ঐতিহাসিক ডেনিস লোমবার্ড মসজিদটিকে 'উনে ডেস প্লাস ইলেগান্তেস দে লা ভিয়েল ভিলা' বা পুরাতন শহরের সবচেয়ে অভিজাত ভবনগুলির একটি হিসেবে অভিহিত করেছেন।[১] মসজিদের ইতিহাস জাকার্তার ঔপনিবেশিক বহুজাতিক এবং বহুস্তর বিশিষ্ট জাতিসত্তার প্রতিফলিত করে।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মসজিদের আশেপাশের গ্রামের বসতি কাম্পুং গোয়েস্তি নামে পরিচিত ছিল, কারণ এখানে কাপিতান গোয়েস্টি কুট বাদুলুরের নেতৃত্বে বালিনিজ সম্প্রদায়ের লোকেরা বসতি স্থাপন করেছিল।[৩] অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই সম্প্রদায়টি তাদের পূর্বপুরুষদের ধর্মমত হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।[১] [৪]
মসজিদটি ১৭৬১ সালের ২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২] মসজিদের প্রধান হিতৈষী নিওনিয়া তান এবং নির্মাণ ঠিকাদার সাইখ লিয়ং তান উভয়ই ধর্মান্তরিত মুসলিম ছিলেন এবং তারা চীনের বাটাভিয়ার স্থানীয় সম্প্রদায় থেকে আগত।[১]
মসজিদটি আংকে নামে পরিচিত একটি খালের কাছাকাছি অবস্থিত। খালটি হক্কিয়ান আং, রক্ত এবং কে করকাস বা মৃতদেহ নামেও পরিচিত। খালটি একটি কসাইখানার কাছে অবস্থিত ছিল তাই এটি রক্ত এবং মৃতদেহ দ্বারা দূষিত ছিল। তাই একে রক্ত খালও বলা হয়। এই এলাকাটি এখনও পেজাগালান ("কসাইখানা") নামে পরিচিত।[৩] ১৮৫৬ সালে পন্টিয়ানাকের সুলতান প্রিন্স সিরিফ হামিদ ডাচদের হাতে বন্দী হন এবং তাকে মাংগাদুয়ায় বন্দী করে রাখা হয়। ১৮৫৮ সালের ১৭ জুলাই তিনি মারা গেলে তাকে মসজিদের সামনে সমাহিত করা হয়। পন্টিয়ানাকের লোকেরা প্রায়শই তার সমাধিতে যেতেন এবং তাদের অনেকেই আংকেতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই এলাকায় অনেক চীনা ধর্মপ্রাণ মুসলমান রয়েছে। মসজিদের কাছাকাছি অনেক সমাধির পাথরে চীনা এবং আরবি শিলালিপি রয়েছে।[৫]
আংকে মসজিদটি বহুবার পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৮৫-১৯৮৭ সালে এটি পুনঃনির্মাণ করা হয়। মসজিদ ভবনটি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আইন দ্বারা সুরক্ষিত।
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]এটি জাকার্তার একমাত্র মসজিদ যেটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। মসজিদটির ছাদ দুই স্তর বিশিষ্ট। এটির স্থাপত্য জাভার ঐতিহ্যবাহী মসজিদের স্থাপত্যশৈল অনুসরণ করে করা হয়েছে। যদিও উপাসনালয় জুড়ে বালিনিজ, চীনা এবং ডাচসহ বিভিন্ন স্থাপত্য উপাদান বিদ্যমান রয়েছে।[১]
মসজিদের জানালার শাটারে বালিনিজ উপাদান বিদ্যমান।[১] এটির ছাদের টিপস বালিনিজ পুঙ্গেলের আকার ধারণ করেছে, যা ঐতিহ্যবাহী বালিনিজ স্থাপত্যের মতো বাঁকানো।[১] ছাদের বন্ধনী নির্মাণের ক্ষেত্রে চীনা স্থাপত্য রীতি অনুসরণ করা হয়েছে।[৩] ছাদে কিছু আলংকারিক উপাদান চীনা পদ্মের রূপ নিয়েছে, যা বৌদ্ধ জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।[১] মসজিদের প্রধান দরজা ও জানালার অলংকরণে ডাচ ঔপনিবেশিক প্রভাব স্পষ্ট।[২]
মসজিদটির আকার মাত্র ১৫ x ১৫ মিটার, যা ৪০০ বর্গমিটার জমির উপর স্থাপিত।[২] মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি কবরস্থান রয়েছে।[৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Lombard, Denys (১৯৭২)। "A travers le vieux Djakarta (1)": 97–101। ডিওআই:10.3406/arch.1972.987। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ Abdul Baqir Zein (১৯৯৯)। Masjid-masjid bersejarah di Indonesia (Indonesian ভাষায়)। Gema Insani। পৃষ্ঠা 142–144। আইএসবিএন 9789795615675। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৫-০২-১৩ তারিখে Angke, Masjid.
- ↑ Heuken, Adolf (২০০৩)। Mesjid-mesjid tua di Jakarta (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Yayasan Cipta Loka Caraka। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Angke Mosque"। Enjoy Jakarta। Jakarta Tourism Board। ২০০৮। ২৮ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৭।