অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ ভবন, ২০১৬ থেকে চালু
অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ, অক্সফোর্ডের ভিতরের সামনের আঙ্গিনা

অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ (ওসিআইএস) ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে অবস্থিত ইসলাম ও মুসলিম সমাজের উন্নত অধ্যয়নের কেন্দ্র এবং একটি নিবন্ধিত শিক্ষামূলক দাতব্য সংস্থা। এর পৃষ্ঠপোষক হলেন ওয়েলস প্রিন্স । ২০১২ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রতিষ্ঠানটিকে একটি রাজকীয় সনদ প্রদান করেন। কেন্দ্রের শাসন পরিচালনা করে বিশ্বের পণ্ডিত ও রাষ্ট্রনায়কদের নিয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড এবং কাউন্সিল দ্বারা মনোনীত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল। [১][২][৩]

কেন্দ্রটি বহু-বিষয়ক দৃষ্টিকোণ থেকে, ইসলামি সংস্কৃতি ও সভ্যতা এবং সমসাময়িক মুসলিম সমাজের সমস্ত দিকগুলি অধ্যয়নের জন্য উৎসর্গীকৃত৷ কেন্দ্রের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ এবং কলেজগুলোতে সক্রিয়। কেন্দ্রের স্কলারশিপ এবং ভিজিটিং ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনেক ছাত্র ও সিনিয়র শিক্ষাবিদ বছরের পর বছর ধরে অক্সফোর্ডে আসেন। কেন্দ্র সমস্ত শিক্ষাবর্ষ জুড়ে বক্তৃতা, সেমিনার, কর্মশালা এবং সম্মেলন, প্রদর্শনী ও অন্যান্য উচ্চ শিক্ষায়তনিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৯৩ সালে প্রিন্স অফ ওয়েলসের কেন্দ্রীয় একটি অনুষ্ঠানে, যার উদ্বোধনী বক্তৃতা ছিল 'ইসলাম ও পশ্চিমাবিশ্ব' বিষয় নিয়ে, সেখানে অনেক বিশিষ্ট রাষ্ট্রনায়ক এবং পণ্ডিতরা বক্তৃতা দিয়েছেন। এই ধারাবাহিকের বক্তাদের মধ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মুসলিম বিশ্বের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পণ্ডিতগণ, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ, ইউনেস্কো এবং কমনওয়েলথ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থার মহাসচিবরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। [৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০]

কেন্দ্রটি সেন্ট ক্রস রোডের একটি কাঠের কুঁড়েঘরে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে জর্জ স্ট্রিটে এর অফিস স্থানান্তরিত হয়। [১১] পরে এটি ২০১৬/২০১৭ শিক্ষাবর্ষে মিশরীয় স্থপতি আবদেল-ওয়াহেদ আল-ওয়াকিল, [১২] দ্বারা নকশা করা একটি নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। [১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "A speech by HRH The Prince of Wales"। princeofwales.gov.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "About OCIS"। Oxford Centre for Islamic Studies। ২০০৮-১২-১৫। ২০০৭-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "HRH visits the Oxford Centre for Islamic Studies new building"। The Prince of Wales। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৫। ১৯ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৫ 
  4. "Palestinian Ambassador Afif Safieh at OXCIS Palestinian-Israeli Relations: History is Still Undecided"The Muslim Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮ 
  5. "Prince 'Abdul Mateen graces Sultan of Brunei Prize presentation ceremony | Borneo Bulletin Online" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮ 
  6. Binyon, Michael (২০১৮-০৩-০৩)। "Catholic Church sets out a vision for closer ties with Islam"The Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0140-0460। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮ 
  7. "Dr Wan Azizah visits Oxford Centre for Islamic Studies"Malay Mail (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮ 
  8. OTHMAN, ZAHARAH (২০১৮-০৯-২৩)। "Dr M to deliver major lecture on Islam at Oxford Centre for Islamic Studies"NST 
  9. Devenport, Mark (২০১৮-০৯-১৩)। "Seeing the human side of a UN chief" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮ 
  10. "A royal relationship: Prince Andrew honours Sheikh Zayed at centenary event"The National (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮ 
  11. "Prince Charles urges population to 'rediscover unity' as he opens Islamic centre"Oxford Mail (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮ 
  12. "Abdel-Wahed El-Wakil or the Triumph of the Islamic Architectural Style"Muslim Heritage। ২০০৯-১০-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৮ 
  13. "£60m Islamic studies centre to open at last"Oxford Mail (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]