ভারানি থিরুনাল লক্ষ্মী বাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভারানি থিরুনাল লক্ষ্মী বাই
মহারানি আনুমানিক ১৮৮৫ সালে
জন্ম১৮৪৮ (1848)
মৃত্যু১৯০১ (বয়স ৫২–৫৩)
দাম্পত্য সঙ্গীকেরালা বর্মা ভালিয়া কৈল থামপুরান
ধর্মহিন্দুধর্ম

মহারানি ভারানি থিরুনাল লক্ষ্মী বাই সিআই (১৮৪৮ – ১৯০১) ১৮৫৭ থেকে ১৯০১ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ত্রিবাঙ্কুরের বরিষ্ঠ রানি ছিলেন। তাঁর স্বামী ছিলেন বিখ্যাত কবি ও লেখক এবং মালয়ালম সাহিত্যের জনক শ্রী কেরালা বর্মা ভালিয়া কৈল থামপুরান

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ত্রিবাঙ্কুরের লক্ষ্মী বাই

লক্ষ্মী বাই ১৮৪৮ সালে মাবেলিকরার ভরনি নাল আম্মা থামপুরানের কন্যা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মায়ের পরিবার ছিল কোলাথুনাড়ু রাজপরিবারের একটি শাখা যা সরাসরি ত্রিবাঙ্কুর রাজ পরিবারের সাথে সম্পর্কিত ছিল। ১৮ শতকের শেষের দিকে যখন টিপু সুলতান মালাবারে তাঁদের অঞ্চল আক্রমণ করেছিলেন তখন পরিবারটি ত্রিবাঙ্কুরে বসতি স্থাপন করেছিল। যদিও কোলাথুনাড়ু পরিবারের কিছু সদস্য ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু তিন বোন ত্রিবাঙ্কুরে থেকে যান এবং মাবেলিকরা, এন্নাক্কাড় এবং প্রায়িক্কারায় রাজকীয় প্রাসাদগুলি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮৫৭ সালে, ত্রিবাঙ্কুরের তৎকালীন রানি, মহারাজ উথরাম থিরুনালের ভাইঝি, মহামান্যা পুরাদম থিরুনাল লক্ষ্মী বাই ছেলের জন্মের পরপরই মারা যান। ছেলেটি হল পরবর্তী মহারাজা মূলম থিরুনাল। রাজপরিবার মাতৃসূত্রের উত্তরাধিকারের মারুমাক্কাথায়ম পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল এবং রানির মৃত্যুর কারণে রাজবংশের স্থায়ীত্ব বিপন্ন হবার মুখে এসে দাঁড়ায়। সেইজন্য, আগের পাঁচটি ক্ষেত্রে যেমন ঘটেছে, কোলাথুনাড়ু পরিবার থেকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যেহেতু পরিবারের সদস্যরা ত্রিবাঙ্কুরের বাসিন্দা ছিলেন, তাই তাঁদের মধ্য থেকে উত্তরাধিকারী বেছে নেওয়া হয়েছিল। মহারাজা মাবেলিকরার ভরনি থিরুনাল আম্মা থামপুরানের বড় দুই কন্যাকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দত্তক নেওয়া কন্যারা হল লক্ষ্মী বাই (জন্ম ১৮৪৮) এবং তার ছোট বোন পার্বতী বাই (জন্ম ১৮৫০)।

দত্তক এবং বিবাহ[সম্পাদনা]

১৮৫৭ সালের নভেম্বরে, পরম শক্তি এই দত্তক নেওয়া অনুমোদন করেছিল, এবং দুই মেয়ে রাজপরিবারে দত্তক কন্যা রূপে চলে আসে। তাদের ত্রিবাঙ্কুর পরিবারের নারীদের ঐতিহ্যগত পদ আত্তিঙ্গলের বরিষ্ঠ এবং কনিষ্ঠ রানই হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়েছিল। লক্ষ্মী বাই এখন হলেন মহামান্যা (হার হাইনেস) রানি ভারানি থিরুনাল লক্ষ্মী বাই। ১৮৫৯ সালে, নির্বাচিত পরিবারের তিনটি উপযুক্ত ছেলেকে তাঁর কাছে বিবাহের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল, এঁদের মধ্যে বিখ্যাত শিল্পী রাজা রবি বর্মাও ছিলেন। রানি পারপ্পানাড় রাজার ভাইকে পছন্দ করেছিলেন, যাঁদের পরিবারও ত্রিবাঙ্কুরের চঙ্গনাসেরিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন। পাত্রের নাম ছিল কেরালা বর্মা ভলিয়া কৈল থামপুরান। রাজা রবি বর্মা পরে তাঁর কনিষ্ঠ বোন মাবেলিকরা ভাগীরথী আম্মা থামপুরানকে বিবাহ করেছিলেন।

রানি ও কেরালা বর্মার বিবাহ সব দিক থেকেই খুব সুখের ছিল, কিন্তু তাঁদের কোন সন্তান হয়নি। ১৮৬০ সালে, উথরাম থিরুনাল মারা যান এবং তাঁর ভাইপো, রানির কাকা, মহারাজা আইলিয়াম থিরুনাল সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন। আইলিয়াম থিরুনাল এবং তাঁর ভাই বিশাখাম থিরুনাল উভয়েই প্রাথমিকভাবে কেরালা বর্মার কাছের মানুষ ছিলেন। কিন্তু ১৮৭০-এর দশকের কোন সময়ে প্রাসাদে ষড়যন্ত্রের ঘটনা শুরু হয়েছিল। বিশাখাম থিরুনাল, কেরালা বর্মা এবং দেওয়ান টি. মাধব রাও এর মধ্যে জড়িত ছিলেন। এঁরা তিনজন মহারাজের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। বিষয়গুলি আরও খারাপের দিকে মোড় নেয় যখন, পরম শক্তির অনুমোদনে, মহারাজা ১৮৭৫ সালে কেরালা বর্মাকে গ্রেফতার করেন এবং তাঁকে উত্তর ত্রিবাঙ্কুরের আলেপ্পিতে বন্দী করা হয়। দুই বছর পর, তাঁকে হরিপাড়ে তাঁর পারিবারিক বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

উৎস সমূহ[সম্পাদনা]

  • Travancore State Manual Vol II (1906) by V. Nagam Aiya
  • Travancore State Manual Vol II (1940) by TK Velu Pillai
  • Visakhavijaya: a study by Ramakrishna Pillai
  • At the turn of the tide by Dr. Lakshmi Raghunandan
  • India by Pierre Loti

টেমপ্লেট:ত্রাভাঙ্কোর রাজ্য