রানি বিজয়া দেবী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বিজয়া দেবী (২৮শে আগস্ট ১৯২২ - ৮ই ডিসেম্বর ২০০৫) ছিলেন কোটদা-সাঙ্গানির ঠাকুরানী। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল বিজয়লক্ষ্মী আম্মান্নি। তিনি ছিলেন কান্তিরব নরসিংহ রাজা ওয়াদিয়ারের জ্যেষ্ঠ কন্যা এবং জয়চামরাজেন্দ্র ওয়াদিয়ারের বোন।[১]

প্রাক বৈবাহিক জীবন[সম্পাদনা]

বিজয়া দেবী তাঁর বাবার প্রাসাদ চামুন্ডি বিহারে বড় হয়েছেন। তাঁর প্রাথমিক জীবন রাজপ্রাসাদে অতিবাহিত হয়েছিল, সেখানে পরিবারের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিবেশ তাঁর উপর গভীর ছাপ ফেলেছিল। রাজকুমারী কর্ণাটকী সঙ্গীত এবং নৃত্য শিক্ষা করেছিলেন। ছয় বছর বয়সে, তিনি গুড শেফার্ড কনভেন্টের প্রব্রাজিকাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক পিয়ানো পাঠও শুরু করেন এবং পরে ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক ডঃ আলফ্রেড মিস্টোস্কির অধীনে লন্ডনের ট্রিনিটি কলেজ অফ মিউজিকের ফেলোশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[২] [৩] তিনি বীণা ভেঙ্কটগিরিয়াপ্পার কাছ থেকে বীণা বাদন শিখেছিলেন এবং বীণা বাজানোতেও তিনি দক্ষ হয়ে ওঠেন। ১৯৩৯ সালে, বাবার সাথে ইউরোপ সফরের সময়, রাশিয়ান সুরকার ও বিশেষজ্ঞ সের্গেই রাচম্যানিনফের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল।[২]

বিবাহ পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

বিজয়া দেবী ১৯৪১ সালে কোটদা-সাঙ্গানীর ঠাকুর সাহেবকে (রাজকুমার) বিবাহ করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে স্বামীর সাথে নিউইয়র্কে চলে আসেন। তাঁর স্বামী ভারতীয় পররাষ্ট্র সেবায় কর্মরত ছিলেন। তিনি এডুয়ার্ড স্ট্যুয়ারম্যানের অধীনে জুলিয়ার্ড স্কুল অফ মিউজিক থেকে পিয়ানো শিক্ষা চালিয়ে যান। একজন দক্ষ আনুষ্ঠানিক পিয়ানোবাদক হিসেবে তিনি রেডিও ও টেলিভিশনের জন্য রেকর্ড করেছেন এবং হংকং ও ভারতে সঙ্গীতানুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন।[২]

কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

তিনি বেঙ্গালুরুতে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত ও আর্টস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] এটি বেঙ্গালুরুর বিদ্যমান সাংস্কৃতিক দৃশ্যকে বাড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং একই সঙ্গে ভারতীয় ও বিদেশী সঙ্গীতশিল্পী এবং অন্যান্য শিল্পীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনস্থান প্রদান করেছিল। ইংরেজ শিল্পী-নাট্যকার-শিক্ষক ডেভিড হর্সবার্গ দ্বারা পরিকল্পনা করা সোসাইটির লোগোটি পূর্ব এবং পশ্চিম উভয়ের শিল্পের চেতনাকে মূর্ত করে। এই সংগঠনটির অতীত পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে ছিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল। এছাড়াও ছিলেন নৃত্য বিশেষজ্ঞ রুক্মিণী দেবী অরুণ্ডেল, এস. এম. কৃষ্ণ এবং শ্রীকান্তদত্ত নরসিংহরাজ ওয়াদিয়ার[২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

বিজয়া দেবীর চার কন্যা ছিল: গীতা দেবী নাথ, ঊষা দেবী মালাবি, উর্মিলা দেবী এবং শকুন্তলা দেবী। তাঁর পাঁচ নাতি-নাতনি ছিল: অক্ষয় মালাভি, প্রিয়ম মালাভি, উদয় নাথ, হনুমন্ত নাথ এবং অনিশা তারাপোরওয়ালা।

তিনি ২০০৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে মারা যান।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bhaktavatsala, M (১০ জানুয়ারি ২০০৬)। "End of a gentle glow"। ২০ মে ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "Rani Vijaya Devi"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. Sardana, Nikhil (১ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Urmila Devi Kotda Sangani - Organising Secretary, International Music & Arts Society"Serenade। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]