এমিন সেমিয়ে আনাসিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এমিন সেমিয়ে আনাসিয়া
জন্ম(১৮৬৪-০৩-২৮)২৮ মার্চ ১৮৬৪
ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য
মৃত্যু১৯৪৪(1944-00-00) (বয়স ৭৯–৮০)
ইস্তাম্বুল, তুরস্ক
ছদ্মনামএমিন ভাহিদে
পেশাঔপন্যাসিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক
জাতীয়তাতুর্কি
বিষয়নারী অধিকার
সাহিত্য আন্দোলননারীবাদ
আত্মীয়আহমেদ সেভদেত পাশা (পিতা)
ফাতেমা আলিয়ে (বোন)

এমিন সেমিয়ে আনাসিয়া (২৮ মার্চ ১৮৬৪ – ১৯৪৪), বেশিরভাগই এমিন সেমিয়ে এবং এমিন ভাহিদে নামে পরিচিত, ছিলেন একজন তুর্কি লেখক, কর্মী এবং প্রথমদিকের নারীবাদী।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

এমিন সেমিয়ে ১৮৬৪ সালের ২৮ মার্চ ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আহমেদ সেভদেত পাশার দ্বিতীয় কন্যা এবং ফাতমা আলিয়ের বোন ছিলেন।[১][২] তার মা ছিলেন আদভিয়ে রাবিয়া হানাম। এমিন সেমিয়ে সাত বছর ধরে ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডে মনোবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেন। তিনি ছিলেন ইউরোপে শিক্ষিত উসমানীয় মহিলাদের অন্যতম একজন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৮৮২ থেকে শুরু করে, এমিন সেমিয়ে ইস্তাম্বুল এবং অন্যান্য প্রদেশে তুর্কি এবং সাহিত্য শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন।[২] তিনি মেয়েদের স্কুলে পরিদর্শক এবং সিসলি এটফাল হাসপাতালে সহকারী নার্স হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯০৮ সালে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ঘোষণার পর রাজনীতি এবং শিক্ষার উপর তার লেখাগুলি মুতালা (থেসালোনিকিতে) এবং হানমালারা মাহসুস গেজেটে (ইংরেজিতে "নিউজ পেপার ফর উইমেন") পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি ১৮৯৩ সালে হুলাসা-ই ইলম-ই হেসাপ নামে একটি গণিতের পাঠ্যপুস্তকও লিখেছিলেন।[৩] তার সর্বাধিক পরিচিত উপন্যাস হল সেফালাত (১৯০৮) ("দারিদ্র্য")[৪] এবং গায়া কুয়ুসু ("জাহান্নামের গর্ত")।

সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ঘোষণার আগে তিনি এডর্নে থাকাকালীন "সার্ভিস-ই নিসভান" নামে একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সমিতিতে সুলতান মুরাদের কন্যা ফাহিমা সুলতানও ছিলেন।

এমিন সেমিয়ে, তার বড় বোন ফাতেমা আলিয়ের সাথে, উসমানীয় নারী আন্দোলনের এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[৫] তিনি নারীদের সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকটি দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সবসময় নারীর অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রোগ্রেস এবং পরবর্তীকালে উসমানীয় ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রোগ্রেসিভ কমিটির সদস্য হন। ১৯২০ সালে, তিনি তুর্কি সাংবাদিক সমিতির গভর্নিং বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন যাকে সেই বছর পর্যন্ত উসমানীয় প্রেস অ্যাসোসিয়েশন বলা হত।[৬]

সাহিত্য[সম্পাদনা]

  • সেফিকা কুর্নাজ: এমিন সেমিয়ে। তিমাস পাবলিকেশন্স, ইস্তাম্বুল ২০০৮।
  • সেলিম আয়াদেজ: ইনাস্যা, এমিন সেমিয়ে। ইন: উসমানীয় এনসাইক্লোপিডিয়া উইথ দ্য লাইভস অ্যান্ড ওয়ার্কস। ইয়াপ ক্রেডি পাবলিকেশন, ইস্তাম্বুল ১৯৯৯।

ব্যক্তিগত জীবন এবং মৃত্যু[সম্পাদনা]

এমিন সেমিয়ে দীর্ঘদিন প্যারিসে বসবাস করেছিলেন। তিনি দুইবার বিয়ে করেছিলেন।[২] তার প্রথম স্বামী ছিলেন মোস্তফা বে। দ্বিতীয়জন ছিলেন রেসিত পাশা। পরে তাদের ডিভোর্স হয়। তার দুটি ছেলে ছিল; প্রতিটি স্বামীর কাছ থেকে একটি করে। তাদের নাম হাসান রিজা, মোস্তফা বেয়ের ছেলে এবং রেভিত পাশার ছেলে সেভদেত লাগা। তিনি ১৯৪৪ সালে ইস্তাম্বুলে মারা যান।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Emine Semiye"www.kitapyurdu.com (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  2. "Modernleşme Döneminde Bir Kadın Yazarın Portresi: Emine Semiye Hanım (A portrait of a woman author in modernisation period: Emine Semiye)"turkoloji.cu.edu.tr। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  3. Zirin, Mary Fleming; Livezeanu, Irina (২০০৭)। Women and Gender in Central and Eastern Europe, Russia, and Eurasia: A Comprehensive Bibliography (ইংরেজি ভাষায়)। M.E. Sharpe। আইএসবিএন 978-0-7656-2444-4 
  4. "Sefalet - Emine Semiye - Antik Kitap"web.archive.org। ২০১৩-১০-২৯। Archived from the original on ২০১৩-১০-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  5. "An analysis of Turkish modernity through discourses of masculinities" (পিডিএফ)Middle East Technical University 
  6. Criss, Bilge (১৯৯৯)। Istanbul under allied occupation, 1918-1923। Leiden: Brill। আইএসবিএন 90-04-11259-6ওসিএলসি 39787448