জাহরা রাহনাওয়ার্দ
জাহরা রাহনাওয়ার্দ | |
---|---|
জন্ম | জোহরেহ কাজেমি ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ |
জাতীয়তা | ইরানি |
মাতৃশিক্ষায়তন | তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অধ্যাপক |
উপাধি | আলজাহরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চ্যান্সেলর |
রাজনৈতিক দল | |
আন্দোলন | ইসলামি নারীবাদ[১] |
দাম্পত্য সঙ্গী | মীর-হোসেইন মুসাভির |
সন্তান | ৩ |
জাহরা রাহনাওয়ার্দ (ফার্সি: زهرا رهنورد; জন্ম: ১৯ আগস্ট ১৯৪৫) একজন ইরানি শিক্ষাবিদ, শিল্পী এবং রাজনীতিবিদ।[২] রাহনাওয়ার্দ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিল্পী এবং ক্রুসেডিং বুদ্ধিজীবী। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত গৃহবন্দী ছিলেন। ২০০৯ সালে ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের অন্যতম বিশিষ্ট চিন্তাবিদ হিসেবে মনোনীত করে।[৩] তিনি ইরানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মীর হোসেন মুসাভির স্ত্রী। তার কাজের একটি অংশে, তিনি মহিলাদের মতো পুরুষদেরও হিজাব আইনকে সম্মান করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে মহিলাদের অধিকারের জন্য সাধারণ কর্মীদের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।[৪]
জীবনের প্রথমার্ধ
[সম্পাদনা]রাহনাওয়ার্দ ইরানের বোরোজার্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাজ-ফাতালি ছিলেন একজন শিয়া এবং কমিউনিস্ট বিরোধী। ইরানে শিয়া আলেমদের একটি সমাবেশের কথা শোনার পর, হজ-ফাথালি মারকাজি প্রদেশের খোমেনের দিকে চলে যানা। সেখানেই জাহরা বেড়ে উঠেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] জাহরা তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিল্প ও স্থাপত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করেছেন।[৫]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]রাহনাওয়ার্দ শাহের বিরুদ্ধে প্রথম দিকের বিপ্লবীদের মধ্যে ছিলেন। শাহ-শাসনের শেষ বছরগুলোতে তিনি আলী শরিয়তির ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যিনি একজন ভিন্নমতাবলম্বী ইসলামপন্থী নেতা।[৬]
রাহনাওয়ার্দ ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তেহরানের আল-জাহরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ইরানের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ খাতামির রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৭][৮] ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পর রাহানাভাদ প্রথম ইরানি নারী যিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রাক্তন বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা মইন কর্তৃক তিনি এই পদে মনোনীত হন। ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদের নির্বাচন এবং সরকার থেকে সংস্কারবাদী কর্মকর্তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে আল-জাহরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদ থেকে রাহনাভার্দকে অপসারণ করা হয় (অথবা পদত্যাগ করানো হয়)।[৪]
১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রধান হিসেবে, বিভিন্ন সামাজিক বিষয় অনুসন্ধানকারী সাতটি সরকারী কমিটির একজন হিসেবে, রাহনাভার্দ এই কমিটিগুলিকে নারী সদস্যদের দ্বারা আরও সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং নারীদের দিতে সরকারের ব্যর্থতার একজন স্পষ্টবাদী সমালোচক ছিলেন যা তার মতে, কুরানের অধীনে তাদের বৈধ সামাজিক ও নাগরিক অধিকার।[৪]
২০০৯ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মুসাভি প্রবেশকরার সময় তিনি তার স্বামী মীর-হোসেইন মুসাভির প্রচারণার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এখন তিনি "আশার সবুজ পথ" বা দ্য গ্রিন পাথ অফ হোপ নামক সংগঠনের সদস্য এবং বিরোধী দলের অন্যতম নেতা। রাহনাভার্দ মোট ১৫টি বইয়ের লেখক।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]রাহনাভার্দ ইরানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মীর-হোসেইন মুসাভির স্ত্রী। তিনি তিন কন্যার জননী। তারা হলো: কোকাব, নার্গেস এবং জাহরা। তিনি এবং মুসাভি ১৯৬৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন। তারা এখন গৃহবন্দী আছেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Ziba Mir-Hosseini, "FEMINIST MOVEMENTS iv. IN THE ISLAMIC REPUBLIC", Encyclopædia Iranica, IX/5, pp. 498-503, available online at http://www.iranicaonline.org/articles/feminist-movements-iv (Retrieved 30 December 2012).
- ↑ "Zahra Rahnavard - O Magazine 2010 Power List"। Oprah। ২০১০। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- ↑ "Zahra Rahnavard: The Story of a Career"। Tavaana (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৫।
- ↑ ক খ গ "Rahnavard, Zahra | Encyclopedia of Women Social Reformers - Credo Reference"। search.credoreference.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৬-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১৫।
- ↑ "بیوگرافی زهرا رهنورد"। Yazd Farda। ৬ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১১।
- ↑ Alavi, Nasrin (২ জুন ২০০৯)। "Iran: a blind leap of faith"। Open Democracy। ১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১১।
- ↑ Torfeh, Massoumeh (৫ মে ২০০৯)। "Iran's first first lady?"। The Guardian। London।
- ↑ [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]|- style="text-align: center;"
|- style="text-align:center;"
|style="width:30%;" rowspan="1"|পূর্বসূরী
{{{before}}}
| style="width: 40%; text-align: center;" rowspan="1"|Chancellor of Alzahra University
{{{years}}}
|width="30%" align="center" rowspan="1"| উত্তরসূরী
{{{after}}}
|-