বিষয়বস্তুতে চলুন

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট
গঠিত১৯৯০; ৩৪ বছর আগে (1990)
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটwww.ngte-welfaretrust.gov.bd

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট বেসরকারী খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ একটি কল্যাণ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন হলেন মোঃ সোহরাব হোসেন।[] এটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সাথে বেসরকারী শিক্ষাবিদদের পেনশন তহবিল দেখাশোনা করে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বেসরকারি শিক্ষকদের কল্যাণে ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক গঠিত কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন একটি পরিকল্পনা গ্ৰহণ করে। তবে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং সরকার পরিবর্তনের পর এই পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়।[]

১৯৯০ সালে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (শিক্ষক ও কর্মচারী) ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট আইন পাসের মাধ্যমে বেসরকারী শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।[] এটি ১৯৯০ সালে ১ জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু করে, কিন্তু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ট্রাস্ট শিক্ষকদের ২.৭ বিলিয়ন টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।[]

৬ মে ২০১২ তারিখে ট্রাস্ট পেনশনের জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করে।[]

৮ নভেম্বর ২০১৮-তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রাস্টের জন্য ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেন।[] ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গুজব রটেছিল যে সরকার ট্রাস্টের কাছে থেকে চেক টু চেকের মাধ্যমে পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করা শিক্ষকদের অর্থ প্রদান করেছে। সরকার এই অভিযোগ খণ্ডন করে বলেছে যে ট্রাস্ট কেবল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য তহবিল সরবরাহ করে।[]

বেসরকারী শিক্ষকরা তাদের বেতনের ছয় শতাংশ দিয়ে ট্রাস্টের অবসর কালীন তহবিলে অবদান রাখেন যা অবসরগ্রহণের পরে, বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত অর্থায়নে সহ তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে সরকার তা বাড়িয়ে দশ শতাংশ করে দেয়, যার প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন।[][] সরকার ২০১৭ সালেও অবদান দশ শতাংশে বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল।[১০]

২০২০ সালের অক্টোবরে ডেইলি সান জানিয়েছিল যে ৪২ হাজারেরও বেশি আবেদনকারী তাদের পেনশন ট্রাস্ট এবং বেসরকারী কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের দ্বারা অনুমোদন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল ও ট্রাস্টের সদস্য মোঃ শাহজাহান আলম সাজু জানিয়েছেন যে পেনশনসহ সকল দায় পরিশোধের জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত তহবিল নেই এবং ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১০ বিলিয়ন টাকা অর্থ সহায়তার অনুরোধ করেছেন।[১১]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Chairman"ngte-welfaretrust.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Government needs empathy for nongovernment teachers"দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১ 
  3. "'A quarter intrigues to malign govt achievements' | The Asian Age Online, Bangladesh"The Asian Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮ 
  4. "Non-Government Educational Institutions (Teachers and Employees) Welfare Trust Act, 1990"commonlii.org। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১ 
  5. "Teachers to apply online for pension"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮ 
  6. "5pc increment for non-govt edu teachers, employees announced"unb.com.bd (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১ 
  7. "Govt refutes social media rumour on 'purchasing' teachers involved in polls"The Daily Observer। ২০২১-০৪-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮ 
  8. "Non-govt teachers in grave misery"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১ 
  9. "Non-government teachers demand cancellation of 10% salary incision for facilities"Dhaka Tribune। ২০১৯-০৪-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮ 
  10. "MPO teachers resent govt move"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৮ 
  11. Salman, Md Solamain। "Non-govt teachers in grave misery"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২১