নির্মলি চিত্রকর্ম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নির্মল চিত্রকর্ম

নির্মলি চিত্রকর্ম বা নির্মল চিত্রকর্ম হল ভারতের তেলেঙ্গানার নির্মল জেলার নির্মলে প্রচলিত একপ্রকার জনপ্রিয় চিত্রকলা।[১] শহরে এটি একটি ছোট আকারের শিল্প গঠন করেছে। নির্মল কারিগররা একটি সম্প্রদায় গঠন করেছে। নির্মলে অবস্থানপূর্বক তারা একটি ছোটখাটো ব্যবসার আকারে তাদের শিল্পচর্চা করে যাচ্ছে। [২] চিত্রগুলোতে সোনালি রঙ ব্যবহার করা হয়।[৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

নির্মলি শিল্পকর্মটির নামকরণ করা হয়েছে তার উৎপত্তিস্থলের নাম থেকেই। নির্মলি শিল্পের বিবর্তন কাকতীয় রাজবংশের সময়কালের দিকে ইঙ্গিত করে। এই শিল্পটি চতুর্দশ শতাব্দীতে নকশ নামে পরিচিত একদল কারিগরের দ্বারা অনুশীলন করা হয়েছিল। মোগলরা শিল্পটিকে এত পছন্দ করত যে তারা এই শিল্প এবং দক্ষতার পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। ১৯৫০-এর দশকে লেডি হায়ডেরি নির্মলি কারিগরদের হায়দ্রাবাদ রাজপথে আনেন এবং তাদের নৈপুণ্যের প্রচার করেন। এই চিত্রকলার রঙগুলো বিভিন্ন খনিজ, গুল্ম এবং অন্যান্য গাছপালা থেকে সংগ্রহ করে নেওয়া হয়। এইসব চিত্রের বিযয়বস্তুতে অজন্তা এবং অন্যান্য মোঘল শিল্পের প্রভাব রয়েছে। কালো রঙের পটভূমিতে চমকপ্রদ সোনালি চিত্রকলাগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়।

নির্মাণ প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

প্রথম পদক্ষেপটি হলো কাঠের উপরিভাগে বার্নিশ করা এবং তারপরে সুনির্দিষ্ট নকশাটি আঁকা। তারপর অন্যান্য নকশাগুলো শনাক্ত করে চকের সাহায্যে সেগুলো আঁকা হয়। সবশেষে চিত্রগুলো উজ্জ্বল রঙ করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত সোনালি আভা ফুটিয়ে তুলে বার্নিশ করা হয়।

নির্মলি খেলনা[সম্পাদনা]

নির্মলি খেলনাগুলো গুল্মের নির্যাস থেকে তৈরি করা হয়। এই খেলনাগুলো বিভিন্ন পেশার মানুষের এবং বিভিন্ন প্রাণীর আঙ্গিকে তৈরি করা হয়। এগুলো প্রথমে কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়, তারপরে বাহারি রকমের রঙ করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Nirmal Crafts"। discoveredindia.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. "Lepakshi expo begins - ANDHRA PRADESH"The Hindu। ২০০৭-০৮-১২। ২০০৭-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১৯ 
  3. "Traditional art emporium at its finest - HYDB"The Hindu। ২০০৮-০১-১২। ২০০৮-০৪-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১৯ 
  4. "Lepakshi expo inaugurated - ANDHRA PRADESH"The Hindu। ২০১০-০৭-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-১৯