বগুড়া উডবার্ন জেলা সরকারি গ্রন্থাগার
বগুড়া উডবার্ন জেলা সরকারি গ্রন্থাগার বা উডবার্ন লাইব্রেরি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় অবস্থিত একটা গণগ্রন্থাগার।[১] গ্রন্থাগারটি ১৮৫৪[২] সালে মি. রিয়েল নামের একজন ইংরেজ কর্মকর্তার সহায়তায় করতোয়ার তীরে স্টেশন ক্লাব এলাকায় কাঠের ভবনে যাত্রা শুরু করে।[৩] ১৬৬ বছরের পুরনো এ লাইব্রেরিতে পনেরো শতকের রাজকবি শ্রীমদ্ জ্ঞানেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্যের সংস্কৃত ভাষায় লেখা তিনটি পুঁথির দুর্লভ পাণ্ডুলিপি সহ অনেক দুর্লভ সংগ্রহ রয়েছে। গ্রন্থাগারের অধিকাংশ বই ৫০ থেকে ১৫০ বছরের পুরনো।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এ গ্রন্থাগারটি ১৮৫৪ সালে প্রথম স্থাপিত হয়। বগুড়ার তৎকালীন নবাব আব্দুস সোবহান চৌধুরী এ গ্রন্থাগারের জন্য ভবন নির্মাণ করে দেন। ১৯০৮ সালে বগুড়ার তৎকালীন কালেক্টর ও বাংলার গভর্নর জে এন গুপ্ত স্যার জন উডবার্নের নামে এর নামকরণ করেন। ১৯৩০ সালে এটি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন নবাব সৈয়দ আবদুস সোবহান চৌধুরীর সহায়তায় এটি অ্যাডওয়ার্ড পার্কে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গ্রন্থাগারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নানা কারণে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তালাবদ্ধ থাকার পর ২০১৪ সালের ১৫ মার্চ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গণগ্রন্থাগারগুলোর অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সাথে একীভূত করে উডবার্ন সরকারি গণগ্রন্থাগার নামে নামকরণ করা হয়।
সংগ্রহ
[সম্পাদনা]একীভূত হওয়ার সময় উডবার্ন সরকারি গ্রন্থাগারে ২৮ হাজার ৪৮২ টি বই থাকলে আট হাজার বই সরকারি গণগ্রন্থাগার বুঝে পেয়েছে। এখানে পনেরো শতকের রাজকবি শ্রীমদ্ জ্ঞানেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্যের সংস্কৃত ভাষায় লেখা তিনটি পুঁথির দুর্লভ পাণ্ডুলিপি রয়েছে। প্রাচীন তুলট কাগজে দোয়াতকালি ও বাঁশের কলমে লেখা প্রতিটি পাণ্ডুলিপি প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার। পুঁথি তিনটির নাম পদ্মপুরাণ, গোবিন্দ কথামৃত ও হিরণ্যকশিপু। সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষার বই সহ পুরনো গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, জার্নাল, রেফারেন্স বই সহ আট হাজারের মতো বই রয়েছে এখানে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Television, Independent। "জনবল ও অর্থ বরাদ্দ না থাকায় সংকটে বগুড়ার উডবার্ন লাইব্রেরি"। www.independent24.com/।
- ↑ "দৈনিক জনকন্ঠ || গ্রন্থাগারিক ছাড়াই বগুড়া গণগ্রন্থাগার"। দৈনিক জনকন্ঠ।
- ↑ "১৬৩ বছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে উডবার্ন লাইব্রেরি"। banglanews24.com।