সাভার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাভার
শহর
সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাঢাকা জেলা
উপজেলাসাভার উপজেলা
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকসাভার পৌরসভা
আয়তন
 • মোট১৩.৫৪ বর্গকিমি (৫.২৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
 • মোট২,৯৬,৮৫১
 • জনঘনত্ব২২,০০০/বর্গকিমি (৫৭,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬)
জাতীয় স্মৃতি সৌধ, সাভার

সাভার বাংলাদেশের মধ্যাংশে, ঢাকার নিকটবর্তী ও ঢাকা জেলায় অবস্থিত একটি শহর। ঢাকা হতে ২৪ কিমি দূরত্বে অবস্থিত এ শহরটি ঢাকার সবচেয়ে নিকটবর্তী শহর। এটি ঢাকা থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে অবস্থিত ঢাকা জেলার ২য় বৃহত্তম শহর এবং যা ঢাকা মেগাসিটিরর অংশ। এটি সাভার উপজেলার সদর দপ্তর। সাভারের মোট আয়তন ১৩.৫৪ বর্গকিলোমিটার এবং মোট জনসংখ্যা ২৯৬,৮৫১ জন, যা একে বাংলাদেশের ১১তম বৃহৎ শহরে পরিণত করেছে।[১] সাভার যোগাযোগ, শিল্প, ব্যবসাবাণিজ্য ও শিক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সড়ক এন ৫ এ শহরের মধ্যদিয়ে গেছে। এখানে রয়েছে অনেক বড়ছোট শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস। সর্বোপরি, সাভার যে জন্য সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত তা হলো বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ময়নামতির তান্ত্রিক মহারানীর পুত্র গোপীনাথের সঙ্গে হরিশচন্দ্র রাজার জেষ্ঠা কন্যা অনুদার বিয়ে এবং কনিষ্ঠ কন্যা পদুনাকে যৌতুক প্রদানের গল্প কাহিনী সাভারের অনেকের কাছেই শোনা যায়। হরিশচন্দ্রের দ্বাদশ পুরুষ শিবচন্দ্র রায় তার শেষ জীবন কাশী গয়ায় অতিবাহিত করে প্রয়াত হন। শিবচন্দ্রের একাদশ পুরুষ তরুরাজ খাং এর প্রথম ও দ্বিতীয় পুত্র শুভরাজ ও যুবরাজ হুগলীতে চলে যান। তৃতীয় ও চতুর্থ পুত্র বুদ্ধিমন্ত ও ভাগ্যমন্ত পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাদের এক বংশধর সিদ্ধ পুরুষ খ্যাতি লাভ করেন এবং তার সমাধী কোন্ডা গ্রামে খন্দকারের দরগা নামে আজও বিদ্যমান।

১৯৫৯ সালে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন হলে সাভার থানা কাউন্সিল গঠিত হল এবং ১৯৯১ সালে সাভার পৌরসভা গঠিত হয়।[২]

ভূগোল[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে বংশী ও ধলেশ্বরী নদীর সঙ্গমস্থলে সাভার অবিস্থিত। এটি ২৩º৪৪΄ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪º০২΄ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৯০º১১΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯০º২২΄ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ১৩.৫৪ বর্গকিলোমিটার। এলাকাটি মধুপুর প্লাইস্টোসিন উঁচু ভূমির দক্ষিণাংশের অন্তর্ভুক্ত। এর ভূমিস্তর বেশ উঁচু। উঁচু স্তরের ভূমি ‘চালা’ এবং দুই উঁচু ভূমির মাঝের নিচু অংশ ‘বাইদ’ নামে পরিচিত।[৩]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী সাভারের মোট জনসংখ্যা ২৯৬,৮৫১ জন।[২] যার মধ্যে ১৩২,৬৯৮ জন পুরুষ এবং ১২৪,০৬২ জন মহিলা এবং এই বিপুল জনসংখ্যা ৬০,২৯০টি খানায় বাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১,৩০৬ জন লোক বসবাস করে। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০ঃ১০৭ এবং সাক্ষরতার হার ৬৬.৫% (৭ বছরের উর্দ্ধে)।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "23: Area, Household, Population and Literacy Rate of the Cities, 2011"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা XI। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. "4.1.31 Savar"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ৭৫। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  3. এম.এম হক (২০১২)। "সাভার"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯