সুশিলা কারকি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাননীয়া বিচারপতি
সুশিলা কারকি
নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি[১]
কাজের মেয়াদ
১১ জুলাই ২০১৬ – ৬ জুন ২০১৭
নিয়োগদাতানেপালের সাংবিধানিক কাউন্সিল
পূর্বসূরীকল্যাণ শ্রেষ্ঠা
উত্তরসূরীগোপাল পরাজুলি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1952-06-07) ৭ জুন ১৯৫২ (বয়স ৭১)[২]
বীরাটগরের শংকরপুর গ্রাম, মোরাং জেলা, পূর্ব অঞ্চল, নেপাল[৩][৪]
দাম্পত্য সঙ্গীদুর্গা প্রসাদ সুবেদী

সুশিলা কারকি (জন্ম ৭ জুন ১৯৫২) হচ্ছেন একজন নেপালী বিচারক। তিনি নেপালের সুপ্রিম কোর্ট এর সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং এই পদে অধিষ্ঠিত একমাত্র মহিলা। ১১ জুলাই ২০১৬-এ কারকি প্রধান বিচারপতি হন। প্রধানমন্ত্রীর কেপি ওলির নেতৃত্বে সাংবিধানিক পরিষদ তাকে এই পদে নিয়োগের সুপারিশ করে।

তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার শূন্য সহনশীলতার জন্য পরিচিত। ২০১৭ সালের ৩০ই এপ্রিল, মাওবাদী সেন্টার ও নেপালি কংগ্রেস কারকির বিরুদ্ধে সংসদে একটি অভিশংসন প্রস্তাব উন্থাপন করে।[৫] যাইহোক, জনসাধারণের চাপের পরে অভিশংসন প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয় এবং সুপ্রিম কোর্টের একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ সংসদকে নির্দেশ দিয়েছিল এই প্রস্তাবটি আর সামনে এগিয়ে না নিয়ে যেতে।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

কারকি তার পিতামাতার সাত সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় সন্তান। তিনি একটি কৃষক পরিবার থেকে এসেছেন।[৬] তিনি দুর্গা প্রসাদ সুবেদীকে বিয়ে করেছিলেন, যার সাথে তিনি বেনারস-এ পড়াশোনা করেছিলেন। দুর্গা সুবেদী তখন নেপালি কংগ্রেসের জনপ্রিয় যুব নেতা ছিলেন।[৪] নেপালি কংগ্রেসের পঞ্চায়েত শাসনামলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় একটি বিমান ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার জন্য সুবেদি সবচেয়ে পরিচিত।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

১৯৭২-এ, তিনি বিরাটনগর মহেন্দ্র মোরাং ক্যাম্পাস থেকে স্নাতক (বিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪] ১৯৭৫ সালে, কারকি বানারাস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, ভারানসি, ভারত থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।[৭] ১৯৭৮ সালে নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে তিনি ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন।[৭]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৭৯ সালে তিনি বিরাটনগরে তার আইন অনুশীলন শুরু করেন। কারকি প্রথম দিকে ১৯৮৫ সালে ধারণ-এর মহেন্দ্র একাধিক ক্যাম্পাসে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২০০৭ সালে একজন সিনিয়র অ্যাডভোকেট হয়ে ওঠেন।[২] ২২ জানুয়ারি ২০০৯-এ তারিখে কারকিকে সুপ্রিম কোর্টের একটি অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করা হয় এবং ১৮ নভেম্বর, ২০১০-এ স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। [২][২] ১৩ই এপ্রিল ২০১৬ থেকে ১০ জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত কারকি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]

উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত[সম্পাদনা]

  • ওম ভক্ত রানা বনাম সিআইএএ / নেপাল সরকার (সুদান শান্তিরক্ষা মিশন দুর্নীতি)
  • নেপাল ট্রাস্ট অফিস বনাম প্রেরানা রাজ্য লক্ষ্মী রানা (সাবেক রয়েল রাজকুমারীর সম্পত্তি)
  • পৃথ্বী বাহাদুর পাণ্ডে বনাম কাঠমান্ডু জেলা আদালত (অস্ট্রেলিয়ার পলিমার ব্যাংক নোট মুদ্রণ দুর্নীতি)
  • কাঠমান্ডু নিঝগড় দ্রুতগমী ট্র্যাক কেস
  • সারোগেসি মামলা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "First woman Chief Justice of Nepal, Sushila Karki, takes oath"। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. "Sushila Karki recommended for Chief Justice"। ১০ এপ্রিল ২০১৬। 
  3. "Rt. Hon'ble Justice Mrs. Sushila Karki (Subedi)"www.supremecourt.gov.np 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৯ 
  5. "Archived copy"। ২ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৭ 
  6. "Nepal Gets First Woman Chief Justice, Sign Of Changing Attitudes" 
  7. "Sushila Karki, Nepals's new Acting CJ"। ১৫ এপ্রিল ২০১৬ – www.thehindu.com-এর মাধ্যমে। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]