চীন–উত্তর কোরিয়া সীমান্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চীন–উত্তর কোরিয়া সীমান্ত
জিলিনের চীন ও উত্তর কোরিয়া সীমান্ত চিহ্নিতকারী প্রস্তর খণ্ড
চীনা নাম
ঐতিহ্যবাহী চীনা 中朝邊境
সরলীকৃত চীনা 中朝边境
কোরীয় নাম
চোসেঙ্গুল조선민주주의인민공화국-중화인민공화국 국경
হাঞ্ছা朝鮮民主主義人民共和國·中華人民共和國 國境
সংশোধিত রোমানীকরণJoseon Minjujuui Inmin Gonghwaguk – Junghwa Inmin Gonghwaguk Gukgyeong
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়াChosŏn Minjujuŭi Inmin Konghwagukᆞ – Chunghwa Inmin Konghwaguk Kukkyŏng

চীন–উত্তর কোরিয়া সীমান্ত হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) এবং গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়াকে (উত্তর কোরিয়া) পৃথককারী আন্তর্জাতিক সীমান্ত।

ভূগোল[সম্পাদনা]

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তানতোংকে যুক্তকারী চীন-কোরিয়া বন্ধুত্ব সেতু

দুই দেশের মধ্যে সীমানা ১,৪২০ কিলোমিটার (৮৮০ মাইল) দীর্ঘ।[১] পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত, আমনকগং,[২] পাইকু পর্বতমালা এবং তুমেন নদী দেশ দুটিকে বিভক্ত করে।

চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের আমনকগং বদ্বীপের তানতোং শহর হল সীমান্তের বৃহত্তম শহর।[৩] নদীর অন্য তীরে উত্তর কোরিয়ার উত্তর পিয়ংগান প্রদেশের সিনুইজু শহর অবস্থিত। দুটি শহর হলুদ সমুদ্রের কাছে সীমান্তের পশ্চিম প্রান্তে ইয়ালু নদীর বদ্বীপে অবস্থিত। শহর দুটি নদীর দুই তীরে একে অপরের মুখোমুখি গড়ে উঠেছে এবং এদের চিন-কোরিয়া বন্ধুত্ব সেতু দ্বারা সংযুক্ত করা হয়েছে।

ইউলুতে ২০৫টি দ্বীপ রয়েছে। উত্তর কোরিয়া ও চীনের মধ্যকার ১৯৬২ সালের সীমান্ত চুক্তির ফলে প্রতিটি দ্বীপে বসবাসকারী জাতিগত গোষ্ঠী অনুসারে দ্বীপগুলো বিভক্ত করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়াতে ১২৭টি এবং চীন ৭৮টি দ্বীপ রয়েছে। বিভাগের মানদণ্ডের কারণে, হাওয়ানগাম্প্পং আইল্যান্ডের মতো কিছু দ্বীপ উত্তর কোরিয়ার অন্তর্গত হলেও দ্বীপগুলো নদীটির চীনা পার্শে রয়েছে। উভয় দেশের কাছে বদ্বীপসহ নদীতে নৌযান চালনার অধিকার আছে।

য়ালু নদীর উৎস হল পায়েকটু পর্বতের হাভেন হ্রদ, যা কোরিয় এবং মাঞ্চু জাতির মানুষের জন্মস্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এই হ্রদটি তুমেন নদীরও উৎস যা সীমান্তের পূর্ব অংশটি গঠন করে।

উত্তরপূর্ব চীন বিশেষ করে ইয়ানবিয়ান কোরিয়ান স্বায়ত্বশাসিত প্রাইফেকচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাতিগত কোরিয় নাগরিক রয়েছে।

বাণিজ্য এবং যোগাযোগ[সম্পাদনা]

চীনের সাথে সীমান্তটি উত্তর কোরিয়ার কাছে "বহির্বিশ্বের জীবনরেখা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[১] চীনউত্তর কোরিয়ার মধ্যে বেশিরভাগই বাণিজ্য ডান্ডং বন্দরের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়।[২]

চীনা সেল ফোন পরিষেবাটি কোরিয়ান অঞ্চলের ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত বলে পরিচিত, যা সীমান্ত অঞ্চলে চীনা সেল ফোনগুলোর জন্য একটি কালো বাজার সৃষ্টির দিকে পরিচালিত করেছে। উত্তর কোরিয়াতে আন্তর্জাতিক কলগুলো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং লঙ্ঘনকারীরা এই ধরনের ফোনগুলো অর্জনের জন্য নিজেদেরকে যথেষ্ট বিপদে ফেলেছে।[৪]

ডান্ডংয়ের পর্যটকরা ইউলুয়ে নদীর উত্তর অংশে কোরিয়ার পার্শে এবং তার উপনদীগুলোর উপরে স্পিডবোটে চলাচল করতে পারে।[৫]

অনেক চীনা দম্পতির জন্য একটি সাধারণ বিবাহ দিবসে নৌকা ভাড়া করা, তাদের বিবাহ পরিধানের উপর, জীবন সুরক্ষাকারী পরিধান পড়ে এবং উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে বিবাহের ফটোগুলো তোলা অন্তর্ভুক্ত।[৬]

ডান্ডংয়ের উত্তর কোরিয়ার অধিবাসীদের কেনাকাটার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় জিনিসগুলোর মধ্যে মেমরি কার্ড এবং টেডি বিয়ার উল্লেখযোগ্য।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Onishi, Norimitsu. "Tension, Desperation: The China-North Korean Border." The New York Times. October 22, 2006. Retrieved on October 23, 2012.
  2. Kanto, Dick K. and Mark E. Manyin. China-North Korea Relations, Congressional Research Service (December 28, 2010).
  3. Rogers, Jenny. "New group reaches out to China ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ অক্টোবর ২০১২ তারিখে." Gold Coast Bulletin. October 2, 2012. Retrieved on October 23, 2012.
  4. North Korea: On the net in world's most secretive nation (BBC)
  5. "A trip to the North Korea-China border, in photos"। NK News। ২৯ মে ২০১৫। 
  6. Hessler, Peter (২০০৬)। Oracle Bones। New York et al.: Harper Perennial। পৃষ্ঠা 62 
  7. Reuters (৪ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Thanks for the memory cards; North Koreans return from China"www.atimes.com। ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]