প্রকৌশল ও বস্ত্র প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয়, বহরমপুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Government College of Engineering & Textile Technology, Berhampore
ধরনEducation and research institution
স্থাপিত1927
অবস্থান, ,
ওয়েবসাইটwww.gcettb.ac.in
মানচিত্র
প্রধান ফটক ১৫
চত্বর ৫
প্রধান ল্যাবরেটরি ২ 
প্রকৌশলী অঙ্কন 

প্রকৌশল ও বস্ত্র প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয়, বহরমপুর (পূর্ববর্তী সময়ে বস্ত্র প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়, বহরমপুর, এই নামে পরিচিত ছিল ) হল পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত একটা মহাবিদ্যালয়; ঠিকানা: বহরমপুর, জলা - মুরশিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। এই মহাবিদ্যালয় একটা আবাসিক এবং সহপাঠ পদ্ধতির শিক্ষাঙ্গন, অর্থাৎ এখানে থেকে পড়াশোনা করা যায় এবং ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে পাঠ নিতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রাক-স্নাতক ছাত্রছাত্রীরা এখানে ভরতি হতে পারে। এই মহাবিদ্যালয় টিইকিউআইপি (টেকনিক্যাল এডুকেশন কোয়ালিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম / প্রযুক্তিগত শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্প) পর্ব II-এর জন্যে নিয়োজিত। 

অবস্থান ও নিয়ন্ত্রণ[সম্পাদনা]

প্রকৌশল ও বস্ত্র প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয়, বহরমপুর - পশ্চিমবঙ্গের মুরশিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে অবস্থিত। এই শিক্ষাঙ্গন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা দপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত, যে কার্যালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরাসরি শাসনতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণাধীনে আছে।  

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এই মহাবিদ্যালয় ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জুলাই প্রথম অবস্থায় বহরমপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন নাম ছিল (গভর্নমেন্ট সিল্ক উইভিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্সটিটিউট) সরকারি রেশম বয়ন ও রঞ্জন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্প অধিকার দপ্তরের শাসনতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে, মুরশিদাবাদ জেলায় রেশম উৎপাদন এবং রেশম বয়ন শিল্পীদের হাতেকলমে শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্যে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়া হয়। 

১৯৩২-৩৩ খ্রিষ্টাব্দের সময়কালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তার বর্তমান অবস্থান - ৪, ব্যারাক স্কোয়্যার (ইস্ট) ঠিকানায় সরানো হয়েছিল। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে এই মহাবিদ্যালয়ের আধুনিকীকরণ করে নতুন নামকরণ করা হয় (বেঙ্গল টেকনোলজিক্যাল ইন্সটিটিউট) বঙ্গ প্রযুক্তিবিদ্যাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে চালু করা হয় বস্ত্র প্রযুক্তিতে তিন বছরের ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রম (লাইসেন্সিয়েট) এবং দু-বছরের শিল্পী শিক্ষাক্রম। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে সাধারণ প্রকৃতির শিক্ষাক্রম চালু করার মধ্যে দিয়ে, মহাবিদ্যালয়ের নাম বদল করে (বহরমপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট) বহরমপুর বস্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাখা হয়। 

১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে এই মহাবিদ্যালয় স্নাতক স্তরে উন্নীত হয়; সেই সঙ্গে পাঠ্যক্রম, কর্মশালা এবং ল্যাবরেটরিগুলো আধুনিকীকরণ করার ব্যবস্থা করা হয়। বস্ত্র প্রযুক্তিতে একটা তিন বছরের বিএসসি (টেক) স্নাতক শিক্ষাক্রম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন লাভ করে, যে শিক্ষাক্রম এখানে চালু করা হয় এবং আবারও এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বদল করে নতুন নাম হয় (কলেজ অফ টেক্সটাইল টেকনোলজি) বস্ত্র প্রযুক্তির মহাবিদ্যালয়। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে একটা চার বছরের বিএসসি (টেক) স্নাতক শিক্ষাক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তীকালে, ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে এই মহাবিদ্যলয়কে পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি শিক্ষা অধিকারের শাসনতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে আনা হয়েছিল।

জিসিইটিচিবি প্রদর্শশালা
আকাশ থেকে যেমন দেখায়
উৎসব চলছে

১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে এই মহাবিদ্যলয়টা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যায়-এর নিয়ন্ত্রণে বদল হয়ে যায়। বিএসসি (টেক) স্নাতক শিক্ষাক্রম বদল হয়ে একটা বিটেক শিক্ষাক্রমে আসে। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে এআইসিটিই সারা ভারতে প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাক্রমে সামঞ্জস্য আনার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

২০০১ খ্রিষ্টাব্দে এই মহাবিদ্যালয়কে পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়। ওই একই বছরে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিষয়ে একটা নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছিল। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে এই মহাবিদ্যালয়ের আরো একবার নাম বদল করা হয়; নতুন নাম হয়: প্রকৌশল ও বস্ত্র প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যালয়, বহরমপুর

২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বস্ত্র প্রযুক্তি বিভাগ জাতীয় সক্ষমতা নির্ধারণ পর্ষদের (এনবিএ) সক্ষমতার আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়। পরবর্তীকালে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে এই মহাবিদ্যালয়ের দুটো নতুন বিভাগ চালু করা হয়; একটা হল যান্ত্রিক প্রকৌশল এবং অন্যটার নাম বৈদ্যুতিক প্রকৌশল।

পড়াশোনার সুযোগ[সম্পাদনা]

বিটেক:

  • প্রকৌশল - কম্পিউার বিজ্ঞান প্রকৌশল - এআইসিটিই অনুমোদিত [ভরতি ৪৭ (প্রথম বর্ষ টিএফডব্লু ২ আসন + প্রতিরক্ষা কোটা ১ সহ) + ০৯ (পার্শ্বিক)]
  • প্রকৌশল - বৈদ্যুতিক প্রকৌশল - এআইসিটিই অনুমোদিত [ভরতি ৩২ (প্রথম বর্ষ টিএফডব্লু ২ আসনসহ) + ০৬ (পার্শ্বিক)] 
  • প্রকৌশল - যান্ত্রিক প্রকৌশল - এআইসিটিই অনুমোদিত [ভরতি ৩২ (প্রথম বর্ষ টিএফডব্লু ২ আসনসহ) + ০৬ (পার্শ্বিক)]
  • প্রকৌশল - বস্ত্র প্রযুক্তি - এআইসিটিই অনুমোদিত [ভরতি ৩৫ (প্রথম বর্ষ টিএফডব্লু ২ আসনসহ) + ০৬ (পার্শ্বিক)]

এমটেক

  • বস্ত্রাদির যান্ত্রিক প্রণালী - এআইসিটিই অনুমোদিত

সারা ভারত কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (এআইসিটিই), নতুন দিল্লি কর্তৃক এই মহাবিদ্যালয় অনুমোদিত। এটা এআইসিটিই পূর্ব আঞ্চলিক অবস্থানের মধ্যে পড়ে।

বিভাগসমূহ[সম্পাদনা]

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল[সম্পাদনা]

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার শিল্পের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার নিরিখে এই অঞ্চলে সু-প্রশিক্ষণের সাহায্যে উন্নততর মানব সম্পদের চাহিদার জন্যে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে এই মহাবিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ চালু করা হয়। নিবিড় কঠিনতর নৈপুণ্য আহরণের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের বাস্তব হালকা নৈপুণ্য, যেমন বিষয়বস্তু পেশ করা, কারিগরি দানের সেমিনার, তাৎক্ষণিক সাক্ষাতকার এবং এই রকম অন্যান্য নৈপুণ্যে তাদের পূর্ণ করার লক্ষ্যে কাজ করা হোত, যাতে তারা শিল্পে অত্যাবশ্যক যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।

যান্ত্রিক প্রকৌশল[সম্পাদনা]

২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই বিভাগ চার বছরের স্নাতক পর্যায়ে যান্ত্রিক প্রকৌশলে বিটেক শিক্ষাক্রমে পড়বার সুযোগ দিয়ে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ স্তরের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন কলকাতার যাদবপুর এবং হাওড়া, শিবপুরের বিইএসইউ (বর্তমান নাম 'ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি') থেকে নামি অধ্যাপকরা এখানে অতিথি উপাধ্যায় হিসেবে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি এখানে একটা সিএডি ল্যাবরেটরি, একটা মেকাট্রনিক্স ল্যাবরেটরি, একটা মেজারমেন্ট ল্যাবরেটরি, একটা ফ্লুয়িড মেকানিক্স ল্যাবরেটরি, একটা হিট ট্রান্সফার ল্যাবরেটরি, একটা আইসি ইঞ্জিন ওয়ার্কশপ, এবং একটা অ্যাপ্লায়েড মেকানিক্স ল্যাবরেটরি আছে। এই বিভাগের একটা মারুতি থেকে টার্বাইন পেট্রোল ইঞ্জিন এবং মিনি পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে; এবং এছাড়াও আছে একটা থ্রি-ডাইমেনশন ছাপার মেশিন।

বৈদ্যুতিক প্রকৌশল[সম্পাদনা]

২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই বিভাগ চার বছরের স্নাতক পর্যায়ে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিটেক শিক্ষাক্রমে পড়বার সুযোগ দিয়ে আসছে। এখানে আছে সার্কিট থিয়োরি ল্যাবরেটরিগুলো, স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট সেমিনার হল, তাপ বিদ্যুৎ প্রকৌশল ল্যাবরেটরিগুলো, বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ল্যাবরেটরিগুলো, ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাবরেটরি, কন্ট্রোল সিস্টেম ল্যাবরেটরি, ইত্যাদি। 

বস্ত্র প্রযুক্তি[সম্পাদনা]

১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই বিভাগ একটা প্রাক-স্নাতক শিক্ষাক্রম (বস্ত্র প্রযুক্তিতে বিটেক)। মহাবিদ্যালয়ের এই বিভাগ সক্ষমতা নির্ধারণ পর্ষদের (এনবিএ) আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। উপরন্তু এই বিভাগ গত আট বছরে তার চারটে প্রকল্পের জন্যে সারা ভারত কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (এআইসিটিই) থেকে এমওডিআরওবিএস পরিকল্পনায় চল্লিশ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছে। বর্তমানে দুটো এমওডিআরওবিএস প্রকল্পের অধীনে এই বিভাগে কাজ এগিয়ে চলেছে।

বস্ত্রাদিতে উদ্ভাবিত প্রবণতা, তন্তু ও পোশাক প্রকৌশল ইত্যাদি বিষয়ের ওপর এক জাতীয় সেমিনার এই মহাবিদ্যালয়ে সংগঠিত হয়েছিল ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮-১৯ মার্চ। একশো পঞ্চাশের মতো অংশগ্রহণকারী  এই সেমিনারে যোগ দিয়েছিল। 

হাতেকলমে শিক্ষা ও কর্মনিযুক্তি[সম্পাদনা]

বস্ত্র প্রযুক্তির ছাত্রছাত্রীরা এখানেে নিবিড় অনুশীলনের মাধ্যমে হাতেকলমে শিক্ষা নেয় এবং তারা এখন থেকে যেসব কোম্পানিতে কাজ নিযুক্ত হয়, সেগুলো নিম্নরূপ : বর্ধমান টেক্সটাইলস লিমিটেড, মহাবীর ফ্যাব্রিক্স, ওয়েলস্পান ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, অমৃত এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড, রেমন্ডস লিমিটেড, রিড অ্যান্ড টেলর, নাহার ফ্যাব্রিক্স, অরবিন্দ, জয়শ্রী টেক্সটাইলস, উইনসাম, ট্রাইডেন্ট (অভিষেক গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ), বোম্বে রেয়ন ফ্যাশন্স লিমিটেড, ইন্টারটেক টেকনিক্যাল সার্ভিসেস, বিভিসিওএস, এসজিএস, টিইউভি, সেঞ্চুরি, সরলা ফ্যাব্রিক্স, অলোক ইন্ডাস্ট্রিজ, অসীমা টেক্সটাইলস, সোমা টেক্সটাইলস, মুদ্রা, মাদুরা লাইফ স্টাইল, ডিসি ডিকোর, এবং বিএসএল লিমিটেড।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা হাতেকলমে শিক্ষার পর বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়োজিত হয়; যেমন, গ্লোবসিন, টেক মহিন্দ্রা, সিএমসি লিমিটেড, আইবিএম হেল্পডেস্ক, ওরাকল, অ্যাকসেঞ্চার, ইনফোসিস, এবং ক্যাপজেমিনি।

যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা যে সমস্ত কোম্পানিতে হাতেকলমে শিক্ষা নিতে যায় সেগুলো হল : দুর্গাপুর প্রোজেক্টস লিমিটেড, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ, বোকারো স্টিল প্ল্যান্ট।

বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন কোম্পানিতে হাতেকলমে শিক্ষা নেওয়ার জন্যে যায়, তাদের মধ্যে আছে : ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ, এনটিপিসি ইউনিটসমূহ, ডব্লুবিএসইডিসিএল প্রকল্পসমূহ, সিইএসসি, এবং ডব্লুবিএসইটিসিএল।

পাঠাগার[সম্পাদনা]

মহাবিদ্যালয়ের পাঠাগারে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যার বিভিন্ন বই এবং পত্রপত্রিকা পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। সর্বমোট ১২৫৯০ কপি বইয়ের মধ্যে বস্ত্র প্রযুক্তির বই ৩,৭১১; কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের বই ১,৮০০; এবং অন্যান্য বই ৭,০৭৯ কপি আছে। 

যান্ত্রিক এবং বৈদ্যুতিক প্রকৌশলের ছাত্রছাত্রীদের জন্যে একটা বিরাট সংখ্যক বই সাম্প্রতিকালে পাঠাগারে সংগৃহীত হয়েছে।

ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন[সম্পাদনা]

ছাত্রছাত্রীদের একটা অরাজনৈতিক সংগঠন, প্রকৌশল ও বস্ত্র প্রযুক্তির সরকারি মহাবিদ্যলয়, বহরমপুরে আছে। এখানে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাক্রম-বহির্ভূত নানা কাজকর্ম, যেমন খেলাধুলো, উৎসব, এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলে। মহাবিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগ নির্বিশেষে সকল ছাত্রছাত্রীই ছাত্র সংগঠনের সদস্য হতে পারে। এই সংগঠনের কার্যকর পর্ষদ এবং বিভিন্ন সাব-কমিটিগুলো নিজেদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করে। অপ্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে সদস্যরা নির্বাচিত হয়। সাধারণ সম্পাদক হলেন সংগঠনের মাথা এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং কমন রুম সম্পাদক সংগঠনের বিভিন্ন কাজকর্ম দেখাশোনা করেন।

বহির্সংযোগসমূহ[সম্পাদনা]