জাভেদ মালিক-ইয়েগানভ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাভেদ মালিক-ইয়েগানভ
লানকারান এর গভর্নর-জেনারেল
কাজের মেয়াদ
June 1919 – 28 April 1920
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৮৭৮ (1878)
তুঘ, হাদরুত এর পাশে, এলিযাবেথপুল গভর্নরেট, রাশিয়ান সম্রাজ্য (বর্তমানে আজারবাইজান)
মৃত্যু১৯৪২(1942-00-00) (বয়স ৬৩–৬৪)
কারেলো-শেষ এসএসআর, ইউএসএসআর
রাজনৈতিক দলমুসাভাত
দাম্পত্য সঙ্গীমরিয়াম বায়রামালিবইভা
সন্তানআযেরা মালিক-ইয়েগানভা
তালিয়া মালিক-ইয়েগানভা
আসিমান মালিক-ইয়েগানভা
বাসস্থানশুশা, বাকু
জাভেদ এর স্ত্রী মরিয়ম বায়ামমালিবইভা এবং তাদের তিন মেয়ে

জাভেদ ইরযাবে অগলু মালিক-ইয়গানভ (আজারবাইজানি: Cavad Məlik-Yeqanov) (১৮৭৮,তুগ – ১৯৪২, কারেলিয়া ) ছিলেন আজারবাইজানের স্বাধীনতা কালীন (১৯১৮-১৯২০) একজন আজারবাইজানী রাজনীতিবিদ এবং লানকারানের গভর্নর-জেনারেল। 

প্রাথমিক জীবন [সম্পাদনা]

মালিক-ইয়েগানভ তুঘ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, যা বর্তমানে আজারবাইজানের খোযাবেন্ড রায়ন এ অবস্থিত। পারিবারিক শিক্ষার পর, তিনি তেল ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য ১৯০৩ সালে বাকুতে যান। তিনি মুসলিম সোস্যাল গনতান্ত্রিক পার্টিতে যোগদান করেন এবং কয়েক বছরের মধ্যে বাকুের তেল শ্রমিকদের মধ্যে একটি স্পষ্টভাষী সমাজতান্ত্রিক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। তিনি ১৯০৯ সালে এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং সাময়িকভাবে বাকুতে থাকার অধিকার হারান। তার মুক্তির পর তিনি তার শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার গ্রাম তুঘে ফিরে আসেন এবং প্রতিবেশী শুশা (ককেশাসের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম) এর বিশিষ্ট পণ্ডিতদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। তিনি ১৯১৪ সালে বাকুতে ফিরে আসেন এবং শিবায়েভ ও কোং তেল কোম্পানির একজন ক্লার্ক হিসেবে নিয়োগ পান। একই বছর তিনি মুসাভাত পার্টিতে যোগদান করেন এবং একটি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কারিগরি স্কুলে ভর্তি হন। এই সময় তিনি তার পরিচিত কিছু ভাষা'র জ্ঞান লাভ করেন। ১৯১৮ সালে আজারবাইজানের স্বাধীনতার সময় তার আঞ্চলিক ভাষার পাশাপাশি মালিক-ইয়েগানভ রাশিয়ান, জার্মান, ফার্সি, আর্মেনীয় এবং জর্জিয়ান ভাষায় দ্রুত কথা বলতে পারতেন। 

আজারবাইজান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কর্মজীবন [সম্পাদনা]

১৯১৭ সালে, জাভাড মালিক-ইয়েগানোভ দক্ষিণ ককেশাসের 'আজারেয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে ট্রান্সককেশাস সেজমে নির্বাচিত হন। এক বছর পর তিনি আজারবাইজানের সেসকল রাজনীতিবিদদের মধ্যে একজন ছিলেন যারা আজারবাইজান জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন এবং যারা ২৮ শে মে ১৯১৮ তারিখে আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন সেইসাথে নতুন প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের সংসদ সদস্য হন। ১৯১৯ সালের ১০ মার্চ তিনি বাকু'র শ্রমিক শ্রেণীর অর্থনৈতিক সমস্যার তদন্ত ও রিপোর্টের দায়িত্বে নিযুক্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। সোভিয়েত রিপাবলিকের ব্রিটিশ সমর্থিত আঞ্চলিক সামরিক হস্তক্ষেপের পতনের পর ১৯১৯ সালের জুনে তিনি লানকারান গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন। আজারবাইজানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে নতুন সামাজিক অনুষ্ঠান, লাইব্রেরী ও সাংস্কৃতিক ক্লাবগুলির উদ্বোধনের পাশাপাশি শিক্ষা গ্রহণের জন্য মেয়েদের অনুপ্রেরণা সহ তার সংক্ষিপ্ত শাসনটি চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি স্থানীয় আজেরি জনগোষ্ঠীর সাথে স্থানীয় রাশিয়ান সম্প্রদায়ের সমর্থক বলশেভিক প্রতিনিধিদের সাথে এবং আর্মেনীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় সাধন করেন যারা তাদের হয়ে যুদ্ধ করেছিল। ২৪ এপ্রিল, ১৯২০ তারিখে আজারবাইজানের সোভিয়েতীকরণ পর্যন্ত মালিক-ইয়েগানভ একই পদে থাকেন। [১]

সোভিয়েত আজারবাইজানে কর্মজীবন [সম্পাদনা]

মুসাভাত এর অনেক সদস্যের বিপরীতে, জাভেদ মালিক-ইয়েগানভ আজারবাইজানে সোভিয়েত শাসনের প্রতিষ্ঠার পর দেশ ছাড়তে চান নি। তিনি অবিলম্বে কমিউনিস্ট নেতাদের চোখ সন্দেহের অধীন পড়ে যান। পরবর্তী ১৮ বছরে তাকে ৬ বার কারাদণ্ড দেওয়া  হয়। ১৯২০-এর দশকে তিনি নির্মাণ ট্রাস্ট, কর্মসংস্থান অফিসের অফিসে, রাজ্য শ্রম কমিশনারিয়ায় শরণার্থী বিষয়ক বিভাগে এবং আজারবাইজান এসএসআর অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাজ করেন। ১৯৩৩ সালে তিনি মুসাভাতের গোপন সদস্য হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। আদালত তাকে কারালো-ফিনান্স এসএসআর (বর্তমানে কারেলিয়া, উত্তর রাশিয়া) থেকে সংশোধনী ক্যাম্পে  নির্বাসিত করার আদেশ দেয়, যেখানে তিনি ৯ বছর পর মারা যান।

ব্যক্তিগত জীবন [সম্পাদনা]

গভর্নর জেনারেল থাকা কালীন সময় মালিক-ইয়েগানোভ লানকারণ শহরে রাশান-মুসলিম বালিকা স্কুল পরিদর্শন করেন যেখানে তিনি সেখানের অল্প বয়স্ক শিক্ষক ও নারীবাদী মরিয়ম বায়ামামিলিবোভাকে ১৯২০ সালে বিয়ে করেন এবং পরের বছর বাকুতে বসতি স্থাপন করেন। তাদের তিনটি কন্যা ছিল: অজ্জা, তালিয়া এবং আসিমান। ১৯৩৩ সালে মালিক-ইয়েগানোভের চূড়ান্ত গ্রেফতারের পর, সরকার তার স্ত্রী সহ তার সমগ্র পরিবারকে অত্যাচার করে, যিনি ইউরোপীয় রাশিয়ায় উত্তর উত্তর আর্কঙ্গেলসকে বহিষ্কৃত হন। তার তিন কন্যা সহ অনেক আত্মীয় তাদের বংশ উপাধি পরিবর্তন করে ফেলন যেন শাস্তি পেতে না হয়। 

১৯৫৭ সালে জাভেদ মালিক-ইয়েগানভকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয় ।

তথ্যসূত্র [সম্পাদনা]

  1. (রুশ) They Were Distinguished by Their Generosity and Patriotism ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে by Zarifa Dulayeva. Vyshka. 24 May 2002, #11. Retrieved 24 March 2007.