পূর্ব তিমুরের অর্থনীতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পূর্ব তিমুরের অর্থনীতি বলতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরের অর্থনীতিকে নির্দেশ করে যা পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র অর্থনীতি। পূর্ব তিমুরের অর্থনীতিকে বিশ্বব্যাংক নিম্ন আয়ের অর্থনীতি হিসাবে চিহ্নিত করেছে।[১] এই দেশটি মানব উন্নয়ন সূচকের নিম্ন স্তর নির্দেশক মানে রয়েছে; মানব উন্নয়ন সূচকে এটি ১৫৮ তম অবস্থানে রয়েছে।[২] দেশটির মোট জনসংখ্যার ২০%'ই বেকার[৩] এবং ৫২.৯% লোকের দৈনিক আয় ১.২৫ মার্কিন ডলার থেকেও কম।[২] পূর্ব তিমুরের প্রায় অর্ধেক অধিবাসী নিরক্ষর।[২]

২০১০ সালের আদমশুমারিকালীন সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ৮৭.৭% শহুরে এবং ১৮.৯% গ্রামীণ পরিবারে বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে, যার সামগ্রিক গড় ৩৬.৭%।[৪]

ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে কয়েক দশকব্যাপী অব্যাহত থাকা স্বাধীনতা সংগ্রামের ফলে দেশটি যুদ্ধ পরবর্তী সমস্যায় ভোগা অব্যাহত থাকে, যা এর অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলো এবং হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে উদ্বাস্তু করেছিলো।[৫]

২০০৭ সালে পূর্ব তিমুরে অনাফসলের কারণে বেশ কিছু অংশে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২০০৭ সালের নভেম্বর এগারোটি উপজেলাতে তখনও আন্তর্জাতিক সাহায্য সরবরাহের প্রয়োজন ছিলো।[৬]

পূর্ব তিমুরে কোনও স্বত্বভোগী আইন নেই।[৭]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পূর্ব হতে এবং ঔপনিবেশিক কালেও তিমুর দ্বীপটি সুগন্ধি কাঠের জন্য সুপরিচিত ছিল। পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক প্রশাসন ওসেনিক এক্সপ্লোয়ার কর্পোরেশনকে অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদন দেয়। তবে, ১৯৭৬ সালে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃক দখলের ফলে এটি হ্রাস পায়। ১৯৮৯ সালে তিমুর গ্যাপ চুক্তির ফলে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এর সম্পদ ভাগ হয়ে যায়।[৮] ১৯৭২ সালে তৎকালীন পর্তুগিজ তিমুরের সমুদ্রসীমার বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ভিত্তিতে উভয় দেশ "ফাঁক" এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠে যৌথ অনুসন্ধানের বিষয়টি নির্ধারণ করে নতুন চুক্তিতে।[৯] "যৌথ" এলাকা থেকে রাজস্ব বিভক্ত করা হয় ৫০% -৫০% হারে। উডসাইড পেট্রোলিয়াম এবং কনোকোফিলিপস ১৯৯২ সালে দুই সরকারের পক্ষ থেকে তিমুর গ্যাপের কিছু উন্নয়ন কাজ শুরু করে।

১৯৯৯ সালের শেষের দিকে ৭০% অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ইন্দোনেশিয়ান সৈন্য ও স্বাধীনতা বিরোধী মিলিশিয়াদের দ্বারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল[৩] এবং ২,৬০,০০০ মানুষ পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায়। ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প যেটি বেসামরিক উপদেষ্টাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলো সেটির অধীনে ৫,০০০ শান্তিরক্ষী (৮,০০০ সর্বোচ্চ) এবং ১,৩০০ পুলিশ কর্মকর্তা এই অবকাঠামোগুলি যথাসম্ভব পুনর্নির্মাণ করে। ২০০২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ প্রায় ৫০,০০০ শরণার্থী দেশে ফিরে আসেন।

উন্নয়ন প্রকল্প[সম্পাদনা]

তেল-গ্যাস[সম্পাদনা]

পূর্ব তিমুরের মূল সম্পদ হলো তেল ও গ্যাস। অস্ট্রেলিয়ার সাথে যৌথভাবে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অনুসন্ধান কার্য পরিচালনা করছে তারা।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Timor Leste – World Bank"। ৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "- Human Development Reports"। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫ 
  3. সিআইএ প্রণীত দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক-এ East Timor-এর ভুক্তি
  4. "Highlights of the 2010 Census Main Results in Timor-Leste" (পিডিএফ)। Direcção Nacional de Estatística। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. The Case for a Legislative Budget Office in East Timor Social Science Research Networks (SSRN). Accessed 18 July 2017.
  6. Voice of America, 24.06.07, East Timor Facing Food Crisis ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৭-০৭-১৪ তারিখে and Ministry of Agriculture, Forestry and Fisheries of Timor-Leste
  7. "Gazetteer - Patents"। Billanderson.com.au। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১০ 
  8. "TIMOR GAP TREATY between Australia and the Republic of Indonesia on the Zone of cooperation in an area between the Indonesian Province of East Timor and Northern Australia"। ১৬ জুন ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. "Radio Australia"। ২ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]