কাঠের ছাই
কাঠের ছাই হলো কাঠ পোড়ানোর পর অবশিষ্ট গুঁড়ো, ঘরে ফায়ারপ্লেস, মাটির চুলা বা শক্তি-উৎপাদক কারখানায় তা দেখা যায়। মালিরা বাগানে পটাশের উৎস হিসেবে ছাই ব্যবহার করে।
ব্যবহার
[সম্পাদনা]সার
[সম্পাদনা]কাঠের ছাই জৈব সার রূপে মাটির পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে ছাই পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম কার্বনেটের উৎস হিসেবে কাজ করে। দ্বিতীয় যৌগটি মাটির অম্লত্ব প্রশমনে ক্ষারক রূপে কাজ করে থাকে।[১]
কাঠের ছাইকে জৈব জলচাষ দ্রবণে পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার্য যা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস-সমৃদ্ধ অজৈব যৌগসমূহকে প্রতিস্থাপিত করে।[২]
জৈবসার
[সম্পাদনা]ছাই সাধারণত বর্জ্যভূমিতে ফেলা হয়, কিন্তু কাজটায় বেশ খরচ হওয়ায় এর বদলে প্রকৃতিবান্ধব বিকল্প, যেমন কৃষি ও বনায়নে জৈবসার হিসেবে ব্যবহার করা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।[৩] কাঠের ছাইয়ে প্রচুর পরিমাণ চার থাকার কারণে একে গন্ধ-নিয়ন্ত্রণকারী রূপে ব্যবহার করা যায়, বিশেষত জৈবসার তৈরির প্রক্রিয়ায়।[৪]
মৃৎশিল্প
[সম্পাদনা]সিরামিক গ্লেজে কাঠের ছাই ব্যবহারের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ, বিশেষত চীনা, জাপানি, কোরীয় ঐতিহ্যে, যদিও এখন অন্যান্য মৃৎশিল্পীরাও তা ব্যবহার করে। এটা ফ্লাক্স হিসেবে কাজ করে, গ্লেজের গলনাঙ্ক কমায়।[৫]
সাবান
[সম্পাদনা]কাঠের ছাই থেকে সরাসরি পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড বানানো যায়[৬] এবং একে বলে কস্টিক পটাশ বা লাই। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে পুরনোকাল হতেই কাঠের ছাই দিয়ে সাবান তৈরির চল রয়েছে। গ্রামবাংলায় বাসনকোসন ধুতে সরাসরি ছাই ব্যবহার করা হয়।
বায়োলিচিং
[সম্পাদনা]ectomycorrhizal ছত্রাক Suillus granulatus এবং Paxillus involutus কাঠের ছাই থেকে উপাদান সংশ্লেষণ করতে পারে।[৭]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;purdue
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Sholto Douglas, James (১৯৮৫)। Advanced guide to hydroponics: (soiless cultivation)। London: Pelham Books। পৃষ্ঠা 345–351। আইএসবিএন 9780720715712।
- ↑ Demeyer A, Voundi Nkana JC, Verloo MG (২০০১)। "Characteristics of wood ash and influence on soil properties and nutrient uptake: an overview"। Bioresource Technology। 77 (3): 287–95। ডিওআই:10.1016/S0960-8524(00)00043-2। পিএমআইডি 11272014।
- ↑ Rosenfeld, P. & Henry, C. (২০০১)। "Activated Carbon and Wood Ash Sorption of Wastewater, Compost and Biosolids Odorants"। Water Environment Research। 7 (4): 388–393।
- ↑ Rogers, Phil (২০০৩)। Ash Glazes (2nd সংস্করণ)। London: A&C Black। আইএসবিএন 0-7136-57820।
- ↑ "Making lye from wood ash"। Journey to Forever। ১৪ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০১।
- ↑ Geoffrey Michael Gadd (মার্চ ২০১০)। "Metals, minerals and microbes: geomicrobiology and bioremediation"। Microbiology। পৃষ্ঠা 609–643। ২৫ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৭।