বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড
এটার মালিক মেহেরাজ ইসলাম মেজর
সংক্ষেপেবিডাব্লুডিবি
গঠিত১৯৭২
ধরনসরকারি
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
প্রধান প্রতিষ্ঠান
পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়
ওয়েবসাইটঅফিসিয়াল ওয়েবসাইট

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)[১] বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। এটি একটি সরকারী সংস্থা যা বাংলাদেশের ভূ-পৃষ্ঠের পানি এবং ভূগর্ভস্থ পানি সুষ্ঠ পরিচালনার জন্য নিয়োজিত। এর সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। [২][৩] জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম সরকার বোর্ডের মহাপরিচালক।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক মহানন্দা নদীতে লাগানো একটি সাইনবোর্ড

১৯৫৪ এবং ১৯৫৫ সালের উপর্যপরি ভয়াবহ বন্যার পর বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানের লক্ষ্যে ১৯৫৭ সনে জাতিসংঘের অধীনে গঠিত। ক্রুগ মিশন এর সুপারিশক্রমে এতদঞ্চলের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের লক্ষে ১৯৫৯ সনে পূর্ব পাকিস্তান পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইপিওয়াপদা) গঠন করা হয়। বর্তমান বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ইপিওয়াপদা এর পানি উইং হিসেবে দেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কৃষি ও মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রধান সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম আরম্ভ করে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সনের মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ নং: ৫৯ মোতাবেক ইপিওয়াপদা এর পানি অংশ একই ম্যান্ডেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সম্পূর্ণ স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অত:পর সংস্কার ও পুনর্গঠনের ধারাবাহিকতায় জাতীয় পানি নীতি-১৯৯৯ ও জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০০৪ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাপাউবো আইন, ২০০০ প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের আওতায় মাননীয় মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট পানি পরিষদের মাধ্যমে বোর্ডের শীর্ষ নীতি নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হচ্ছে।

ভিশন ও মিশন[সম্পাদনা]

বাপাউবোর ভিশন

অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের পানি সম্পদের সমন্বিত টেকসই উন্নয়ন, পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনগণের জানমাল রক্ষা করে এবং সেচ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনগনের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।

কৌশলগত পরিকল্পনার আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নদী ভাঙ্গনরোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার, লবণাক্ততার নিরসন এবং সমন্বিত উপকূলীয় অঞ্চল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে,দারিদ্রতা নিরসনে ও পানি সংক্রান্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখা; সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরণ।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রহমান, মিজানুর। "১৩৫ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদের তথ্যে গরমিল"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২২ 
  2. "Bangladesh water crisis"udel.edu। UDaily। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. মো আবু তাহের খন্দকার (২০১২)। "বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  4. আলী প্রামাণিক-বাংলাদেশ-পানি-উন্নয়ন-বোর্ডের-নতুন-মহাপরিচালক "প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম সরকার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নতুন মহাপরিচালক" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৫