গোবর্ধন দিকপতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোবর্ধন দিকপতি
জন্ম?
আন্দোলনচুয়াড় বিদ্রোহ

গোবর্ধন দিকপতি জংগলমহলে ব্রিটিশ বিরোধী চুয়াড় বিদ্রোহের (১৭৯৯) নায়ক ছিলেন।[১]

পরিচিতি[সম্পাদনা]

জানা যায় তিনি দাসপুর থানার উত্তর ধানখালের বাসিন্দা ও স্থানীয় জমিদারের ঘাটোয়াল শ্রেনীর কর্মচারী ছিলেন। আবার কেশপুর থানার একটি গ্রাম থেকে প্রাপ্ত ভূমিদানপত্র হতে প্রমাণ হয় তিনি জাতিতে বাউরী এবং নিজেই ছোটখাট জোতদার ছিলেন।

বিদ্রোহের নেতৃত্ব[সম্পাদনা]

মেদিনীপুর শহরে চুয়াড় বিদ্রোহের স্মৃতিস্তম্ভ

অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার জঙ্গলমহল এলাকায় ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দের চুয়াড় বিদ্রোহ ছিল ইংরেজ প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (১৭৯৩) শাসন, শোষন ও স্থানীয় জোতদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এক ব্যাপক জেহাদ। এই সশস্ত্র বিদ্রোহের নেতা ছিলেন গোবর্ধন দিকপতি। ক্ষীরপাই, আনন্দপুর ইত্যাদি জায়গায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে শিলদা'য় দুটি গ্রাম জ্বালিয়ে এই বিদ্রোহের সূচনা করেন তিনি। কর্নগড়ে, রানী শিরোমনির আশ্রয়ে চুয়াড়দের যে ঘাঁটি ছিল সেখানে তাদের সংগঠিত করেছেন। ১৭৯৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় চারশো জন চুয়াড়কে নিয়ে তিনি চন্দ্রকোনা থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা, জোতদারের বাড়ি, সরকারি অফিস লুঠ করেন। পরে তার বাহিনী নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে।[২][৩]

বিদ্রোহ দমন[সম্পাদনা]

বিদ্রোহের ব্যাপক বিস্তৃতি ও গোবর্ধন দিকপতির নেতৃত্বে চুয়াড় বিদ্রোহীদের আক্রমণ ব্রিটিশ সরকারকে শঙ্কিত করে তোলে। মেদিনীপুর বগড়ি পরগনায় লুঠতরাজের অভিযোগে এদের ধরার জন্যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ইংরেজরা কৌশলে এই বিদ্রোহ দমন করে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sur, Atul Krishna (১৯৮৫)। Āṭhāro śatakera Bāṅalā o Bāṅālī। Sāhityaloka। 
  2. দ্বিতীয় খন্ড, অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০৪)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৯৮। 
  3. "Freedom Fighters of Midnapore - Gobardhan Dikpati"midnapore.in। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৭