আখলাক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আখলাক দ্বারা সাধারনত মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মধ্য দিয়ে যে আচার-আচরণ ও স্বভাব-চরিত্রের প্রকাশ পায় তাকে বোঝায়। মানব জীবনের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক সকল দিকই আখলাকের অন্তর্ভূক্ত।

প্রকারভেদ[সম্পাদনা]

ইসলামি শাস্ত্র ও আইন অনুযায়ী আখলাক দুই প্রকার। যথা:

  1. আখলাকে হামিদাহ
  2. আখলাকে যামিমা

আখলাকে হামিদাহ[সম্পাদনা]

আখলাকে হামিদাহ বলতে মানুষের দৈনন্দিন কাজ কর্মের মাধ্যমে যেসব উত্তম আচার-ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায় সেসবের সমষ্টিকে বোঝায়। একে হুসনুল খুলুক ও বলা হয়। যেমন-পরোপকারিতা,শালীনতাবোধ,সৃষ্টির সেবা,আমানত রক্ষা,শ্রমের মর্যাদা,ক্ষমা ইত্যাদি।

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হলো, কোন কর্মটি সবচাইতে বেশি পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। তিনি বললেন- আল্লাহভীতি, সদাচার ও উত্তম চরিত্র। আবার তাকে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচাইতে বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। তিনি বললেনঃ মুখ ও লজ্জাস্থান।

— তিরমিযী ২০০৪

আখলাকে যামিমা[সম্পাদনা]

মানব জীবনের নিকৃষ্ট চরিত্রকে আখলাকে যামিমা বা নিন্দনীয় চরিত্র বলে। যেমন-অহংকার, ঘৃনা, মিথ্যাচার, সুদ ইত্যাদি।

ইসলামে আখলাকের গুরুত্ব[সম্পাদনা]

ইসলামের দৃষ্টিতে আখলাকের গুরুত্ব অনেক। সকল নবিই নিজ নিজ জাতিকে উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দিয়েছেন। আর উন্নত চরিত্রকে পূর্ণতা দানের জন্য শেষ নবি মুহাম্মাদ কে আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]