নিউটনস প্যারাকীট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নিউটনস প্যারাকীট
১৭৭০ সালে পল জোসসাইনির আঁকা ছবি
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Psittaciformes
মহাপরিবার: Psittacoidea
পরিবার: Psittaculidae
উপপরিবার: Psittaculinae
গোত্র: Psittaculini
গণ: Psittacula
প্রজাতি: P. exsul
দ্বিপদী নাম
Psittacula exsul
(Newton, 1872)
রড্রিগেজের অবস্থান
প্রতিশব্দ
  • Palaeornis exsul Newton, 1872

নিউটনস প্যারাকীট বা রড্রিগেজ প্যারাকীট যার বৈজ্ঞানিক নাম সিট্টাকুলা এক্সসুল হচ্ছে বিপন্ন হয়ে যাওয়া এক প্রজাতির টিয়া পাখি যারা ভারত মহাসাগরের ম্যাসক্যারেন দ্বীপের এন্ডেমিক পাখি ছিলো।

শ্রেণীবিন্যাস[সম্পাদনা]

১৭০৮ সালে ফ্রাঙ্কয়েস লেগাউটের প্রকাশিত স্মৃতিকথা এ নিউ ভয়েজ টু দ্যা ইস্ট ইন্ডিজে সর্বপ্রথম নিউটনস প্যারাকীট এর উল্লেখ করা হয়। ১৮৭১ সালে রড্রিগেজের ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ জেনার স্ত্রী পাখির নমুনা সংগ্রহ করে এলকোহলের মধ্যে সংরক্ষণ করে এডওয়ার্ড নিউটনের কাছে পাঠালে তিনি তার ছোট ভাই ব্রিটিশ পক্ষীবিদ নিউটনের কাছে প্রেরণ করেন। আলফ্রেড নিউটন এটার বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন প্যাল্যাইয়োরনিস এক্সসুল।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

এরা ৪০ সেমি (১৬ ইঞ্চি) লম্বা। পুরুষ পাখির ডানা ১৯৮ মিমি (৭.৮ ইঞ্চি) এবং লেজ ২০৬ মিমি (৮.১ ইঞ্চি) লম্বা। স্ত্রী পাখির ডানা ১৯১ মিমি (৭.৫ ইঞ্চি) এবং লেজ ২১০ মিমি (৮.৩ ইঞ্চি)। পুরুষ পাখি ধূসর নীল রঙের যাতে সবুজের আভা বিদ্যমান। মাথার পালকে নীলের প্রভাব বেশি এবং চোখের কাছে কালো দাগের মত পালক।

বিপন্নতা[সম্পাদনা]

ম্যাসকারেন দ্বীপে আট প্রজাতির টিয়া পাখি এন্ডেমিক ছিলো। কিন্তু শুধু মাত্র ইকো প্যারাকীট টিকে আছে। অতিরিক্তহারে শিকার এবং বন ধ্বংসের ফলে নিউটনস প্যারাকীট সহ বাকী সবাই বিপন্ন হয়ে গেছে। লেগাউট বর্ণনা করেন যে তিনি যখন দ্বীপে পৌছান তখন প্রচুর পরিমানে নিউটনস প্যারাকীট দেখতে পেয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Psittacula exsul"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩