বিষয়বস্তুতে চলুন

মালদ্বীপের শিক্ষাব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

প্রথা অনুসারে মালদ্বীপে তিন বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী শিশুরা  মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করত, যে বিদ্যালয়গুলো "এধুর্জ" নামে পরিচিত ছিল, সাধরনত একটি বড় কক্ষ অথবা গাছের ছায়ায় এসব বিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত।  শিশুরা এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ পাটি গণিত, ধিবেহী ভাষা, সামান্য আরবি এবং কুরআন পাঠ করতে শিখত।  বর্তমানে এসব বেসরকারি বিদ্যালয়ের কোন অস্তিত্ব নেই, কেননা ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে এসব বিদ্যালয়কে পশ্চিমা পদ্ধতির বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মালদ্বীপের প্রথম পশ্চিমা পদ্ধতির বিদ্যালয় হলো মাজিদিয়্যা বিদ্যালয়, ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি মুলত সহশিক্ষামুলক ছিল, কিন্তু ১৯৪৪ সালে একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, তাই আমিনিয়্যাহ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ইউনেস্কোর শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টাদের একটি গবেষণা অনুসারে মালদ্বীপ সরকার ৬ অক্টোবর ১৯৭৬ সালে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্প শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম চালু করে, তন্মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার, পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাবিষয়ক বেতার, বয়স্কদের জন্য কম্যুনিটি শিক্ষা কার্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন ও মুদ্রণের ব্যবস্থা অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম বিদ্যালয় বা অ্যাটল ঈধাফুশিতে ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় নির্মাণ কার্যক্রম অব্যহত ছিল এবং পরবর্তীতে জাপানের প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্প এই প্রকল্পের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে। পাঠ্যক্রম উন্নয়ন কার্যক্রম ১৯৭৬ সালে শুরু হয়, এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ১৯৭৭ সালে শুরু হয়। একই সময়ে অন্যান্য কর্মসূচি চালু করা হয় এবং ১৯৭০ থেকে ১৯৮০’র দশক পর্যন্ত অব্যহত থাকে, এই সময় শিক্ষা খাতে দশ বছরব্যাপী (১৯৮৬-১৯৯৬) মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।  দ্বিতীয় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ হয় ১৯৯৬-২০০৫ সাল পর্যন্ত।  এই হলো মালদ্বীপের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের ভিত্তি, যা রাষ্ট্রপতি নাসিরের সরকার শুরু করে এবং রাষ্ট্রপতি গাইয়ুম তা চালু রাখেন।

২০০২ সালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে দাবি করা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা বিশ্বমানে উন্নীত হয়েছে এবং সাক্ষরতার হার শতকরা ৯৮.৮২ ভাগে উন্নীত হয়েছে, যা ১৯৭৮ সালে ছিল মাত্র ৭০%।  জন স্কুল শিক্ষার্থী ছিল, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪০%।

উচ্চশিক্ষা

[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জানুয়ারিতে মালদ্বীপে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন” পাশ হয়।[] মালদ্বীপে উচ্চ শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:

  • মালদ্বীপ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এটি ইতোপূর্বে মালদ্বীপ কলেজ অব হায়ার এডুকেশন নামে পরিচিত ছিল। কলেজটি মালদ্বীপে ৯৫% পোস্ট সেকেন্ডারি শিক্ষাদান করত।[]:২৬৬
  • সাইরিক্স কলেজ।
  • মান্ধু কলেজ, এটি নিম্নমাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল ত্যাগকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাদান করে।
  • ভিল্লা কলেজ, ২০০৭ সাল থেকে এটি কম্পিউটার এবং আইটি শিক্ষা প্রদান করে।[]:১০[]
  • ইউনিভার্সিটি অব জায়েওয়ার্দেনেপুরা, শ্রীলঙ্কা  মালদ্বীপে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা করছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Maldives to get first-ever university with University Act"Haveeru। ১৭ জানুয়ারি ২০১১। ১৭ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১১ 
  2. Akhtar, Shahid; Arinto, Patricia (২০১০)। Digital Review of Asia Pacific 2009-2010। IDRC। আইএসবিএন 81-321-0084-0 
  3. "CIMA expands into the Maldives"The Island। Sri Lanka। ৩ নভেম্বর ২০০৭। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১১ 
  4. "Lankan University in Maldives"Asian Tribune। ২০ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১১