মারিয়া কনসিকাও

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মারিয়া কনসিকাও
জন্ম (1977-05-23) ২৩ মে ১৯৭৭ (বয়স ৪৬)
ভিলা ফ্রাঙ্কা দে সিরা, পর্তুগাল
জাতীয়তাপর্তুগিজ
প্রতিষ্ঠানমারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন
পরিচিতির কারণমানবহিতৈষতা
ওয়েবসাইটmariacristinafoundation.org
স্বাক্ষর

মারিয়া কনসিকাও একজন পর্তুগিজ মানবহিতৈষী।[১] তিনি বাংলাদেশের বস্তিতে বসবাসরত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে থাকেন। ২০১৬ সালে জিকিউ ম্যাগাজিনের পর্তুগিজ সংস্করণ তাকে বর্ষসেরা নারী সম্মাননায় ভূষিত করে।

মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

মারিয়া কনসিকাও পেশায় একজন এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানবালা ছিলেন।[২] পেশাগত কাজে তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ২০০৩ সালে এসেছিলেন। তখন তিনি কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভিক্ষা করতে দেখেন। এই দৃশ্য তাকে গভীরভাবে নাড়া দেয় এবং এর এক মাস পরে এদের সাহায্য করার জন্য আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

মারিয়া কনসিকাও ২০০৫ সালে তার পালক মায়ের নামে মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন। এরই মাধ্যমে তিনি বর্তমানে মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে তিনি ঢাকার আজমপুরের গাওয়াইর বস্তির ১৭২ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশুকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।

তহবিল সংগ্রহ[সম্পাদনা]

মারিয়া কনসিকাও তার জনসেবার জন্য নানা উপায়ে তহবিল সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে থাকেন। তিনি ১০ লাখ ডলারের তহবিল সংগ্রহের চেষ্টায় সাত মহাদেশে ম্যারাথন দৌড়ে গিনেজ বিশ্বরেকর্ড ৭৭৭ চ্যালেঞ্জ গড়েন।[৩] এভারেস্ট পর্বত আরোহণ করেন প্রথম পর্তুগিজ নারী হিসেবে। তার ছয়টি রেকর্ড গিনেজ বিশ্বরেকর্ড বইতে তালিকাভুক্ত হয়।[২]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

জি কিউ ম্যাগাজিনের পর্তুগিজ সংস্করণ প্রতি বছর বর্ষসেরা পুরুষ ঘোষণা করে। কিন্তু মারিয়া কনসিকাও-এর কাজে অভিভূত হয়ে সাময়িকীর ইতিহাসের প্রথমবারের মত মারিয়াকে বর্ষসেরা নারী ঘোষণা করে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ঢাকার বস্তিতে কাজ করে উইমেন অব দ্য ইয়ার"ভয়েস অব আমেরিকা। ২৮ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. অদুল, মহিউদ্দিন (৩০ অক্টোবর ২০১৬)। "পর্তুগিজ মারিয়ার ঢাকা জয়ের গল্প"দৈনিক মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. "বাংলাদেশের বন্ধু মারিয়া পর্তুগালের বর্ষসেরা নারী"বণিকবার্তা। ২৮ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]