গান্ধী স্মৃতি

স্থানাঙ্ক: ২৮°৩৬′০৬.৭″ উত্তর ৭৭°১২′৫১.৬″ পূর্ব / ২৮.৬০১৮৬১° উত্তর ৭৭.২১৪৩৩৩° পূর্ব / 28.601861; 77.214333
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গান্ধী স্মৃতি (পূর্বতন বিড়লা হাউস), নতুন দিল্লি, ভারত

গান্ধী স্মৃতি (পূর্বতন নাম: বিড়লা হাউস বা বিড়লা ভবন) হল ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির তিস জানুয়ারি রোডে (পূর্বতন নাম: আলবুকার্ক রোড) অবস্থিত একটি জাদুঘর। এটি ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি উৎসর্গিত। এখানেই মহাত্মা গান্ধী তার জীবনের শেষ ১৪৪ দিন অতিবাহিত করেন এবং ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নিহত হন। এই ভবনটি আগে ভারতীয় শিল্পপতি বিড়লা পরিবারের সম্পত্তি ছিল। ২০০৫ সালে এই ভবনে ইটারনাল গান্ধী মাল্টিমিডিয়া মিউজিয়াম চালু হয়েছে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইটারনাল গান্ধী মাল্টিমিডিয়া মিউজিয়ামের একটি প্রদর্শনী, গান্ধী স্মৃতি।
গান্ধী স্মৃতির শহিদ স্তম্ভ, এখানেই গান্ধী নিহত হয়েছিলেন।

১৯২৮ সালে বারোটি শয়নকক্ষবিশিষ্ট এই বাড়িটি ঘনশ্যামদাস বিড়লা নির্মাণ করেছিলেন।[২] বল্লভভাই প্যাটেলমহাত্মা গান্ধী প্রায়শই এই বাড়িতে অতিথি হিসেবে থাকতেন। শেষ জীবনে মহাত্মা গান্ধী ১৯৪৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। শেষোক্ত তারিখেই গান্ধী নিহত হন। জওহরলাল নেহেরু বিড়লা হাউসের একটি অংশকে গান্ধী স্মৃতি হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব জানান ঘনশ্যামদাস বিড়লাকে।[৩] ঘনশ্যামদাস গান্ধীর স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটি ছেড়ে দিতে রাজি ছিলেন না।

১৯৭১ সালে ভারত সরকার দীর্ঘ বোঝাপড়ার পর কৃষ্ণ কুমার বিড়লার থেকে এই বাড়িটি কিনে নেয়। কোনও কোনও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কৃষ্ণ কুমার ফল গাছগুলির দামও বাড়ি বিক্রির দামের সঙ্গে ধরেছিলেন। কৃষ্ণ কুমার ৪.৫ মিলিয়ন টাকায় এই বাড়িটি বিক্রি করেন এবং বিনিময়ে শহরাঞ্চলে সাত একর জমি পান।[৪] ১৯৭৩ সালের ১৫ অগস্ট এই বাড়িটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এবং এর নামকরণ করা হয় ‘গান্ধী স্মৃতি’। এই ভবনের সংগ্রহালয়ে গান্ধীর জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত অনেক সামগ্রী রক্ষিত আছে। দর্শকরা ভবন ও সংলগ্ন জমিতে ঘুরে দেখতে পারেন গান্ধীর বাসগৃহ এবং যেখানে তিনি নিহত হয়েছিলেন সেই স্থানটি। গান্ধী যখন প্রার্থনা করছিলেন, তখন তাকে গুলি করা হয়েছিল। সেই জায়গাটিতে এখন একটি শহিদ স্তম্ভ স্থাপিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  2. "THE VOICE OF THE MAHATAMA, Dr. Pragnya Ram"। ৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৬ 
  3. Bhavan's Journal, Volume 32, Issues 13-24 Published 1986, p. 28-29
  4. Tushar A. Gandhi, 'Let's Kill Gandhi!': A CHRONICLE OF HIS LAST DAYS, THE CONSPIRACY, MURDER. INVESTIGATIONS AND TRIAL (New Delhi, Delhi: Rupa & Co, 2007).p 570-71

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Museums in Delhi টেমপ্লেট:Mohandas K. Gandhi