এফ-১৫ ঈগল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আমেরিকান যুদ্ধ বিমানগুলো ভিয়েতনাম যুদ্ধে রাশান ফাইটারগুলোর কাছে মার খাচ্ছিলো সে সময়ে আমেরিকানরা একটি এয়ার সুপিরিওর এয়ারক্রাফটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। যার ফলাফল হিসেবে ১৯৬৭ সালে এই ফাইটার উন্নয়নের কাজ ম্যাকডোনেল ডগলাস কে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে এই ফাইটারটি প্রথম উড্ডয়ন এবং ১৯৭৬ সালে F-15 ঈগল আকাশে যুক্তরাষ্টের এয়ার সুপ্রিমেসি নিশ্চিত করতে সার্ভিসে আসে। এটি খুবই উচ্চ ম্যানুভার ক্ষমতা সম্পন্ন দুই ইঞ্জিনের ফাইটার জেট যা সব আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী। এই বিমানে সবকিছুর তুলনায় ম্যানুভার এবং ক্লোজ রেঞ্জে সক্ষমতার দিকে জোর দেয়া হয়েছিলো যদিও পরবর্তীতে এতে বিভি আর ক্ষমতা উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এফ-১৫ ঈগল

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন মস্কোর নিকটবর্তী ডেমোডেডোভো এয়ারফিল্ডে mig-25 উন্মোচন করে। মজার ব্যাপার হলো তখনো মিগ-২৩ আমেরিকানদের ঘুম নষ্ট করছিলো F-4 ফ্যান্টম গুলাকে নাকানি চুবানি খাওয়ায়ে। যার জন্য তারা F-X প্রোগ্রাম সেট করেছিল। F-X প্রোগ্রামের উন্নয়নে পানি ঢালতে গোদের উপর বিষফোড়া হিসেবে আসে মিগ-২৫। মিগ-২৫ সার্ভিসে আসার পর আমেরিকানরা কার্যত পাগল হয়ে যায় একটি কার্যকর এয়ার সুপিরিয়র ফাইটার সার্ভিসে আনতে। প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল কথাটা আরো একবার প্রমাণ করে সার্ভিসে আসে এফ-১৫ ঈগল।

যুদ্ধ ইতিহাস[সম্পাদনা]

মিকোয়ান কর্পোরেশনের mig-25 এর চাপে পড়ে যেমন সার্ভিসে এসেছিলো তেমনি মিকোয়ান ফাইটারগুলার জন্য অভিশাপ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে F-15। সর্বভুক ভাল্লুকের মত mig-29, mig-25, mig-23, mig-21, su-25, su-7 সবই আছে এর শিকার লিস্ট। এর প্রথম শিকার ছিলো ইজ্রালের দ্বারা সিরিয়ান মিগ-২১। পরবর্তীতে উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাকি এয়ারফোর্সের মাজা ভাঙ্গার দায়িত্ব এফ-১৫ ঈগল কেই দেয় USAF.। একশ এর বেশি কিল রেকর্ডের বীপরীতে F-15 এর যুদ্ধে হারার রেকর্ড শুন্য যা তার সক্ষমতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। এ পর্যন্ত ১৭৫ টি f-15 দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। সংখ্যাটা অনেক বড় মনে হলেও তা যে কত কম তা পরিষ্কার হবে যখন আপনি জানবেন প্রতি ৫০০০০ ঘণ্টা উড্ডয়নের বিপরীতে একটি দুর্ঘটনা। একটি ভালো বিমান যে পাইলটের মনস্তত্ত্বকে কতখানি বাড়িয়ে দেয় তার একটি উদাহরণ নিচের ঘটনাটি। USAF দুটি এফ-১৫ ঈগল ইরাক ইরান সিমান্তে টহল দিচ্ছিলো এসময় ইরানি রাডার তাদের ডিটেক্ট করে এবং যোগাযোগ করে ইরানি এয়ারোস্পেস থেকে সরে যেতে বলে নতুবা ইন্টারসেপ্টে পাঠাবে বলে হুমকি দেয়। হুমকির বিপরীতে এফ-১৫ ঈগল পাইলটের জবাব ছিলো: This is USAF F-15eagle if u dare to come we are waiting। যাইহোক সবকিছুর ই শেষ আছে তাই এফ-১৫ ঈগল এর সার্ভিস লাইফও USAF এ শেষের পথে। যদিও অন্যান্য দেশগুলোর জন্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রোডাকশন লাইন চালু থাকবে। ৪৭ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি হবে।

ব্যবহারকারী দেশসমূহ[সম্পাদনা]

আমেরিকার মিত্র দেশ ব্যতীত কাউকে এই বিমান দেয়া হয়নি। তাই এর ব্যবহারকারীদের সংখ্যা খুব সীমীত। ইসরায়েল এর প্রথমদিকের ব্যবহারকারী দেশগুলোর একটি (১৯৭৭), এছাড়া জাপান (মিতশুবিশি F-15j), আত সৌদি আরব এর প্রধান ব্যবহারকারী। কিছুদিন আগে সৌদি আরব নিজেই লাইসেন্স নিয়ে বানানোর জন্য প্রোডাকশন লাইন স্থাপন করেছে। ১৯৮৯ সালে এর গ্রাউন্ড এটাক ভার্সন সার্ভিসে আসে যা F-15E Strike Eagle নামে পরিচিত।

প্রাথমিক ব্যবহারকারী[সম্পাদনা]

  1. ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স
  2. জাপান এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স
  3. রয়েল সৌদি বিমান বাহিনী
  4. ইসরায়েলি বিমান বাহিনী

ট্যাকনিকাল তথ্য[সম্পাদনা]

রোলঃ এয়ার সুপিরিয়রিটি ফাইটার

প্রস্তুতকারকঃ ম্যাকডনেল ডগলাস

প্রথম উড্ড্যন: ২৭ জুলাই ১৯৭২

জনসম্মুখে প্রকাশ: ৯ জানুয়ারী ১৯৭৬

স্ট্যাটাস : চলমান

Number built: F-15A/B/C/D/J/DJ: 1,198

Unit cost:- F-15A/B: US$27.9 million (1998) F-15C/D: US$29.9 million (1998)

Variants: McDonnell Douglas F-15E Strike Eagle McDonnell Douglas F-15 STOL/MTD Boeing F-15SE Silent Eagle Mitsubishi F-15J

সমক্ষমতা সম্পন্ন বিমান[সম্পাদনা]

  1. মিগ-২৯এম