জিকা জ্বর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিকা জ্বর
বিশেষত্বসংক্রামক রোগ, neonatology উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

জিকা জ্বর, যা জিকা ভাইরাস রোগ হিসাবেও পরিচিত, জিকা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ।[১] ডেঙ্গু জ্বর এর উপসর্গের সাথে সাদৃশ্য আছে। [১] অধিকাংশ ক্ষেত্রে (৬০–৮০%) কোন উপসর্গ দেখা যায় না।[২] যখন উপসর্গ দেখা যায় তখন সাধারত জ্বর, লাল চোখ, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, মাথাব্যথা, এবং ম্যাকুলোপ্যাপুলার ফুসকুড়ি পরিলক্ষিত হয়।[১][৩] সাধারণত উপসর্গসমূহ মৃদু হয় এবং সাতদিনের কম সময় স্থায়ী হয়।[৪] ২০১৫ সালের শুরুর সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা সংগঠিত হয়নি।[২] সংক্রমণ গুইলান–বারে সিনড্রোম এর সাথে সংযুক্ত।[২]

কারণ এবং রোগ নির্ণয়[সম্পাদনা]

জিকা জ্বর মূলত এডিস জাতীয় মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। [৪] এটি শারীরিক সম্পর্ক এবং রক্তের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। [৪] এই রোগ মাতৃগর্ভে শিশুর দেহেও ছড়াতে পারে এবং মাইক্রোসেফালির সৃষ্টি হয়।[১][২] যখন কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয় তখন রোগ নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে ভাইরাসের আরএনএ খুঁজে পাওয়ার জন্য রক্ত, মূত্র অথবা লালা পরীক্ষা করা হয়। [১][৪]

প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা[সম্পাদনা]

প্রতিরোধের মধ্যে রয়েছে সংক্রমিত এলাকায় মশার কামড় কমানো।[৪] প্রচেষ্টার মধ্যে আছে পোকা তাড়ানোর ঔষধ ব্যবহার, শরীরের বেশি অংশ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা, মশারির ব্যবহার এবং জমে থাকা পানি সরানো কারণ সেখানে মশার বংশবৃদ্ধি হয়।[১] কোন কার্যকরী ভ্যাকসিন নেই। [৪] ২০১৫ সালে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সুপারিশ করেন যে, মহামারীর কারণে পিতামাতাদের গর্ভধারণে বিলম্ব করতে এবং সুপারিশ করা হয় যে সব এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে সেসব এলাকায় গর্ভবতী মহিলাদের ভ্রমণ না করতে।[৪][৫] যেহেতু নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই, প্যারাসিটামল (এ্যাসিটামিনোফেন) এই রোগে সাহায্য করতে পারে।[৪] খুবই বিরল ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। [২]

ইতিহাস এবং মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যা[সম্পাদনা]

যে ভাইরাস এই রোগের কারণ তা ১৯৪৭ সালে প্রথম পাওয়া যায়।[৬] ২০০৭ সালে ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়াতে মানুষের মাঝে প্রথম মহামারী নথিভুক্ত হয়।[৪] ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকার বিশটি অঞ্চলে এই রোগ দেখা দেয়। [৪] আফ্রিকা, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও এই রোগ দেখা দেয়।[১] ২০১৫ সালে ব্রাজিলে শুরু হওয়া মহামারীর কারণে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বয়িক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Zika virus"WHO। জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Factsheet for health professionals"ecdc.europa.eu। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  3. Musso, D.; Nilles, E.J.; Cao-Lormeau, V.-M. (২০১৪)। "Rapid spread of emerging Zika virus in the Pacific area"Clinical Microbiology and Infection20 (10): O595–6। ডিওআই:10.1111/1469-0691.12707পিএমআইডি 24909208 
  4. Chen, LH; Hamer, DH (২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Zika Virus: Rapid Spread in the Western Hemisphere."Annals of internal medicineপিএমআইডি 26832396 
  5. "Brazil warns against pregnancy due to spreading virus - CNN.com"CNN। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  6. Haddow, AD; Schuh, AJ; Yasuda, CY; Kasper, MR; Heang, V; Huy, R; Guzman, H; Tesh, RB; Weaver, SC (২০১২)। "Genetic characterization of Zika virus strains: geographic expansion of the Asian lineage."। PLoS neglected tropical diseases6 (2): e1477। পিএমআইডি 22389730 
  7. "WHO Director-General summarizes the outcome of the Emergency Committee regarding clusters of microcephaly and Guillain-Barré syndrome"WHO। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬