ইসলা দে লা লুনা

স্থানাঙ্ক: ১৬°০২′২৫″ দক্ষিণ ৬৯°০৪′১৫″ পশ্চিম / ১৬.০৪০২৮° দক্ষিণ ৬৯.০৭০৮৩° পশ্চিম / -16.04028; -69.07083 (Isla de la Luna)
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসলা দে লা লুনা
ইসলা দেল সোল থেকে তোলা ইসলা দে লা লুনার দৃশ্য
ভূগোল
অবস্থানতিতিকাকা হ্রদ
স্থানাঙ্ক১৬°০২′২৫″ দক্ষিণ ৬৯°০৪′১৫″ পশ্চিম / ১৬.০৪০২৮° দক্ষিণ ৬৯.০৭০৮৩° পশ্চিম / -16.04028; -69.07083 (Isla de la Luna)
আয়তন১.০৫ বর্গকিলোমিটার (০.৪১ বর্গমাইল)
তটরেখা৬ কিমি (৩.৭ মাইল)
সর্বোচ্চ উচ্চতা৩,৯২৫ মিটার (১২,৮৭৭ ফুট)
প্রশাসন

ইসলা দে লা লুনা (স্পেনীয় Isla de la Luna; আক্ষরিক অর্থ চন্দ্রদ্বীপ, অন্য নাম Isla Koati, উচ্চারণ ইসলা কোয়াতি) হল বলিভিয়ার লা পাজ বিভাগের মানকো কাপাক প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত তিতিকাকা হ্রদ মধ্যস্থ একটি দ্বীপ। ভৌগলিকভাবে এর অবস্থান বিখ্যাত ইসলা দেল সোল বা সূর্যদ্বীপের ৭ কিলোমিটার পূর্বে। হ্রদের তীর থেকে এর সবচেয়ে কম দূরত্ব ৪.১ কিলোমিটার। দ্বীপটি আকৃতিতে কিছুটা লম্বা একটা রেখার মতো, যার দৈর্ঘ্য ২.৮ কিলোমিটার, কিন্তু সর্বোচ্চ প্রস্থও মাত্র ০.৭৬ কিলোমিটার। ছোট্ট এই দ্বীপটির সামগ্রিক আয়তন মাত্র ১.০৫ বর্গ কিলোমিটার ও এর তটরেখার মোট দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ কিলোমিটার। দ্বীপের সর্বোচ্চ বিন্দু পুন্তো মাস আলতো। হ্রদের জলতল থেকে যদিও এর উচ্চতা মাত্র ১১৫ মিটার, সমুদ্রতল থেকে এর উচ্চতা ৩৯২৫ মিটার। ইনকা উপকথা অনুযায়ী এই দ্বীপ থেকেই দেবতা ভিরাকোচার আদেশে প্রথম চাঁদের উদয় হয়। দ্বীপটির পূর্ব উপকূলে ইনকা যুগের সন্ন্যাসিনীদের একটি মঠ বা নানারি, মামাকুনার ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে।[১]

প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য থেকে এছাড়াও জানা গেছে যে তিওয়ানাকু সভ্যতার লোকেরা এই দ্বীপে একটি বেশ বড় মন্দির তৈরি করেছিল। খননকার্যে ৬৫০ - ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ব্যবহৃত বেশকিছু মৃৎপাত্র মিলেছে, যেগুলি পূজার কাজে ব্যবহৃত হত। এদের মধ্যে ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রাপ্ত দুটি পাত্র বর্তমানে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে।[২] তবে এখন দ্বীপে যে ধ্বংসাবশেষগুলি চোখে পড়ে, সেগুলি ইনকা আমলে (১৪৫০ ১৫৩২ খ্রিষ্টাব্দ) তৈরি। এগুলির অনেকগুলিই পুরনো তিওয়ানাকু নির্মাণের ধংসাবশেষের উপরই তৈরি হয়েছিল।

বর্তমানে দ্বীপে সামান্য কিছু স্থানীয় আমেরিন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর মানুষজন বাস করেন। এঁদের ভাষা মূলত আইমারাকেচুয়া। তবে অল্পবিস্তর স্পেনীয় ভাষারও চল আছে।

১৯৪০'এর দশকে এই দ্বীপটি বলিভীয় সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ কারাগার বা কনসেনট্রেশন শিবিরে পরিণত হয়। বিশেষত ১৯৪৬ সালে রাষ্ট্রপতি ভিলারোয়েল'এর শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী বহুশত কৃষককে এখানেই বন্দী করে রাখা হয়েছিল।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bolivia, Lonely Planet 2007, আইএসবিএন ১-৭৪১০৪-৫৫৭-৬
  2. ব্রিটিশ মিউজিয়ামের সংগ্রহ।
  3. Fellenberg, Peter (1984): Charakter und Etappen der bolivianischen Revolution 1952 bis 1955/56. Dissertation. Karl Marx-Universität Leipzig. পৃঃ - ২৭।