কেও
কেও / কেওমূল / টিয়াটুই Cheilocostus speciosus | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Monocots |
শ্রেণীবিহীন: | Commelinids |
বর্গ: | Zingiberales |
পরিবার: | Costaceae |
গণ: | Cheilocostus |
প্রজাতি: | C. speciosus |
দ্বিপদী নাম | |
Cheilocostus speciosus (J.Konig) C.Specht[১] | |
প্রতিশব্দ | |
আরো অনেক নাম আছে |
কেও বা কেওমূল এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর (বৈজ্ঞানিক নাম Cheilocostus speciosus বা Costus speciosus) ইংরেজিতে এটি 'Crêpe ginger', 'Malay ginger' এবং 'White costus' নামে পরিচিত। Costus গণভুক্ত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে এটিই সম্ভবতঃ সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলের উদ্ভিদ। বাংলাদেশ, ভারত ও চীন থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া ও কুইন্সল্যান্ড পর্যন্ত এর আদি বিস্তৃতি। পরে এটি মরিশাস, ফিজি, হাওয়াই, কোস্টা রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে।[২][৩]
এটি আদা গাছের সমগোত্রীয়। রাইজোম বা কন্দ থেকে এর বংশবৃদ্ধি ঘটে; এছাড়া পাখির মাধ্যমেও এর বীজের বিস্তারণ ঘটে। এই গাছের ফল পাখির খাদ্য। ভারতে এটি ভেষজ উদ্ভিদরূপে চাষ করা হয়। অনেক দেশে এটি শৌখিন ফুল হিসেবে লাগানো হয়, আবার অনেক দেশে এটি রাক্ষুসে উদ্ভিদরূপে বদনাম কুড়িয়েছে। চট্টগ্রামে এটি টিয়াটুই নামে পরিচিত
আবাস
[সম্পাদনা]পথের পাশে নিচু জমিতে, খাল ও নদীর ধারে, স্যাঁতস্যাঁতে জঙ্গলে এটি ভাল জন্মে। কেও গাছে বর্ষার পরে সেপ্টেম্বরে ফুল আসে, ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকে। লাল পুষ্পমঞ্জরীর উপর সাদা ফুল হয়।
অন্যান্য নাম
[সম্পাদনা]বাংলায় একে কেও, কেওমূল, কেউ, কেমুক, বন্দুই, কুস্তা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। হিন্দিতে 'কেওকন্দ', সিংহলিতে 'থেবু', গুজরাটিতে 'পাকারমূলা', মারাঠিতে 'পুশকারমূলা', অসমীয়াতে 'জম লাখুটি', তামিল ভাষায় 'কোস্টাম', কানাড়া ভাষায় 'কোস্টা' এবং তেলুগু ভাষায় 'কোস্টামু'চট্টগ্রামের ভাষায় 'টিয়াটুই',নামে একে ডাকা হয়।
ছবিঘর
[সম্পাদনা]-
লাল পুষ্পমঞ্জরী; সিলেট, বাংলাদেশ
-
কেও পাতা; সিলেট, বাংলাদেশ
-
খালের পাশে কেও; সিলেট, বাংলাদেশ
-
পানির উপর ঝুঁকে আছে কেওগাছ; সিলেট, বাংলাদেশ
-
কেওফুল; ভারত
-
কেওফুল ও পাতা; ভারত
-
কেও বাগান
-
হাওয়াই দ্বীপে কেও
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Cheilocostus speciosus (J.König) C.Specht"। The Plant List। ১৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Kew World Checklist of Selected Plant Families, Hellenia speciosa"। ১৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Pacific Island Invasive Species"। ১৫ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৪।