বিষয়বস্তুতে চলুন

রাসায়নিক সংকেত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Aluminium sulfate (hexadecahydrate)
এলুমিনিয়াম সালফেট এর রাসায়নিক সংকেত Al2(SO4)3। এখানে ছবির মাধ্যমে এটির এলুমিনিয়াম সালফেট হেক্সাডেকাহাইড্রেড রূপ দেয়া হয়া ( Al2(SO4)3•16H2O ).
235px। বিউটেন এর গাঠনিক সংকেত। এটি কোন রাসায়নিক সংকেত নয়। Examples of chemical formulas for butane are the empirical formula C2H5, the molecular formula C4H10 and the condensed (or semi-structural) formula CH3CH2CH2CH3.

রাসায়নিক সংকেত হল একটি রাসায়নিক যৌগের গঠনকে সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত একটি প্রতীকী পদ্ধতি। এটিতে রাসায়নিক উপাদানসমূহের প্রতীক, সংখ্যা এবং অন্যান্য প্রতীকসমূহ যেমন, ড্যাশ, বন্ধনী, যোগ-বিয়োগ প্রভৃতি চিহ্নের দ্বারা প্রকাশ করা হয়। রাসায়নিক সংকেত কোন রাসায়নিক নাম নয়, এটি কোন শব্দ দ্বারা লেখা হয় না। এটিতে শুধুমাত্র মৌল সমূহের প্রতীক ব্যাবহার করে বিভিন্ন ধরনের সংকেত তৈরি করা হয়। যেমন: Hydrogen-এর প্রতীক H এবং Oxygen-এর প্রতীক O ব্যাবহার করে পানির সংকেত (H2O) তৈরি করা হয়।

উদ্দেশ্য

[সম্পাদনা]

রাসায়নিক সংকেতের উদ্দেশ্য হল:

  • একটি রাসায়নিক যৌগের গঠন এবং উপাদানসমূহকে সহজে চিহ্নিত করা।
  • একটি রাসায়নিক যৌগের আণবিক ভর এবং মোলার ভর নির্ণয় করা।
  • একটি রাসায়নিক যৌগের রাসায়নিক ধর্ম এবং বৈশিষ্ট্যগুলির পূর্বাভাস দেওয়া।

প্রকারভেদ

[সম্পাদনা]

রাসায়নিক সংকেতের প্রকারভেদ

রাসায়নিক সংকেতকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

  • আণবিক সংকেত: একটি রাসায়নিক যৌগের একটি অণুতে উপস্থিত মৌলসমূহ এবং তাদের সংখ্যাকে প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, জলের আণবিক সংকেত H2O, যা নির্দেশ করে যে জলের প্রতিটি অণুতে দুটি হাইড্রোজেন এবং একটি অক্সিজেন পরমাণু উপস্থিত থাকে।
  • ইউনিফর্ম সংকেত: একটি রাসায়নিক যৌগের সকল অণুতে উপস্থিত মৌলসমূহ এবং তাদের সংখ্যাকে প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামোনিয়ার ইউনিফর্ম সংকেত NH3, যা নির্দেশ করে যে অ্যামোনিয়ার সকল অণুতে একটি নাইট্রোজেন এবং তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু উপস্থিত থাকে।
  • গাঠনিক সংকেত: একটি রাসায়নিক যৌগের অণুর গঠনকে প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, মিথেনের গাঠনিক সংকেত H-C≡C-H, যা নির্দেশ করে যে মিথেনের অণুতে একটি কার্বন পরমাণু চারটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে একক বন্ধনে আবদ্ধ থাকে।

রাসায়নিক সংকেতের গঠন

[সম্পাদনা]

রাসায়নিক সংকেতের গঠন নিম্নরূপ:

  • মৌলের প্রতীক: একটি রাসায়নিক মৌলের প্রতীক হল একটি সংক্ষিপ্ত চিহ্ন যা সেই মৌলটিকে প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, হাইড্রোজেনের প্রতীক H, অক্সিজেনের প্রতীক O, নাইট্রোজেনের প্রতীক N এবং কার্বনের প্রতীক C।
  • মৌলের সংখ্যা: একটি রাসায়নিক যৌগের একটি অণুতে উপস্থিত একটি নির্দিষ্ট মৌলের সংখ্যাকে নির্দেশ করার জন্য সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। সংখ্যাটি মৌলের প্রতীকের ডানদিকে লেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, জলের আণবিক সংকেত H2O, যা নির্দেশ করে যে জলের প্রতিটি অণুতে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু উপস্থিত থাকে।
  • ড্যাশ: একই মৌলটিকে একাধিকবার ব্যবহার করার জন্য ড্যাশ ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, সালফারের আণবিক সংকেত S8, যা নির্দেশ করে যে সালফারের প্রতিটি অণুতে আটটি সালফার পরমাণু উপস্থিত থাকে।
  • বন্ধনী: একটি রাসায়নিক যৌগের একটি অণুতে উপস্থিত বিভিন্ন মৌলসমূহকে একত্রিত করার জন্য বন্ধনী ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামোনিয়ার আণবিক সংকেত NH3, যা নির্দেশ করে যে অ্যামোনিয়ার প্রতিটি অণুতে একটি নাইট্রোজেন এবং তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু উপস্থিত থাকে।
  • অন্যান্য প্রতীক: রাসায়নিক সংকেতে অন্যান্য প্রতীক যেমন, যোগ-বিয়োগ প্রতীক, কোলন প্রতীক, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, সোডিয়াম ক্লোরাইডের আণবিক সংকেত NaCl ।

পানির আণবিক সংকেত (H2O)।


আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]